আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে অবমাননাকারীদের চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, যেন উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে

ন্যাক্কারজনক ঘটনার পটভূমি: গত ২৭ মার্চ, ২০১২ কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিদ্যালয়ের মাঠে মঞ্চস্থ্ হয় ‘হুজুর কেবলা’ নামের চরম ইসলাম বিদ্বেষী এক নাটক। নাটকটির রচয়িতা একই গ্রামের জিয়াদ আলীর কুলাঙ্গার পুত্র শাহীন (২৮) এবং পরিচালক হিন্দু শিক্ষিকা মিতা রানী। নাটকের বিভিন্ন অংকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে চরম ভাবে গোস্তাকি করে নারী লোভী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। (নাউযুবিল্লাহ) সাতক্ষীরায় উগ্রবাদী হিন্দুদের দ্বারা ঘটিত এধরনের আরেকটি ঘটনা: বলাবাহুল্য হিন্দু শিক্ষিকা কুলাঙ্গার মিতা রাণীর ঘটনা সাতক্ষীরায় এই বারই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১১ সালে ১৬ই অক্টোবর সুশান্ত নামক এক চরম ইসলাম বিদ্বেষী উগ্রবাদী হিন্দু একই ঘটনা ঘটায়।

সংবাদ ভাষ্য, “নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র আমিনুর, মাহফুজ, দেলোয়ারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, গত রোববার নবম শ্রেণীর ‘ক’ গ্রুপের বাংলা ব্যাকরণের কাস নিচ্ছিলো কুলাঙ্গার শিক্ষক সুশান্ত কুমার ঢালী (২৬)। এ সময় সে বলে, আমি তোমাদের একটি গল্প বলব। যদিও গল্পটি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসতে পারে। তবে এতে তোমরা কেউ কিছু মনে করবে না। গল্পটি হলো- এক জায়গায় একজন হিন্দু সাধু, মুসলমানদের একজন মৌলভী ও একজন বিদেশী ভদ্রলোক ছিলো।

এদের মধ্যে প্রথমে হিন্দু সাধু বলে, কৃষ্ণচূড়া নামটি আমাদের কৃষ্ণের নামের সাথে মিলিয়ে রাখা হয়েছে। তখন মৌলভী বলে, এটি মোহাম্মদ চূড়া হলে ভালো হতো। এরপর হিন্দু সাধু একইভাবে কৃষ্ণনগর ও গোপালগঞ্জের কথা উল্লেখ করলে মৌলভী বলে, এটা মোহাম্মদনগর এবং মোহাম্মদগঞ্জ হলে ভালো হতো। অতঃপর একটি রাম ছাগল সেখানে আসার পর মৌলভী একই ভঙ্গিতে বলে, রাম ছাগলের পরিবর্তে মোহাম্মদ ছাগল হলে ভালো হতো। এ কথা বলার পর শিক সুশান্ত ঢালী ব্যঙ্গাত্মকভাবে হাসতে থাকে।

” (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক) (বিষয়গুলো সরাসরি লেখা আদবের খেলাফ হলেও বর্তমান পরিস্থিতি কতটুকু ভয়াবহ অবস্থানে পৌছেছে এবং হিন্দুরা কতটুকু ইসলাম বিদ্বেষী তা বুঝানোর জন্যই বিস্তারিত উপস্থাপন করা) প্রিয় নবীজি উনার শান মুবারক: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানকে বুলন্দ করেছেন। পবিত্র কুরআন শরীফ ইরশাদ হয়েছে, “আমি আপনার সুমহান মর্যাদাকে বুলন্দ করেছি। ” (সূরা ইনশিরাহ-৪) মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানকে বুলন্দ করে স্বয়ং নিজের নাম মুবারকের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছেন। যা আমরা পবিত্র কলেমা শরীফ এ দেখতে পাই, “ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসুলুল্লাহ” (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। বলাবাহুল্য কোন ব্যক্তি যদি সারা জীবন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করে তবে সে কষ্মিনকালেও মুসলমান হতে পারবে না, যতক্ষণ যে মুহম্মদুর রসুলুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ না করবে।

(সুবহানাল্লাহ) অর্থাৎ আমাদের প্রিয় নবীজি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এক কথায় শুধু আল্লাহ পাক নন, এছাড়া সকল মর্যাদা, শান-মান মহান আল্লাহ পাক উনাকে হাদিয়া করেছেন। (সুবহানাল্লাহ) মুবারক শানের খেলাফ করার শাস্তি: হাদীসে কুদসী শরীফে আছে, “কোন ব্যক্তি যদি কোন আল্লাহ পাক উনার ওলী, উনার বিরোধীতা করে, তবে স্বয়ং আল্লাহ পাক তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ” তাহলে যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয়তম বন্ধু, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানের খেলাপ করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কতটুকু অস্তুষ্ট হবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উদারহণ স্বরূপ আমরা, সূরা লাহাব-এর কথা বলতে পারি। যেখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানের খেলাপ বলায় এবং উনাকে কষ্ট দেয়ায় স্বয়ং আল্লাহ পাক আবু লাহাবের ধ্বংস কামনা করেছেন, লানত দিয়েছেন।

আর তাই আবু আবু লাহাবের মৃত্যু ঘটেছে পচে গলে, চরম লাঞ্চিত হয়ে। অপরাধীদের বার বার রক্ষা করা হচ্ছে: মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে গত কয়েকবছর যাবত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে অবমাননা করার ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তো এদের বিরুদ্ধে তো এর বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, মুসলমানদের মধ্যে বড় ধরনের কোন প্রতিবাদের ঘটনাও ঘটেনি। সরকার এদের লোক দেখানো সাময়িক গ্রেফতার করলেও পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দিচ্ছে। অপরাধীদের কোন বিচারই হয়না।

প্রতিবাদ হচ্ছে, চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি: সাতক্ষীরাবাসী ইসলাম বিদ্বেষী ঘটনায় এর জোর প্রতিবাদ করেছে। এই সকল নবী প্রেমীদের জানাই আন্তরিক অভিবাদন, তাদের জন্য থাকল অন্তরের অন্তস্থল থেকে অফুরস্ত দোয়া। কিন্তু এখানেই যেন শেষ না হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের উচিত এর বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ করা, একই সাথে অপরাধীদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া, এমনভাবে জনসম্মুখে তাদের শাস্তি কার্যকর করা, যেন ভবিষ্যতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার আর পূনরাবৃত্তি না ঘটে। প্রকৃতপক্ষে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়ার অভাবেই এই ধরনের ঘটনা বার বার ঘটে চলেছে।

অপরাধীদের সহযোগীদেরও শাস্তি চাই: এখানে আরেকটি বিষয় বলা যেতে পারে, যে ব্যক্তিরা এই অপরাধগুলো করছে শুধু তাদের শাস্তি দিলেই হবে না, যারা এগুলোর পক্ষে কথা বলছে এবং অপরাধীদের সাহায্য করে যাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা দরকার আছে। যেমন: আলপিনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন লেখার পর কার্টুনিস্ট আরিফকে বাচানোর জন্য অনেক সংগঠন উঠে পড়ে লাগে। আবার সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ঘটনা অনেক পত্রিকায় বিকৃত করে লেখা হয়। দৈনিক জনকণ্ঠে লেখা হয়, “ধর্মান্ধদের হামলায় জ্বলছে সাতীরার ফতেপুর গ্রাম,পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। ” আইএনবি সংবাদ সংস্থায় বলা হয়, “সাতীরায় হুজুর কেবলার নাটকের জের : বাড়িঘরে আগুন ও ভাংচুর”।

উক্ত খরবে মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িঘর লুট করেছে বলে দাবি করা হয়। (নাউযুবিল্লাহ) আমরা কি ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানাব না? আমরা কার শাফায়াত চাই? আমরা যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত বলে দাবি করে থাকি তারা উনার মুবারক উনার শানের খেলাফ দেখলে কি করব? আমাদের উম্মতদের উচিত এর জোর প্রতিবাদ করা। কারণ কিয়ামতের ময়দানে মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি আমাদের জিজ্ঞাসা করেন, “হে ব্যক্তি তোমার সামন্ েআমার প্রিয়তম বন্ধু, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানের খেলাপ করা হয়েছিল, তুমি কি এর প্রতিবাদ করেছিলে, তোমাকে আজ কে নাযাত দিবে?”—– তখন আমরা কি বলব? আবার নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি জিজ্ঞেস করেন, “হে ব্যক্তি, তুমি তো আমার উম্মত দাবি কর, আমার শাফায়াত চাও, তাহলে যখন আমার বিরুদ্ধে বলা হল, তখন তোমরা কেন এর প্রতিবাদ করলে না? অপরাধীর কেন শাস্তি দিলে না? এখন, তোমাদের কে শাফায়াত করবে? তখন আমরা কি উত্তর দেব? মুসলমানগন প্রতিবাদ করতে জানে: বাংলার মুসলমানগন প্রতিবাদ করতে জানে। ১৯৫২ সালে তারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র নজির। ১৯৭১ সালে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে ।

তাহলে সেই বাংলার মুসলমানগণ নিজেদের প্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়, যিনি মুসলমানদের ঈমান উনার সম্মানার্থে কি প্রতিবাদ করতে পারে না? উনার শানে বেয়াদবী প্রদর্শনকারী কুলাঙ্গারগুলোকে জমিনের সবচেয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারে না? সরকারসহ সংশ্লিষ্টরা যদি চিরতরে এসব কুলাঙ্গারদের শয়তানী বন্ধ না করে, তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতগণ কখনো চুপ থাকবে না। এই ন্যাক্কারজন অপরাধের শাস্তি প্রদানের প্রতিদান কি? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে বেয়াদবী করার কারনে কা’ব বিন আশরাফ, আবু র’ফে র মৃত্যুদন্ড ঘোষনা করা হয় এবং হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা তা কার্যকর করেন। নূরে মুজাসসাম , হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য পরিপূর্ন নিবেদিত হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের জন্য আখিরতে অসীম প্রতিদানতো রয়েছেই দুনিয়াতেই আল্লাহ পাক উনাদের জন্য চিরতরের সন্তুষ্টি ঘোষনা করলেন। আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, অর্থ: আল্লাহপাক উনাদের উপর সন্তুষ্ট, উনারা ও আল্লাহপাক উনার উপর সন্তুষ্ট। সুরা বাইয়্যিনাহ (আয়াত শরীফ নং-৮) ঠিক উম্মতের কেউ যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ , হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য নিবেদিত হয়ে কোন খিদমত করে তাহলে তিনি ও একই পুরস্কার অর্থাৎ আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের অনন্তকালের সন্তুষ্টি লাভ করবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিগত কয়েক বছরে ঘটে যাওয়া এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলোর পিছনে দেখা গেছে উগ্রবাদী হিন্দুরাই সরাসরি জড়িত। শতকরা মুসলমানের দেশে উগ্রবাদী হিন্দুরা কি করে এ সাহস পায়? তাহলে এর পিছনে কি কোন ষড়যন্ত্রকারীগোষ্ঠী রয়েছে? বাংলার মুসলমানদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো, এর পিছনে যারাই থাকুকনা কেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তাদেরকে ভয়াবহ মূল্য দিতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.