আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুন্নাতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিয়ে আলোচনা (২য় পর্ব)

الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على خاتم الأنبياء والمرسلين، وعلى آله وصحبه أجمعين، وعلى من تبعهم بإحسان إلى يوم الدين

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) তার জীবানাদশায় যে সকল কর্ম করেছেন মুসলমানদের জন্য সেই গুলো পালন করা অপরিহার্য়। আজকে সেই বিষয়েই আমার এই আলোচনাঃ-

১ম পর্ব

কাপড় পরিধানের সুন্নাতসমূহঃ

১. প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদা কাপড় বেশি পছন্দ করতেন।

(মুস্তাদরাক, হাঃ নং ৭৩৭৯)

২. জামা-পায়জামাসহ সকল প্রকার পোশাক পরিধানের সময় ডান হাত ও ডান পা আগে প্রবেশ করানো।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৪১৪১)

৩. পুরুষদের জন্য পায়জামা, লুঙ্গি এবং জামা, জুব্বা ও আবা-কাবা পায়ের টাখনুর উপরে রাখা। টাখনুর নীচে নামিয়ে পোশাক পরিধান করা হারাম।

হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- ‘যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে কোন পোশাক পরিধান করবে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৫৭৮৪/ আবু দাউদ হাঃ নং ৪০৯৩, ৪১১৭/ সহীহ ইবনে হিব্বান, হাঃ নং ৫৪৪৭)

বি.দ্র. মোজার হুকুম-এর ব্যতিক্রম।

৪. সাধারণভাবে কাপড় পরিধান করার সময় এই দু‘আ পড়া :

الحمد لله الذى كسانى هذا ورزقنيه من غير حول منى ولاقوة

(মুস্তাদরাক, হাঃ নং ৭৪০৯)

এবং নতুন কাপড় পরিধান করে এই দু‘আ পড়া :

الحمد لله الذى كسانى ما اوارى به عورتى واتجمل به فى حياتى

(তিরমিযী, হাঃ নং ৩৫৬০/ ইবনে মাজাহ, হাঃ নং ৩৫৫৭)

৫. টুপি পরা। টুপির উপর পাগড়ী পরা মুস্তাহাব এবং লেবাসের আদব। তবে এটা নামাযের সুন্নাত নয়।

টুপি ছাড়া পাগড়ী বাঁধা সুন্নাতের পরিপন্থী।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৪০৭৮)

৬. পাগড়ী বাঁধার পর মাথার পিছন দিকে এক হাত পরিমাণ ঝুলিয়ে রাখা।

(মুসলিম, হাঃ নং ১৩৫৯)

বি.দ্র.- কোন উযুর না থাকলে টুপির সাথে সব সময় পাগড়ী পরিধান করবে। শুধু নামাযের সময়পাগড়ী পরার হাদীস পাওয়া যায় না।

৭. বিসমিল্লাহ বলে কাপড় খোলা আরম্ভ করা এবং খোলার সময় বাম হাত ও বাম পা আগে বের করা।



(আমালুল্‌ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, হাঃ নং ২৭৪ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ২৪৯১০)

৮. জুতা প্রথমে ডান পায়ে পরা, অতঃপর বাম পায়ে পরা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৫৮৫৫)

৯. জুতা খোলার সময় প্রথমে বাম পা থেকে অতঃপর ডান পা থেকে খোলা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৫৮৫৫)

মসজিদে প্রবেশের সুন্নাতসমূহঃ


১. বিসমিল্লাহ পড়া।

(মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ২৬৪৭৩ আমলুল্‌ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, হাঃ নং ৮৮)

২. দরূদ শরীফ পড়া

। (মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ২৬৪৭২)

৩. অতঃপর এই দু‘আ পড়া :

اللهم افتح لى ابواب رحمتك (মুসলিম, হাঃ নং ৭১৩)

উল্লেখিত দু‘আ সমূহ একত্রে এভাবে পড়া যায়-

بسم الله والصلوة والسلام على رسول الله اللهم افتح لى ابواب رحمتك

৪. মসজিদে ডান পা আগে রাখা।



(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৪২৬)

৫. মসজিদে প্রবেশ করে ই‘তিকাফের নিয়ত করা।

(শামী, ২ : ৪৪৩/ বুখারী শরীফ, হাঃ নং ২০৪২)

বি.দ্র. মসজিদে প্রবেশের সময় প্রথমে বাম পায়ের জুতা খুলে জুতার উপর বাম পায়ে দাঁড়াবে অতঃপর ডান পায়ের জুতা খুলে দু‘আসমূহ পড়ে তারপর প্রথমে ডান পা মসজিদের ভিতরে রাখবে।

মসজিদ থেকে বের হওয়ার সুন্নাতসমূহ

১. বিসমিল্লাহ পড়া।

(মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ২৬৪৭৩)

২. দরূদ শরীফ পড়া।

(মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ২৬৪৭২)

৩. অতঃপর এই দু‘আ পড়া :

اللهم انى اسئلك من فضلك

(মুসলিম, হাঃ নং ৭১৩)

উল্লেখিত দু‘আ সমূহ একত্রে এভাবে পড়া যায় :

بسم الله والصلوة والسلام على رسول الله اللهم انى اسئلك من فضلك

এ দু‘আ গুলো বের হওয়ার পূর্বেই পড়বে।



৪. মসজিদের বাইরে (জুতার উপর) বাম পা আগে রাখা।

(মুস্তাদরাকে হাকিম, হাঃ নং ৭৯১)

৫. অতঃপর প্রথমে ডান পায়ে জুতা পরা। তারপর বাম পায়ে পরা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৫৮৫৫)

আযানের সুন্নাতসমূহঃ

১. পাক-পবিত্র অবস্থায় আযান দেয়া।

(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ১৭৯৯)

২. কিবলামুখী হয়ে আযান দেয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রেখে কিবলামুখী করে রাখা।



(আবু দাউদ, হাঃ নং ৫০৭/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ১৮০২)

৩. ক. প্রথম দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা।

খ. অতঃপর দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা।

বি.দ্র. উল্লেখিত তাকবীরসমূহের প্রত্যেকটির শেষে সাকিন করা, অর্থাত ‘আল্লাহু আকবারুল্লাহু আকবার’ এভাবে না বলা।

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ২৩৭৭)

গ. অতঃপর মাঝের বাক্যগুলির মধ্য হতে এক একটি বাক্য এক শ্বাসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা ও থামা।

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ২৩৭৭)

ঘ. শেষের দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা ও উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।



ঙ. সর্বশেষে লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহ বলে আযান শেষ করা।

(নাসায়ী, হাঃ নং ৬৫২)

উল্লেখ্য, এক এক বাক্য বলে থামার পর এ পরিমাণ বিরতি দেয়া, যাতে পঠিত বাক্যটি একবার পড়া যায়; অর্থাত শ্রোতাগণ যেন উক্ত সময়ে আযানের জওয়াব দিতে পারেন।

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ২২৩৪)

৪. ডান দিকে চেহারা ফিরানোর পর ‘হাইয়া আলাসসালাহ’ বলা এবং বাম দিকে চেহারা ফিরানোর পর ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলা। কিন্তু বুক ও পা কিবলার দিক থেকে ফিরাবে না।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬৩৪)

৫. মহল্লার প্রথম আযান শ্রবণের সাথে সাথে আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত শ্রোতাগণের তিলাওয়াত, যিকির, তাসবীহ ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া।



(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ১৮৪৯)

৬. আযানের জওয়াব দেয়া। অর্থাত মুআজ্জিনের আযানের বাক্য উচ্চারণের ফাঁকে ফাঁকে শ্রোতাগণের হুবহু আযানের শব্দগুলোই বলা। তবে ‘হাইয়া আলাসসালাহ’এবং‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলার পর জওয়াবে ‘লা -হাউলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলা। আর ফজরের আযানে ‘আসসালাতু খইরুম মিনান নাউম’ এর জওয়াবে ‘সদাক্বতা ওয়া বারারতা’ বলা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬১১-৬১৩/ মুসলিম হাঃ নং ৩৮৫)

৭. আযান শেষে দরূদ শরীফ পড়া।



(মুসলিম, হাঃ নং ৩৮৪)

৮. অতঃপর এই দু‘আ পড়া :

اللهم رب هذه الدعوة التامة والصلوة القائمة ات محمدن الوسيلة والفضيلة وابعثه مقاما محمود الذى وعدته انك لاتخلف الميعاد

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬১৪, ৪৭১৯/ বাইহাকী হাঃ নং ১৯৩৩)

বি.দ্র. আযানের তাকবীরসমূহ বিশেষত দ্বিতীয় তাকবীর এক আলিফ-এর চেয়ে বেশি j¤^v করা সহীহ নয় এবং আওয়াজের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি করা অর্থাত, ইচ্ছা পূর্বক আওয়াজ উঁচু-নীচু করা মারাত্মক অন্যায়।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৬০৯/ দারাকুতনী, হাঃ নং ৯০৬ আদ/ দুররুল মুখতার, ১ : ৩৮৭)

ইকামাতের সুন্নাতসমূহঃ

১. পাক-পবিত্র অবস্থায় ইকামাত দেয়া।

(তিরমিযী, হাঃ নং ২০০)

২. কিবলামুখী হয়ে ইকামাত দেয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রেখে উভয় পা কিবলামুখী করে রাখা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৪৯৯/ আদ্ দুররুল মুখতার, ১ : ৩৮৯)

৩. ক. ইকামাতে হদর করা অর্থাত, প্রথম চার তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক তাকবীরের শেষে সাকিন করা।

(তিরমিযী, হাঃ নং ১৯৫)

খ. অতঃপর মাঝের বাক্যগুলোর মধ্যে হতে দুই দুই বাক্য একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা।



(কানযুল উম্মাল, হাঃ নং ২৩২১০)

গ. সর্বশেষ দুই তাকবীরের সাথে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ মিলিয়ে একত্রে এক শ্বাসে বলা এবং উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।

(মা‘আরিফুস সুনান, ২ : ১৯৫/ শামী, ১ : ৩৮৬)

৪. ইকামাতেও আযানের ন্যায় ডান দিকে চেহারা ফিরিয়ে তারপরে ‘হাইয়া আলাস্ সালাহ’ বলা। এরপর বাম দিকে চেহারা ফিরিয়ে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলা। (তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সীনা না ঘুরে এবং চেহারা ঘুরানো শেষ হওয়ার পর হাইয়া…বলা শুরু করা। )

(মুসলিম, হাঃ নং ৫০৩/ আদ্ দুররুল মুখতার, ১ : ৩৮৭)

৫. আযানের জওয়াবের মতই মুসল্লীগণের ইকামাতের জওয়াব দেয়া।

তবে ‘ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ’-এর জওয়াবে

اقا مها الله وادامها

(আক্বামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা) বলা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৫২৮)

নামাযের ফরয ১৩ট

নামাযের বাইরে ৭টি ফরযঃ

১. শরীর পাক হওয়া।

(সূরা মায়িদা আয়াত : ৬)

২. কাপড় পাক হওয়া।

(সূরা মুদ্দাছ্‌ছির, আয়াত : ৪)

৩. নামাযের জায়গা পাক হওয়া।

(সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

৪. ছতর ঢাকা (অর্থাত পুরুষগণের নাভী হতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের চেহারা, কব্জি পর্যন্ত দুই হাত এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)।



(সূরা আ‘রাফ, আয়াত : ৩১)

৫. কিবলামুখী হওয়া।

(সূরা বাকারা, আয়াত : ১৪৪)

৬. ওয়াক্তমত নামায পড়া।

(সূরা নিসা আয়াত : ১০৩)

৭. অন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের নিয়ত করা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ১)

নামাযের ভিতরে ৬টি ফরয

১. তাকবীরে তাহরীমা অর্থাত শুরুতে আল্লাহু আকবার বলা।

(সূরা মুদ্দাছছির, আয়াত : ৩)

২. ফরয ও ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে পড়া।



(সূরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮)

৩. ক্বিরা‘আত পড়া (অর্থাত কুরআন শরীফ হতে ছোট এক আয়াত পরিমাণ পড়া। )

(সূরা মুয্‌যাম্মিল ,আয়াত : ২০)

৪. রুকু করা।

(সূরা হজ্জ, আয়াত : ৭৭)

৫. দুই সিজদা করা।

(সূরা হজ্জ, আয়াত : ৭৭)

৬. শেষ বৈঠক (নামাযের শেষে তাশাহহুদ পরিমাণ বসা)

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৯৭০)

বি.দ্র. নামাযী ব্যক্তির নিজস্ব কোন কাজের মাধ্যমে (যেমন- সালাম ফিরানো) নামায থেকে বের হওয়াও একটা ফরয।

(আল বাহরুর রায়িক, ১ : ৫১৩)

নামাযের কোন ফরয বাদ পড়লে নামায বাতিল হয়ে যায়।

সাহু সিজদা করলেও নামায সহীহ হয় না।

(প্রমাণ : আল বাহরুর রায়িক, ১ : ৫০৫) শামী, ১ : ৪৪৭/ হিদায়া, ১ : ৯৮)

নামাযের ওয়াজিব ১৪ট

১. সূরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া।

(বুখারী, হাঃ নং ৭৫৬)

২. সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মিলানো।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৭৬, মুসলিম, হাঃ নং ৪৫১)

৩. ফরযের প্রথম দুই রাক‘আতকে ক্বিরা‘আতের জন্য নির্দিষ্ট করা।

(বুখারী শরীফ, হা নং ৭৭৬/ মুসলিম, হাঃ নং ৪৫১)

৪. সূরা ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া।



(তিরমিয়ী, হাঃ নং ২৪৬/ ত্বাহাবী, হাঃ নং ১১৭২)

৫. নামাযের সকল রোকন ধীর স্থিরভাবে আদায় করা। (অর্থাত রুকু, সিজদা এবং রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ও দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা। )

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৮৫৬, ৮৫৭, ৮৫৮)

৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাত তিন অথবা চার রাক‘আত বিশিষ্ট নামাযের দুই রাকআতের পর বসা)।

(বুখারী, হাঃ নং ৮২৮)

৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮৩০, ৮৩১/ মুসলিম, হাঃ নং ৪০২, ৪০৩)

৮. প্রত্যেক রাক‘আতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তরতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা।



(তিরমিযী, হাঃ নং ৩০২)

৯. ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব স্ব স্থানে আদায় করা। (যেমন দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সাথে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু শেষ করে ততক্ষণাত তৃতীয় রাকা‘আতের জন্য দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

(বাদায়িউস সানায়ে, ১ : ৬৮৯)

১০. বিতরের নামাযে তৃতীয় রাক‘আতে কিরাআতের পর কোন দু‘আ পড়া। অবশ্য দু‘আ কুনূত পড়লে ওয়াজিবের সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে।



(নাসায়ী হাঃ নং ১৬৯৯/ ইবনে মাজাহ, হাঃ নং ১১৮২/ ত্বহাবী, হাঃ নং ১৪৫৫)

১১. দুই ইদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ১১৫৩)

১২. দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাক‘আতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা।

(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ৫৭০৪/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ৫৬৮৫)

বি.দ্র. এ তাকবীরটি অন্যান্য নামাযে সুন্নাত।

১৩. ইমামের জন্য যোহর, আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে ক্বিরা‘আত আস্তে পড়া এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুম‘আ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমযান মাসের বিতর নামাযে ক্বিরা‘আত শব্দ করে পড়া।

(মারাসীলে আবু দাউদ, হাঃ নং ৪১/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ ৫৭০০/ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ৫৪৫২)

বি.দ্র. আস্তে পড়ার অর্থ মনে মনে নয়, কারণ তাতে নামায শুদ্ধ হয় না।

বরং আওয়াজ না করে মুখে পড়া জরুরী।

১৪. সালাম-এর মাধ্যমে নামায শেষ করা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৯৯৬)

বি.দ্র.- উল্লেখিত ওয়াজিবসমূহের মধ্য হতে কোন একটি ভুলে ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। সিজদায়ে সাহু না করলে বা ইচ্ছাকৃত কোন ওয়াজিব তরক করলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। পুনরায় পড়া ওয়াজিব হবে।



(প্রমাণ : শামী, ১৪ : ৪৫৬/ আলমগীরী, ১ : ৭১/ আল বাহরুর রায়িক, ১ : ৫১০)

নামাযের সুন্নাতসমূহঃ

ক. দাঁড়ানো অবস্থায় সুন্নাত ১১টি

১. উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলামুখী করে রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল, উর্ধ্বে একবিঘত পরিমাণ ফাঁকা রাখা।

(নাসায়ী হাঃ নং ৮৯২/ হিন্দিয়া, ১ : ৭৩)

২. তাকবীরে তাহরীমার সময় চেহারা কিবলার দিকে রেখে নজর সিজদার জায়গায় রাখা এবং হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝুঁকানো।

(তিরমিযী, হাঃ নং ৩০৪/ মুস্তাদরাক, ১৭৬১)

৩. উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো। অর্থাত উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা কানের লতি পর্যন্ত উঠানো।

(মুসলিম, হাঃ নং ৩৯১)

৪. হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলসমূহ ও হাতের তালু কিবলামুখী রাখা।



(তাবরানী আউসাত, হাঃ নং ৭৮০১)

৫. আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিক রাখা অর্থাত একেবারে মিলিয়েও না রাখা, আবার বেশি ফাঁক ফাঁক করেও না রাখা।

(মুস্তাদরাক, হাঃ নং ৮৫৬)

৬. ইমামের তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সাথে সাথে মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা যেন ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে শেষ না হয়। এরূপ হলে মুক্তাদীর নামায হবে না।

(মুসলিম, হা নং ৪১৪, ৪১৫/ বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৩৪)

৭. হাত বাঁধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের (পাতার) উপর রাখা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৭২৬/ মুসান্নাফে ইবন আবী শাইবাহ, হাঃ নং ৩৯৪২)

৮. ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠাঙ্গুলি দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়ে বাম হাতের কব্জি ধরা।



(তিরমিযী, হাঃ নং ২৫২/ ইবনে মাজাহ, হাঃ নং ৮১১)

৯. অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের উপর স্বাভাবিকভাবে বিছিয়ে রাখা।

(ফাতহুল কাদীর, ১ : ২৫০)

১০. নাভীর নীচে হাত বাঁধা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৭৫৬/ হিন্দিয়া, ১ : ৭৩)

১১. ছানা পড়া।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৭৭৫, ৭৭৬)

খ. ক্বিরা‘আতের সুন্নাত ৭টিঃ

১. প্রথম রাকা‘আতে ছানা পড়ার পর পূর্ণ আ‘উযুবিল্লাহ পড়া।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৭৬৪/ ইবনে মাজাহ, হাঃ নং ৮০৭)

২. প্রতি রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা ও সূরা মিলানোর পূর্বে পূর্ণ বিসমিল্লাহ পড়া।



(নাসায়ী শরীফ, হাঃ নং ৯০৫)

৩. সূরা ফাতিহার পর সকলের জন্য নীরবে ‘আমীন’ বলা।

(সুনানে দারাকুতনী, হাঃ নং ১২৫৬/ বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৮০)

৪. ফজর এবং যোহরের নামাযে ত্বিওয়ালে মুফাসসাল (লম্বা ক্বিরা‘আত ) অর্থাত সূরা ‘হুজুরাত’ থেকে সূরা ‘বুরূজ’ পর্যন্ত, আসর এবং ইশার নামাযে আউসাতে মুফাসসাল (মধ্যম ক্বিরা‘আত) অর্থাত সূরা ‘ত্বরিক’ থেকে সূরা ‘লাম-ইয়াকুন’ পর্যন্ত এবং মাগরিবে ক্বিসারে মুফাসসাল (ছোট ক্বিরা‘আত) অর্থাত সূরা ‘ইযা-যুলযিলাত্’ থেকে সূরা ‘নাস’ পর্যন্ত থেকে প্রতি রাকা‘আতে যে কোন একটি সূরা বা কোন কোন সময় বড় সূরা থেকে এ পরিমাণ ক্বিরা‘আত পড়া।

(নাসায়ী শরীফ, হাঃ নং ৯৮৩/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ২৬৭২)

৫. ফজরের প্রথম রাক‘আত দ্বিতীয় রাক‘আত অপেক্ষা লম্বা করা। অন্যান্য ওয়াক্তে উভয় রাক‘আতে ক্বিরা‘আতের পরিমাণ সমান রাখা উচিত।

(মুসলিম শরীফ, হাঃ নং ৪৫১, ৪৫২)

৬. ক্বিরা‘আত অত্যন্ত তাড়াতাড়ি বা একেবারে ধীর গতিতে না পড়া, বরং মধ্যম গতিতে পড়া।



(মুসলিম শরীফ, হাঃ নং ৭৩৩)

৭. ফরয নামাযের তৃতীয় এবং চতুর্থ রাক‘আতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়া।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৭৬)

গ. রুকুর সুন্নাত ৮টিঃ

১. তাকবীর বলা অবস্থায় রুকুতে যাওয়া।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৮৯)

২. উভয় হাত দ্বারা হাঁটু ধরা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৯০)

৩. হাতের আঙ্গুলসমূহ ফাঁক করে ছড়িয়ে রাখা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৭৩১)

৪. উভয় হাত সম্পূর্ণ সোজা রাখা, কনুই বাঁকা না করা।



(আবু দাউদ, হাঃ নং ৭৩৪)

৫. পায়ের গোছা, হাঁটু ও উরু সম্পূর্ণ সোজা রাখা। হাঁটু সামনের দিকে বাঁকা না করা।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৮৬৩)

৬. মাথা, পিঠ ও কোমর সমান রাখা, উঁচু-নীচু না করা এবং পায়ের দিকে নজর রাখা।

(মুসলিম শরীফ, হাঃ নং ৪৯৮/ বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮২৮)

৭. রুকুতে কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম) পড়া।

(আবু দাউদ, হাঃ নং ৮৮৯)

৮. রুকু হতে উঠার সময় ইমামের ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ্ এবং মুক্তাদীর ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ এবং একাকী নামায আদায়কারীর উভয়টি বলা।



(আলমগীরী, ১ : ১২/ বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৭৮৯, ৭৩৩)

বি.দ্র. রুকু থেকে উঠে সম্পূর্ণ সোজা হয়ে এক তাসবীহ পরিমাণ স্থিরভাবে দাঁড়ানো জরুরী।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮০০, ৮০১, ৮০২)

ঘ. সিজদার সুন্নাত ১২টিঃ

১. তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮০৩)

বি.দ্র. সিজদায় যাওয়া ও সিজদা হতে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর এক আলিফ থেকে অধিক টানা উচিত নয়। অবশ্য হদর এবং তারতীলের পার্থক্য থাকবে।

(শামী, ১ : ৪৮০)

২. প্রথমে উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা।



(নাসায়ী, হাঃ নং ১০৮৯/ আবু দাউদ, হাঃ নং ৮৩৮)

৩. তারপর হাঁটু থেকে আনুমানিক এক হাত দূরে উভয় হাত রাখা এবং হাতের আঙ্গুলসমূহ কিবলামুখী করে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে রাখা।

(মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ১৮৮৮২/ সহীহ ইবনে খুযাইমাহ, হাঃ নং ৬৪৩)

৪. তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা বরাবর নাক রাখা।

(মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ১৮৮৮০)

৫. তারপর কপাল রাখা।

(মুসনাদে আহমদ, হাঃ নং ১৮৮৮০)

৬. অতঃপর দুই হাতের মাঝে সিজদা করা এবং দৃষ্টি নাকের অগ্রভাগের দিকে রাখা।

(মুসলিম, হাঃ নং ৪০১/ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাঃ নং ১৭৬১)

৭. সিজদায় পেট উরু থেকে পৃথক রাখা।



(মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ২৩৬৬২/ আবু দাউদ, হাঃ নং ৭৩৫)

৮. পাঁজড়দ্বয় থেকে উভয় বাহু পৃথক রাখা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮০৭)

৯. কনুই মাটি ও হাঁটু থেকে পৃথক রাখা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮২২)

১০. সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবীহ

(সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা ) পড়া। ১১. তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদা হতে উঠা।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮২৫)

১২. প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর উভয় হাত, তারপর উভয় হাঁটু উঠানো।



(তিরমিযী, হাঃ নং ২৬৮/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ২৯৫৮)

বি.দ্র.- দাঁড়ানো অবস্থা থেকে সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু মাটিতে লাগার আগ পর্যন্ত বুক সম্পূর্ণ সোজা রাখা জরুরী। বিনা ওজরে বুক ঝুঁকিয়ে সিজদায় গেলে একাধিক রুকু হয়ে সুন্নাতের খেলাফ হবে। দু‘সিজদার মাঝে সম্পূর্ণ সোজা হয়ে এক তাসবীহ পরিমাণ স্থির হয়ে বসা জরুরী।

(আবু দাউদ হাঃ নং ৮৩৮/ শামী, ১ঃ৪৬৪)

ঙ. নামাযে বসার সুন্নাত ১৩টিঃ

১. বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা। ডান পা সোজা ভাবে খাড়া রাখা।

উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ সাধ্যমত কিবলার দিকে মুড়িয়ে রাখা।

(নাসাঈ, হাঃ নং ১১৫৮)

২. উভয় হাত রানের উপর হাঁটু বরাবর করে রাখা এবং দৃষ্টি দুই হাঁটুর মাঝ বরাবর রাখা।

(মুসনাদে আহমাদ, হাঃ নং ১৬১০৬)

৩. ‘আশ্‌হাদু’ বলার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা এক সাথে মিলিয়ে গোলাকার বৃত্ত বানানো এবং অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুলিদ্বয় মুড়িয়ে রাখা এবং ‘লা-ইলাহা’ বলার সময় শাহাদাত আঙ্গুল সামান্য উঁচু করে ইশারা করা। অতঃপর ‘ইল্লাল্লাহু’ বলার সময় আঙ্গুলের মাথা সামান্য ঝুঁকানো। হাঁটুর সাথে না লাগানো।



(আবু দাউদ, হাঃ নং ৭২৬/ নাসাঈ, হাঃ নং ১২৭৪)

৪. আখেরী বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর দরূদ শরীফ পড়া।

(তিরমিযী, হাঃ নং ৩৪৭৭)

৫. দরূদ শরীফের পর দু‘আয়ে মাছুরা পড়া।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮৩৪/ তিরমিযী, হাঃ নং ৫৯৩)

৬. উভয় দিকে সালাম ফিরানো।

(তিরমিযী, হাঃ নং ২৯৫)

৭. ডান দিকে আগে সালাম ফিরানো। উভয় সালাম কিবলার দিক থেকে আরম্ভ করা এবং সালামের সময় দৃষ্টি কাঁধের দিকে রাখা।



(মুসলিম, হাঃ নং ৫৮২)

৮. ইমামের উভয় সালামে মুক্তাদী, ফেরেশতা ও নামাযী জ্বিনদের প্রতি সালাম করার নিয়ত করা।

(মুসলিম, হাঃ নং ৪৩১)

৯. মুক্তাদীগণের উভয় সালামে ইমাম, অন্যান্য মুসল্লী, ফেরেশতা ও নামাযী জ্বিনদের প্রতি সালাম করার নিয়ত করা।

(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ৩১৪৯, ৩১৫২)

১০. একাকী নামাযী ব্যক্তি শুধু ফেরেশতাগণের প্রতি সালাম করার নিয়ত করা।

(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ৩১৪০)

১১. মুক্তাদীগণের ইমামের সালাম ফিরানোর পরপরই সালাম ফিরানো।

(বুখারী শরীফ, হাঃ নং ৮৩৮)

১২. দ্বিতীয় সালাম প্রথম সালাম অপেক্ষা আস্তে বলা।



(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাঃ নং ৩০৫৭)

১৩. ইমামের দ্বিতীয় সালাম ফিরানো শেষ হলে মাসবূকের ছুটে যাওয়া নামায আদায়ের জন্য দাঁড়ানো।

(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাঃ নং ৩১৫৬)




চলবে........................

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।