আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাচীন মিশরের পিরামিড তৈরির ভিন্নধর্মী কেচ্ছা কাহিনী-৩

...


১ম পর্ব
২য় পর্ব

স্টার গডঃ
পিরামিড যারা বানিয়েছিল তারা ‘স্টার গড’ এর পূজা করত। তাই পিরামিডের আকৃতি অনেকটা ‘স্টার’ এর মতো। ‘সিরিয়াস’ হচ্ছে রাতে আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। প্রতি বছর নীল নদে বন্যার আগ মূহুর্তে আকাশে ‘সিরিয়াস’ দৃশ্যমান হতো। নীল নদ হচ্ছে মিশরের প্রাণ।

বন্যায় বয়ে আসা পলি মাটি তাদের খাদ্যের যোগান দিত। তাই ‘সিরিয়াস’ ছিল তাদের দেবতা।

কোরআনে আছে;
“আর তিনি শি’রা (সিরিয়াস) নক্ষত্রের মালিক। এবং তিনিই প্রথম আ’দ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিলেন। ” (সুরা নাজমঃ ৪৯-৫০)

কোরআনে আর কোথাও অন্য কোন জাতির সাথে ‘সিরিয়াস’ কে সম্পর্কিত করা হয় নি।

তার মানে দাঁড়াচ্ছে আ’দ জাতি ‘সিরিয়াস’ এর পূজা করত। আল্লাহর অবাধ্যতার জন্য তারা ধ্বংস হয়ে যায়।

পিরামিড আকাশের ‘সিরিয়াস’ নক্ষত্রকে নির্দেশ করে।








প্রাচীন দেয়াল চিত্র


প্রাচীন দেয়াল চিত্র

প্রাচীন মিশর ও হূদ (আঃ)
ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে আলেক্সান্দিয়ার প্রাচীন শহর দেবহা তে ২ টি প্রাচীন বন্দরের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়। একটি পোর্ট হূদ এবং অপরটি পোর্ট রাস আল দেবহা।

এই দুটি পোর্ট ছিল গ্রিক-রোমান সময়ের- ইসলাম আসার অনেক আগের।

পোর্টের নাম হূদ কেন? তার মানে কি এই নাম কোন কারনে বিখ্যাত ছিল? কোন কারনে ঐ অঞ্চলের লোকদের সাথে সম্পর্কিত ছিল?

প্রসংগতঃ কোরআন ছাড়া অন্য কোন ধর্মগ্রন্থে নবী হূদ (আঃ) এর রেফারেন্স পাওয়া যায় না। অনেকেই ধারনা করে থাকেন হূদ (আঃ) ইয়েমেন অঞ্চলে নয় বরং প্রাচীন মিশরে ছিলেন। আর ইরাম নগরী হতে পারে প্রাচীন মিশরের কোন এক শহর। ইসলাম পরবর্তী সময়ে আ’দ জাতি, ইরামকে নিয়ে অনেক গল্প গাথা তৈরী হয় যে তারা ইয়েমেন অঞ্চলে ছিলেন।



মিশরের কোন একটা বন্দরের নাম যদি পোর্ট হূদ হয়ে থাকে তাহলে এটা ভাবা যায় যে-হূদ নামের সম্ভ্রান্ত কেউ একজন এই এলাকায় ছিলেন এবং তার সম্মানার্থে এই নামকরন করা হয়েছিল।

“আর আ’দ জাতির প্রতি আমি তাদের ভাই হুদকে (আঃ) প্রেরণ করেছি; তিনি বলেন-হে আমার জাতি, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, তিনি ভিন্ন তোমাদের কোন সত্য মাবুদ নেই, তোমরা শুধু মিথ্যা উদ্ভাবনকারী। ” (সূরা হূদঃ ৫০)

অর্থাৎ আ’দ জাতি এবং হূদ (আঃ) প্রাচীন মিশরে ছিলেন ?

পিরামিডের প্রবেশ পথঃ
যদি আমরা পিরামিডের প্রবেশ পথ দেখি- কি দেখতে পাব? অনেক উঁচুতে বিশাল এক প্রবেশ পথ যা ৫০-৭০ টন ওজনের একেকটি পাথর দিয়ে বন্ধ করা আছে। প্রবেশ পথ এত উঁচুতে কেন? এত বড়ই বা কেন?

এর একটাই উত্তর হতে পারে- তখনকার সময়ের মানুষগুলো বিশাল আকৃতির অথবা দীর্ঘদেহী ছিল। তাদের আকার ও উচ্চতা অনুযায়ী পিরামিডের প্রবেশ পথ বানানো হয়েছিল।



বর্তমানকালে ঐ দরজার নীচে আমাদের প্রবেশের সুবিধার্থে পাথর সরিয়ে নতুন প্রবেশ পথ বানানো হয়। নতুন প্রবেশ পথ আমাদের আকার ও উচ্চতা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।


প্রশ্ন হতে পারে পিরামিডের ভেতরের প্যাসেজের কি অবস্থা? প্যাসেজগুলো ৩-৪ মিটার প্রসস্থ ও ১০ মিটার উঁচু। বর্তমানে যে প্যাসেজ দিয়ে পিরামিডের ভেতরে ঢুকা হয় তা মূলত এয়ার শ্যাফট। ভেতরের রুম গুলিও অনেক বড় আকৃতির।

পিরামিডের ভেতরের কিং’স চেম্বার ৩৪ ফিট দৈর্ঘ্য, ১৭ ফিট প্রশস্ত এবং ১৯ ফিট উঁচু।

তাহলে কি প্রমাণিত হল? দানব আকৃতির কারো জন্য ঐ প্যাসেজ ও রুম বানানো হয়েছিল।






উপরে মূল প্রবেশ পথ, নীচে আমাদের বানানো প্রবেশ পথ।



গ্র্যান্ড গ্যালারি


এয়ার শ্যাফট








বিল্ডিংয়ের প্রবেশপথ এত বড় কেন?

নিজেই উত্তর খুঁজুন.....

(চলবে)

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।