আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন সাংসদদের শপথের অপেক্ষা

সংবিধান অনুযায়ী, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ পড়াবেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এরইমধ্যে জাতীয় সংসদের ‘শপথ কক্ষে’ পৌঁছে গেছেন অধিকাংশ সাংসদ।

রেওয়াজ অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের সদস্যরাই প্রথমে শপথ নেবেন। এরপর ক্রমানুসারে শপথ নেবেন অন্যরা।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন সংসদ সচিব আশরাফুল মকবুল।

এর আগে বুধবার রাতেই শপথ অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়। সংসদ সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশের ওপরও আরোপ করা হয় কড়াকড়ি।

এই শপথ অনুষ্ঠানের জন্য বুধবার সংসদ সচিবালয়ের অফিস শুরুর সময় সকাল ৯টা থেকে এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা সকাল ৮টার আগেই ‘ডগ স্কোয়াড’ নিয়ে তল্লাশি করেন শপথ কক্ষ ও আশেপাশের এলাকা।

সংসদ ভবনের নিচতলায় শপথ কক্ষের বাইরে বসানো হয়েছে দুটি টেলিভিশন মনিটর।

আর তার সামনে দেয়া হয়েছে শ’ তিনেক চেয়ার।

শপথ কক্ষের ভেতরে যারা ঢুকতে পারবেন না তাদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বুধবার বিকালেই শপথ কক্ষ পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজ খবর নেন।

সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমডোর আশরাফুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্য ছাড়া আর কাউকে সংসদ সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। ”

তবে শপথ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর দর্শনার্থীরা নিয়ম মেনে সংসদ ভবনে ঢুকতে পারবেন বলে জানান তিনি।

রেওয়াজ অনুযায়ী শপথ শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সংসদ সচিবের কার্যালয়ে স্বাক্ষর খাতায় সই করবেন এবং ছবি তুলবেন।

সংসদের ভিআইপ ক্যাফেটারিয়ায় নবনির্বাচিত সাংসদের জন্য চা-চক্রেরও আয়োজন করা হয়েছে।

নবম সংসদে বিরোধী দলে থাকা বিএনপি ও তাদের শরিকদের বর্জনের মধ্যেই গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হয়, যাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার দুপুরে ইসির অনুমোদনের পর ২৯০টি আসনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক স্বাক্ষরিত ওই গেজেট সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ে পৌঁছায়।

সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন বসারও কথা রয়েছে।

দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর গত ৫ জানুয়ারি ভোটে নির্বাচিত হন ১৩৯ জন। বাকি আটটি আসনে পুনর্ভোট হবে ১৬ জানুয়ারি।

এর মধ্যে যশোর-১ আসনে বিজয়ী শেখ আফিলউদ্দিন ও যশোর-২ আসনে মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি লংঘনের অভিযোগ থাকায় ওই দুটি আসন বাদ রেখে বাকি ২৯০ আসনের গেজেট প্রকাশ করে ইসি।

গেজেট অনুযায়ী সংসদে আওয়ামী লীগ ২২৯, জাতীয় পার্টি ৩৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাসদ ৫, স্বতন্ত্র ১৪ এবং তরিকত ফেডারেশন, বিএনএফ ও জেপি একটি করে আসন পেয়েছে।

অবশ্য দুটি আসনে জয়ী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গোপালগঞ্জের আসন রেখে রংপুরের আসনটি ছেড়ে দেবেন বলে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। এই হিসাবে বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন ২৮৯ জন।

শপথ অনুষ্ঠান শেষে বৈঠকে বসবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল।

দলীয় সভনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের নবম তলায় সরকারি সভাকক্ষে এই বৈঠক হবে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.