আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন মন্ত্রিসভায় যারা স্থান পেতে পারেন

আমি লেখা-লেখিতে দক্ষ নয়। মুলত একজন পাঠক । তারপরও কিছু লেখা লিখতে চাই মনের মত করে

ঢাকা, জানুয়ারী ০৮: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নতুন মন্ত্রিসভায় পরীক্ষিত সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি তরুন মুখও আনতে চান। এর আগে তাঁর সরকারে যারা ভালো কাজ করেছেন তাঁদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে রাখা হবে নির্বাচনকালীন সরকারে নেতৃত্ব দেওয়া সিনিয়র নেতাদের।

এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে এবার রওশন এরশাদ যাদের নাম সুপারিশ করবেন মন্ত্রীসভায় তাঁদেরও নেওয়া হতে পারে। ১৪ দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস পাওয়া গেছে।

মহাজোট সরকারের বিতর্কিত মন্ত্রীসহ যাঁরা সরকারে থেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণভিত্তি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁদের জায়গা পাওয়া কঠিন হবে। এদিকে, বয়সের কারনে গুরু দায়িত্ত্ব থেকে মুক্ত রাখতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকারকে এবার প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হতে পারে বলেও ১৪ দল সূত্রটি জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার অন্যতম পছন্দ হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ফরাসউদ্দিন আহমেদ।



আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার পরবর্তী মন্ত্রিসভায় তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ওবায়দুল কাদের, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, আব্দুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, শাজাহান খান, দীপু মনি, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, কামরুল ইসলাম ও আফম রুহুল হক, খোন্দকার মোশাররফ হোসেন আবারও মন্ত্রীসভায় থাকছেন। এছাড়া সাবেকমন্ত্রী ইন্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবার মন্ত্রীসভায় জায়গা পেতে পারেন।

মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা ময়মনসিংহ থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সাংসদ মোসলেম উদ্দিন, তরুন নেতা নজরুল হামিদ দিপু, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবার মন্ত্রীসভায় জায়গা পেতে পারেন।

১৪ দলের অন্যান্য শরিকদের মধ্যে সাম্যবাদী দল নেতা দিলীপ বড়ুয়াকে মন্ত্রী পদ মর্যদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবেই রেখে দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন ও ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের হাসানুল হক ইনু ও নাজমুল হক প্রধানকে মন্ত্রীসভায় দেখা যেতে পারে বলে জানা গেছে।

এরমধ্যে মেনন ও ইনুর জায়গা দলের প্রধান হিসেবে প্রায় নিশ্চিত।

অন্যান্য শরিকদের মধ্যে তরীকত ফেডারেশন, খেলাফত মজলিস কিংবা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকেও দুই একটি মুখ মন্ত্রীসভায় দেখা মিলতে পারে।

এছাড়া, এইচটি ইমাম, ডা. মোদাচ্ছের আলী, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ড. গওহর রিজভী, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে এবারও থাকছেন বলে জানা গেছে। জাতীয় পার্টি (জেপির) আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গত ২৪ নভেম্বর উপদেষ্টা নিয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বহাল থাকছেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পরিষদের তালিকায় আসতে পারে দুই তিনটি নতুন মুখ।

দশম জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রিসভার আকার শুরুতে ৫০ জনের মধ্যেই থাকবে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা দ্রুতই নতুন সরকার গঠন করে সরকারের কাজে গতিশীলতা আনতে চান বলে জানা গেছে। ফলে সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কাজ করে যাচ্ছে।

জানা গেছে,দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ২৯২ জনের মধ্যে ২৯০ জন সংসদ সদস্য বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন।

কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করার লক্ষেই কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনকালীন সরকার।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা আকারে বেশ বড় হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। ৬৫ জনকে নিয়ে সেই মন্ত্রিসভায় ৩২ জন মন্ত্রী , ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা ৭ জন ও প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় ৬ জন জায়গা পান। এছাড়া বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যানকে দেয়া হয় মন্ত্রীর মর্যাদা। এতে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা হয়েছিলো ৬৫ জন।



নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পর মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভার অন্যতম চমক ছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে জায়গা না দেওয়া। ১/১১ এর বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে দলটির সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমদ, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল জলিল, আমীর হেসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের ও মোহাম্মদ নাসিম তাতে সুযোগ পাননি। মহাজোট সরকার গঠনের পর ৩ বছরের মাথায় মন্ত্রিসভার জায়গা পান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও ওবায়দুল কাদের। এরপর মহাজোট সরকারে শেষপ্রান্তে গত ২১ নভেম্বর নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ জাতীয় পার্টির ৬ জন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রীসভায় যেমন চমক ছিলো তেমন কিছু এবারো ঘটতে পারে।

তাই মহাজোটের অনেক মন্ত্রীও এখন টেনশনে আছেন বলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন তরুন নেতা মন্তব্য করেছেন।


উৎসঃLink


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.