আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘সুয়ারেজ বিক্রির জন্য নয়’

ব্রিটিশ গণমাধ্যম জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে—এ অভিযোগ তুলে লিভারপুল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। আগ্রহ দেখিয়েছেন ইংলিশ লিগ ছেড়ে স্পেনে পাড়ি জমানোর। তবে লিভারপুল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ ‘বিক্রির জন্য নয়’।
‘লুইস সুয়ারেজ বিক্রির জন্য নয়। ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে লুইস বা তার প্রতিনিধি লিভারপুলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেনি।

তার চুক্তির প্রতি ক্লাবের শ্রদ্ধা রয়েছে। এ পর্যায়ে এর বেশি কিছু বলতে পারব না আমরা। ’ লিভারপুলের একজন মুখপাত্র গতকাল শুক্রবার এ কথা বলেছেন।
২০১১ সালের জানুয়ারিতে লিভারপুলে যোগ দেন সুয়ারেজ। তাঁর খেলোয়াড়ি দক্ষতা নিয়ে কখনোই প্রশ্ন ছিল না।

প্রশ্ন আছে তাঁর ‘আচরণ’ নিয়ে। ইংলিশ লিগের গত মৌসুমে ২৩ গোল করে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে শেষ চার ম্যাচ খেলতে না পারায় সংখ্যাটা আর বাড়েনি।
গত ২৪ এপ্রিল সুয়ারেজকে ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। অপরাধ, চেলসি ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচকে কামড়ে দিয়েছিলেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকলেও তা করেননি সুয়ারেজ। শাস্তি মেনে নিয়ে তিনি ইভানোভিচের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কামড়কাণ্ডের পরের দিনই তাঁকে জরিমানা করে তাঁর ক্লাব লিভারপুল। তবে তাঁকে কী পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়েছিল, তা প্রকাশ করেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
কামড়কাণ্ডের আগে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে আট ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান সুয়ারেজ।

তাঁর সব অভিযোগ অবশ্য ব্রিটিশ গণমাধ্যমের ওপর। গণমাধ্যমই তাঁকে ‘ভিলেন’ বানিয়ে তুলেছে দাবি করে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সুয়ারেজ বলেন, ‘আমি লিভারপুলে সুখী। একটা ভুল আমি করেছি, কিন্তু আমিও তো মানুষ। তারা (ব্রিটিশ গণমাধ্যম) আমার সম্পর্কে যেভাবে বলেছে, সেটা উচিত হয়নি। আমার পরিবারকে ভুগতে হচ্ছে।

সবকিছু সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এ নিয়ে আমি ক্লান্ত। আমার মেয়ে ও স্ত্রী ভুগছে। আমি ইংলিশ সাংবাদিকদের হাতে আর ভোগান্তি পোহাতে রাজি নই। তারা আমাকে কখনোই খেলোয়াড় হিসেবে প্রশংসা করেনি, আমার আচরণগত দিকটাই কেবল দেখেছে।

’ সূত্র: রয়টার্স। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।