আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বি,এন,পি ইস্যু সৃষ্টি করেছে, কিন্তু ইস্যু কাজে লাগাতে পারেনি ।

একজন ভাল মানুষ হতে চায়।

২৯ শে ডিসেম্বর ২০১৩, বি,এন,পির নেত্রী ও ১৮ দলীয় জোটের প্রধান চুড়ান্ত লড়াইয়ের ঘোষণা করেন। ভেবে ছিলাম হয়তো এটাই বুঝি সরকার পতনের শেষ যুদ্ধ, ১৮ দলের ব্যাপক প্রস্তুতি আর আওয়ামীলীগরে ভীত চেহেরা দেখেই স্পষ্ট ভাবে ধারণা করা হয়েছিল আওয়ামীলীগ সরকার পতন যাষ্ট সময়ের ব্যাপার।

কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর বি,এন,পির তর্জন গর্জন আর হুংকার বজ্রপাত সবকিছু হাওয়ায় মিশেযায়, মুর্হুতের মধ্যে। এমনিতে সাধারণ হরতাল ও অবরোধের সময় দেশের প্রায় জেলায় , উপজেলায়, মফস্বলে , গ্রামে মিছিল মিটিংহয়।

কিন্তু সেই দিন ২৯ ডিসেম্বর বি,এন,পি সহ ১৮ দলীয় জোটের কোথাও কোন মিছিল হয়নি, মোটা মোটি সেই দিন নিশ্চিত হয়ে যায় , আওয়ামীলীগ নয় বরং বি,এন,পির উল্টো চরম আর চুড়ান্ত পরাজয়ের দিকে এগুচ্ছে।

বি,এন,পি দারুন ভাবে সুন্দর কৌশলের সহিত তত্ত্ববধায় সরকার ইস্যুতে একটি শক্ত অবস্থানে পৌছতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় বি,এন,পি এত দারন আর শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করেও তাদের চুড়ান্ত লক্ষে পৌছাতে পারেনি।

বি,এন,পির নৈতিক আর শক্ত ইস্যু সফল না হবার জন্য দায়ী বিষয় গুলো হলো।

১৮ দলীয় জোটের বেশীর ভাগ নেতারা ছিল নিষ্কিৃয়।

আন্দালিব পার্থ, মহি বি চৌধুরী, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, অলী আহম্মদ , কাদের সিদ্দিকি একটিবারও রাস্তায় নামেনি, বি,এন,পির নিজ দলীয় বেশীর ভাগ নেতাই আগে ভাগে লুকিয়ে পড়েছে চুড়ান্ত অন্দোলন শুরু হবার অনেক আগেই, চট্টগ্রামের মেয়র, সিলেটের মেয়র, রাজশাহী মেয়র, খুলনা ও বরিশালের সবাই ছিল বি,এন,পি হতে নির্বাচিত মেয়র, অতচ বি,এন,পির চরম দুর্দশার দিনেও সাবাই ছিল চুপ আর নিষ্কিৃয়। বি,এন,পির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র ও গৌতম চক্রবর্তীর ছায়াও দেখা যায়নি, তারেক রহমান নিজেই পা তুলে বসে আরাম করে বসেছিল লন্ডনে। শুরু থেকেই একটি বিষয় গভীর ভাবে লক্ষ করেছিলম ১৮ দলের আন্দোলন শুরু হতে শেষ পর্যন্ত জামাত শিবির একাই প্রাণপণ লড়াই করেছে। যেই হেফাজত ইসলামে জন্য বি,এন,পি তার রাজনৈতিক নৈতিকতা বির্সজন দিয়েছে সেই হেফাজত এখন আওয়ামীলীগের দালালী শুরু করেছে।

আওয়ামীলীগ যেই ভাবে আক্রমণাত্ব আর আগ্রাসী হয়ে উঠেছে তাতে মনে হয়, ১৮ দলীয় জোট গুরে দাড়াতে পারবেনা, একের পর এক গণহারে র্নিদ্ধিধায় গ্রাফতার করতেছে বি,এন,পি শীর্ষ নেতাদের , তাতে মনে হচ্ছে আওয়ামীলীগ বি,এন,পি নেতাদের পিপড়াও মনে করতেছেনা।

নির্বোধ আর বেকুপের মত তাড়াহুড়া করে অতিমাত্রায় আগেভাগে দেশে অন্যায় ভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে গিয়ে বি,এন,পির জনপ্রিয় শীর্ষ দুটি চ্যানেল দিগন্ত আর ইসলামী টিভির সম্প্রচারের অধিকার হারায়। তাদের মনে রাখা উচিত ছিল অতিমাত্রায় অন্ধের মত কোন দলীয় দালালী করলে তাতে হিতেবিপরীত হয়।


বি,এন,পির উচিত হবে সরকারের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সর্ম্পক স্থাপন করে একটি সুন্দর সামাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়া। কারণ আওয়ামীলীগ যেই ভাবে চরম শক্তিশালী হয়ে উটেছে তাতে বি,এন,পির পক্ষে আওয়ামীলীগকে মোকাবেলা মারাত্বক কঠিন হয়ে পরবে। অপরদিকে দিন দিন সাংগঠনিক আর আর্থিক দিক ও নেতৃতীত্বে দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচেছ বি,এন,পি।

জামাত শিবির কে সাবই গৃণা করতেছে, হেফাজত ইসলামকে বেশীর ভাগ মানুষ সমর্তন কতেছেনা, বরং উল্টো গৃণা করতেছে উগ্র মৌলবাদী র্ধমীয় অন্ধ আচারণ করার জন্য।

গত দুই তিন দিনের অবস্থা আর জাতীয় পাটি আওয়ামীলীগের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়া , রাশিয়া, চীন, ভারত, সহ বেশ কয়েকটি দেশ হাসিনা সরকারকে সমর্তন দেওয়ায় আরো বিপাকে পরলো বি,এন,পি। আপাতত দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামীলীগ আগামী ৫ বছরের নীচে ক্ষমতা ছাড়বে না ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.