আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউক্যালিপ্টাস দিয়ে ভূগর্ভস্থ স্বর্ণের সন্ধান!

প্রাকৃতিক স্বর্ণকণিকা উদ্ধার করতে বিলিওন বিলিওন অর্থ খরচ হয় সারাবিশ্ব জুড়ে। কিন্তু এবার গবেষকরা জানিয়েছেন নতুন একটি তথ্য। তারা জানিয়েছেন, ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতার নমুনা দেখেই জানা যাবে ওই এলাকায় স্বর্ণ আছে কি না কিংবা থাকলেও তা কত নিচে?

এই গবেষণাটি অবিশ্বাস বা অবাক করা হলেও এটা সত্যি। কারণ ইউক্যালিপ্টাস গাছের মূল মাটির অত্যন্ত গভীরে প্রবেশ করে ফলে এ গাছের মূলের মাধ্যমে মাটির বিভিন্ন স্থর থেকে উঠে আসে বিভিন্ন খনিজ। এসব খনিজ ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতায় সঞ্চিত হয়।

সুতরাং ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতার নমুনা পরীক্ষা করার মাধ্যমে জানা যাবে ওই অঞ্চলের মাটির নিচে সোনা আছে কি না! যদি থেকে থাকে তবে কি পরিমাণ স্বর্ণ রয়েছে।

গবেষক মেইলভেইন লিন্টার (Melvyn Lintern) বলেন, ইউক্যালিপ্টাস গাছের ওপর গবেষণা করে জানা গেছে এসব গাছের শেকড় মাটির এতো গভীরে চলে যায় যেখানে বিভিন্ন স্থরে রয়েছে ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন খনিজ। ইউক্যালিপ্টাস গাছের শেকড় ওই সব স্থর থেকে খনিজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসে এতে এসব গাছের নমুনাতে ওই অঞ্চলের মাটির নিচে কি রয়েছে সেই বিষয়ে তথ্য পাওয়া সম্ভব।

গবেষকরা বলছেন, ইউক্যালিপ্টাস গাছ হতে পারে খনিজ অনুসন্ধানের শক্তিশালী হাতিয়ার। এর মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং ভূমি খনন না করেই জানা যাবে ওই স্থানের মাটির নিচে আসলেই কি কোনও সোনা আছে কিনা!

এছাড়া গবেষকদের এই গবেষণা অর্থনীতিক দিক দিয়েও বিশেষ সুবিধা নিয়ে আসছে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

সারা বিশ্বে মাটির নিচ থেকে স্বর্ণ উদ্ধারে কেবল খনন কাজেই ব্যয় হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ যা এখন থেকে ইউক্যালিপ্টাস গাছের পাতার নমুনার মাধ্যমে খুব সহজেই জেনে নেয়া যাবে। ফলে সাশ্রয় হবে বিশাল অংকের অনুসন্ধান খনন ব্যয়।

সূত্র: দি টেক জার্নাল

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।