আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিস্ময়কর যমজ শিশু!শিশুর উপর মা-বাবার কর্মফল।

আশায় আছি সমৃদ্ধ দেশের। শিশুর উপর মা-বাবার কর্মফলের প্রভাব যে কতখানি তা যুগে যুগে ধর্মগ্রন্থে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কথিত আছে, হজরত বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) মায়ের গর্ভ থেকে ১৮ পারা কোরান শরীফ মুখস্থ করে এসেছিলেন। সেই কথা বাদ দিলাম। সন্তান জন্মের আগে-পরে মা-বাবা যা করেন তার প্রভাব কতটা বেশী তার জলজ্যান্ত প্রমান উপরের দুই বিস্ময়কর যমজ শিশু!দশ মাসের শিশু কী কী করতে সক্ষম।

এই বয়সী শিশুরা হামাগুড়ি দিতে পারে, তারা কয়েকটা অর্থহীন শব্দও বলতে পারে। আর হ্যাঁ, এগুলো তো সবাই জানে। নতুন করে বলার আর কী আছে। তবে আপনি যখন জানতে পারবেন এই দশ মাস বয়সী শিশু সাঁতার কাটতে পারে, তখন নিশ্চয়ই এটি আপনাকে অবাক করে দেবে। তবে এটা সত্য ঘটনা।

দশ মাস বয়সী যমজ উইলিয়াম ও অ্যালেনিটা মাত্র নয় মাস বয়সেই ২৫ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত সাঁতার কেটে দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার। আশ্চর্য এই শিশু দুটির গর্বিত বাবা-মা হলেন মিস্টার ও মিসেস ট্রাইকুশ। জন্মগতভাবেই বিশেষ এই ক্ষমতা লাভ করেছে শিশু দুটি। কেননা তাদের মা চারলোট্টি ট্রাইকুশ একজন সাঁতারের প্রশিক্ষক। খুব সচ্ছন্দেই সাঁতার কাটে এই যমজ শিশুরা।

কোনো সাহায্য ছাড়াই নিজে থেকে সাঁতার কাটে তারা। শুধু তাই নয়, সাঁতার ভালোও বাসে এই শিশুরা। এসময় তাদের হাসতেও দেখা যায়। তবে শিশুদের জন্মের সময় তাদের বেঁচে থাকা নিয়েই সংশয়ে ছিলেন তাদের মা-বাবা। কেননা নির্দিষ্ট সময়ের ছয় সপ্তাহ আগেই জন্ম নেয় তারা।

জন্মের পর তিন সপ্তাহ ইনকিউবেটরে (অপরিণত অবস্থায় জাত শিশুদের বা রোগজীবাণু পুষ্টিসাধন-যন্ত্র) রাখা হয় তাদের। তবে এখন পুরোপুরিই সুস্থ তারা। এই শিশুরা এখন ওয়ার্ল্ড সেলিব্রেটি হতে যাচ্ছে। শিশু বয়সেই সাঁতার কাটতে সক্ষম হওয়ায় বিশ্বজুড়ে খবরে পরিণত হয়েছে এই যমজ। কেবল তা-ই নয়, তারা এখন রীতিমত প্রশিক্ষকের কাছে শিক্ষা নিচ্ছে।

প্রথমবার তাদের প্রশিক্ষক অ্যামি স্ট্যানলিও এই শিশুদের সাঁতার কাটতে দেখে অবাক হয়েছিলেন। ২০ বছরের প্রশিক্ষক জীবনে অ্যামিও এরকম আর দেখেননি। এখন শুধু তাদের নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চান অ্যামি। এরই মধ্যে সপ্তাহে দু’বার পুলে সাঁতার কাটে উইলিয়াম ও অ্যালেনিটা। আর তাদের বাবা ট্রাইকুশ তো চেয়ে আছেন ২০২৮ অলিম্পিকের দিকেই।

শিশুদের নিয়ে খুবই আশাবাদী তাদের মা। তবে এতে কোনো জোর খাটাতে চান না তিনি। এভাবেই যদি চলতেই থাকে তবে কে জানে হয়তো অলিম্পিক জয় করেই দেখাবে এই বিস্ময় শিশুরা। তাই আমাদের সবার উচিৎ ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য হলেও নিজেরা ভাল ভাবে এবং সৎভাবে জীবন যাপন করা। শুভ ইংরেজী নব বর্ষ।

http://www.amar-desh.com/2012/12/13/1265.htm  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।