আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেনে নিন ক্রিকেট বিশ্বে চলমান সংকট কি এবং কেন? এবং এর সাথে ভারতের কি কি স্বার্থ বিদ্যমান।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/

মূল সংকট:
- আইসিসিকে ভারত চার দফা দাবি দিয়েছে।
- দাবি মানা না হলে ভারত আইসিসি থেকে বের হয়ে যেতে পারে।

কি সেই চার দফা দাবি (সংক্ষেপে):
১) আইসিসি-র আয় থেকে ভারতকে আরও বেশি ভাগ দিতে হবে।
২) আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করতে হবে।


৩) তিন বছর অন্তর ভারতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট দিতে হবে।
৪) ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে অনেক বেশি ক্ষমতা দিতে হবে বাকিদের তুলনায়।

চার দফা দাবির বিস্তারিত:
১) গত পনেরো বছরের হিসেব ধরলে দেখা যাচ্ছে, আইসিসি-র আয় দিন দিন বাড়ছে। এবং সেটা সম্ভব হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার জন্যই। মুখ্যত ভারতের জন্য।

২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত যেখানে আইসিসি-র আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা), সেখানে গত কয়েক বছরে অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার (ন’হাজার কোটি টাকার উপর)। -আইসিসি-র আয় এত বেড়ে গেলেও ভারতীয় বোর্ডের শেয়ার কিছু বাড়েনি। আর পাঁচটা পূর্ণ সদস্য দেশ যা টাকা পায়, ভারতও তাই পায়। আরও পরিষ্কার করে বললে, আইসিসি থেকে জিম্বাবোয়ে-বাংলাদেশ যা টাকা পায়, ভারত-ইংল্যান্ডও তাই পায় মোট আয়ের শতকরা ২৫ শতাংশ। শ্রীনিবাসনদের দাবি, অবিলম্বে ভারতের লভ্যাংশ বাড়াতে হবে।



২) আইসিসি প্রেসিডেন্টের সমান্তরাল ভাবে একটা চেয়ারম্যান পদও তৈরি করতে হবে। চেয়ারম্যানের ক্ষমতা থাকবে প্রচুর। প্রায় প্রধানমন্ত্রীর মতো। আর আইসিসি প্রেসিডেন্ট, যে পদে ডালমিয়া বা পওয়াররা ছিলেন, সেটা হয়ে যাবে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের মতো। আলঙ্কারিক।

শ্রীনিবাসন চাইছেন, প্রথম চেয়ারম্যান পদে তিনিই বসবেন।

৩) প্রতি তিন বছর অন্তর ভারতে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট দিতে হবে। সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে। পঞ্চাশ ওভারের এক দিনের বিশ্বকাপ হতে পারে। আবার টেস্ট ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপও হতে পারে।



৪) ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে বাকিদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা দিতে হবে। আইসিসি-র ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম ঠিক করার সময় এই তিন দেশের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিতে হবে।


- আইসিসির টাকার প্রতি ভারতের লোভের কারন:

ভারতীয় বোর্ড এমনিতেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট সংস্থা। তারা আরও অর্থের জন্য লোলুপ কেন? ওয়াকিবহাল মহলের খবর, এর পেছনে ক্রিকেটের রেটিং দিন দিন কমা। ভারতীয় দল ইদানীং যে ক’টা স্পনসরশিপ পেয়েছে, সব অতীতের চেয়ে কম টাকার।

কোনও কোনও ক্ষেত্রে সিরিজ স্পনসরশিপ শতকরা পঞ্চাশ ভাগ কম টাকায় বিক্রি হয়েছে। সচিন তেন্ডুলকর অবসর নেওয়ার পর টেস্ট সিরিজের আকর্ষণ গিয়েছে আরও কমে। অর্থনৈতিক অবস্থা আরও বিপন্ন হতে পারে বিবেচনাতেই শ্রীনিবাসন এই নতুন চাল চেলেছেন। যে আইসিসি থেকে বাড়তি লভ্যাংশ পাওয়া গেলে এই ঘাটতিটা মেরামত করা যাবে।



ক্রিকেটের তিন নব্য ‘জমিদার’-এর বিতর্কিত প্রস্তাবটি ;

টেস্ট ক্রিকেটে দুটো ডিভিশনে ভাগ করার পরিকল্পনা:

দর্শক উৎসাহ ফেরাতে টেস্ট ক্রিকেটে অবনমন চালু করার মতো বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে আইসিসি!
টেস্ট ক্রিকেটকে দু’টি টিয়ারে ভাগ করার চিন্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে।

এতে পাঁচ দিনের খেলাটা ঘিরে নতুন আকর্ষণ তৈরি হবে বলেই মনে করছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। পাশাপাশি, টেস্ট ক্রিকেটকে আয়ারল্যান্ড বা আফগানিস্তানের মতো অ্যাসোসিয়েট দেশের নতুন সীমানায় ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। চলতি মাসের শেষে আইসিসি-র এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে এই নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চাইছে আইসিসি।

তবে অবনমন চালু হোক বা না হোক, আইসিসি-র ওই বৈঠকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অকালমৃত্যু ঘটে যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের। এর প্রধান কারণ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সম্প্রচার করায় টিভি চ্যানেলগুলির আগ্রহের অভাব।

এর সঙ্গে কী ফরম্যাটে খেলা করা হবে, সেটা নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও রূপরেখা না থাকায় চিন্তাটা পাকাপাকি বাতিলই করতে চাইছে আইসিসি। আগে ঠিক ছিল ২০১৩ থেকে শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। গত অক্টোবরে যে তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয় ২০১৭ পর্যন্ত। কিন্তু এখন বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে টেস্ট ক্রিকেটে ‘রেলিগেশন অ্যান্ড প্রমোশন’-এর উত্তেজনা আমদানি করাতেই বেশি আগ্রহী আইসিসি।

“ফুটবলের প্রিমিয়ার লিগের মতো টেস্টেও প্রথম ডিভিশনে খেলায় বাড়তি টাকা থাকলে ক্রিকেটাররা আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টের দিকে কম ঝুঁকবে।

” —মাইকেল ভন
“দুটো ডিভিশনের টেস্ট এবং অবনমনের ভাবনাটা বেশ ভাল। এতে যা আছে সেটাকেও রক্ষা করা হবে, আবার নতুনদের উন্নত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। ” —টম মুডি

নতুন এই নিয়ম চালু হলে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে নীচের দিকে থাকা দেশগুলির বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সের জোরে টেস্ট খেলিয়ে তালিকায় উঠে আসার সুযোগ থাকবে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান বা কিনিয়ার মতো আইসিসি-র অ্যাসোসিয়েট সদস্যদের সামনে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ বা জিম্বাবোয়ের মতো টেস্ট খেলিয়ে দেশ পারফর্ম করতে না পারলে নেমে গিয়ে টেস্ট খেলার যোগ্যতা হারাবে।
তবে অন্য জটিলতা এড়াতে রাখা হবে একটি ‘নো ডিসঅ্যাডভানটেজ’ শর্ত।

যার মানে, অবনমনের ফল যা-ই হোক, আইসিসি-র পূর্ণ সদস্য দেশগুলির সদস্যপদ বা আর্থিক সুযোগসুবিধায় তার প্রভাব পড়বে না।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রমোশন বা রেলিগেশন ঠিক কী ভাবে হবে সেটা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। টেস্ট ক্রিকেটকে প্রথম এবং দ্বিতীয় ডিভিশনে ভাগ করার চিন্তাভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে।
অনেকে আবার মনে করছেন প্রথম ডিভিশনে টেস্ট খেলার জন্য বিশেষ আর্থিক পুরস্কার বা ইনসেনটিভ চালু হলে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টের সঙ্গে তুলনায় টেস্ট ক্রিকেট অনেক বেশি প্রসঙ্গিক হয়ে উঠবে। প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভন যেমন বলেছেন, “ফুটবলের প্রিমিয়ার লিগের মতো যদি টেস্টেও প্রথম ডিভিশনে খেলায় বাড়তি টাকা থাকে, তা হলে ক্রিকেটাররা আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টের দিকে কম ঝুঁকবে।



এই সব নতুনত্ব চিন্তার পাশে টেস্টের এক নম্বর দলের জন্য পুরস্কার অর্থের অঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। আসন্ন বৈঠকে যা অনুমোদিত হয়ে যেতে পারে। সঙ্গে ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম নিয়ে কড়াকড়ি কমানোরও পক্ষে আইসিসি।



আরো কিছু গুরুত্বপুর্ন লিন্ক:

১) Click This Link

২) Click This Link

৩) Click This Link

৪) Click This Link

৫) Click This Link

৬) Click This Link


বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং সাইট থেকে সংকলিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.