আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস ও আমার জনপ্রিয় হওয়া (কাকতালীয় রম্য)

একজন শব্দ শিকারি

ঘটনাটি ২০১২ সালের। সেদিন ফেসবুকে আমি একটি স্ট্যাটাস দিই স্ট্যাটাসটি হলো এরকম: অনেকের মতে দেশে কাকের সংখ্যা আর কবির সংখ্যা নাকি সমান সমান, তবে এখন হয়ত উনারা বলবেন কাকের চেয়ে কবির সংখ্যাই বেশী কারণ রাস্তায় হাঁটলেই কবিদের সাথে দেখা হয়ে যায় কিন্তু কাকদের আর ঐভাবে দেখা মিলেনা।

এখন আমার প্রশ্ন দেশে কণ্ঠ শিল্পীর সংখ্যা কিসের সমান? কোন দিন গুনগুন করে বা প্রকাশ্যে গান গায়নি এমন কেউকি আছে? কিন্তু কয়জন কবিতা লিখেছেন? তাহলে কণ্ঠশিল্পীদের সাথে কাক বা অন্য কোন প্রাণীর তুলনা করা হয়না কেন?


সেই স্ট্যাটাস পড়েই হোক অথবা অন্য কারো কাছ থেকে শুনেই হোক আমার প্রতি কাক সম্প্রদায়ের বিরূপ ধারনা জন্মে, কবিদের মত সম্মানিত ব্যাক্তিদের সাথে তাদের তুলনা আর আমি কিনা সেটার বিরোধিতা করি। তাই তারা আমাকে হ্যানস্থা করার নীল নকশা আঁকে।

২০১২ বইমেলায় আমার একটি কাব্য গ্রন্থ তার রূপ উন্মোচন করে।

আমার কাব্য গ্রন্থ বের হয়েছে তার মানে আমিও এখন কবি সম্প্রদায়ের একজন এই ভাবনা মাথায় নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরছিলাম। কাকদের অপমান করে আমি হব কবি তা কাক সম্প্রদায় কোনভাবে মেনে নিতে পারছিল না। তাই এক কাক নির্ভুল নিশানায় আমাকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আমার মাথায় আঘাত করে। তারপর মুখ ডেকে কোন মতে সেদিন ঘরে ফিরতে পেরেছিলাম।

কিন্তু কাক আমার পিছু ছাড়েনি।

তার কিছুদিন পর পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে বসেছিল কবিতা উৎসব। আমিও সেই উৎসবে যোগ দিতে সেখানে যাই। তখন এক বেরসিক কাক আমাকে টার্গেট করল তবে বেচারার নিশানা ঠিক হয়নি, বেচারা এখনো অপরিপক্ব। যাহোক তার নিক্ষিপ্ত আমার মাথায় আঘাত না হেনে আমার গায়ে জড়ানো আলখাল্লায় এসে আঘাত করে। তারপর নিজেকে সাফ করে আমি একটি টুপি কিনে নিজেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করি।



কাক চায়না তাদের অপমান করে আমি কবি হই। কিন্তু কবিতার স্রোত বয়ে চলে আমার প্রতিটি রক্ত কণিকায়। তাই এখন যখনই মাথায় কবিতা ভর করে তখনই আমি মাথা ঢেকে দিই যেন কোন প্রাণীর নিক্ষিপ্ত বর্জ্য থেকে আমার কবিতার ভূমি রক্ষা পায়।



কাক:
কাক কর্ভাস গোত্রের অন্তর্গত এক ধরনের মাঝারি আকৃতির পাখি। উষ্ণমন্ডলীয় সব মহাদেশ (দক্ষিণ আমেরিকা ব্যতীত) এবং বেশ কিছু দ্বীপ অঞ্চলে কাকের বিস্তার রয়েছে।

কর্ভাস গোত্রের মধ্যে প্রায় ৪০টি ভিন্ন প্রজাতির কাক দেখা যায়।
কাকের উদ্ভব ঘটেছে মধ্য এশিয়ায়। সেখান থেকে এটি উত্তর আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কাকের সাধারণত: কালো বর্ণের হয়ে থাকে। কাককে পাখিজগতের সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান পাখি ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.