আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিশা একজন মেধাবী অভিনেত্রী তাকে নিয়ে নোংরামি শুধু অসুস্থরাই করে।

জানি সত্যি নয় শুধু কল্পনায়.... ইচ্ছের ঘুড়ি আমরা উড়াই... স্বপ্নগুলো সত্যি হবে তারই অপেক্ষায়........


বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী। টিভি নাটকের মাধ্যমে তিনি তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তবে গান দিয়েই শুরু হয়েছিল তিশার পথচলা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সকল শ্রেণীর দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন।



১৯৯৫ সালে নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান পাওয়া তিশা’র মিডিয়া জগতে পদার্পণ টেলিভিশনের মাধ্যমেই। শিশুশিল্পী হিসেবে মূলত গান করতেন। তবে অনন্ত হীরার ”সাতপেড়ে কাব্য’ নামে একটি নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে শখের বশে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন। ২০০৩ সাল থেকে অভিনয় ও মডেলিং ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। তিশা “এঞ্জেল ফোর” নামের একটি ব্যান্ড দলও গঠন করেছিলেন।



তার অভিনিত চলচ্চিত্রসমূহঃ ২০০৯ সালেথার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ২০১২ সাল টেলিভিশনও সুপার হিট। ২০১৪ সালে ডুবোশহর মুক্তি পাবে।

ব্যাক্তিগত জীবনে তিশা ২০১০ সালে টিভি ও চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

পুরস্কার ও সম্মননাঃ ১৯৯৫ সালে নতুন কুঁড়ির জাতীয় পুরুস্কার CZFV পুরষ্কারপ্রাপ্ত (২০০৪-২০০৫) মেরিল - প্রথমআলো (২০০৫) চ্যানেল আই -এর দুবাই পুরস্কার এনটিভি -এর লন্ডন পুরস্কার।



এরকম মেধাবী অভিনেত্রীদের তিশা ফেসবুকে অশালীন অপপ্রচারের শিকার হন সম্প্রতি। তার নামে ভুয়া সেক্স স্ক্যান্ডালের খবর প্রকাশ করে ফেসবুকের একটি নোংরা পেইজ।

তারকাদের খ্যাতি যেমন আকাশ ছুঁতে যায়, তেমনি সেই খ্যাতি নিয়ে তাদের বিড়ম্বনারও শেষ নেই। অনেক সময় খ্যাতিমান তারকাদের পড়তে হয় দুষ্কৃতিকারীদের ষড়যন্ত্রের কবলে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাদের ক্যারিয়ার ও পারিবারিক জীবন।

নিছক মজার ছলে করা এসব অপপ্রচারের রেষ বহুদিন থেকে যায় তাদের জীবনে।

একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হচ্ছে তিশার ভুয়া স্ক্যান্ডালের ভিডিও। আর তার সাথে যে পুরুষটিকে দেখা যাচ্ছে তিনি নাট্য নির্মাতা শিহাব শাহীন বলে দাবী করা হয় সেই পেইজে। পেইজটি থেকে এমনও বলা হচ্ছিলো ভিডিওটিতে স্পষ্টভাবে তিশার চেহারা বোঝা যাচ্ছে। এমনকি ভিডিওটি ডাউনলোডের জন্য একটি লিংকও দেওয়া হয়েছিলো।

যদিও সে লিংকে গিয়ে কোন ভিডিও পাওয়া যায়নি। তারপরেও পেইজটি থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় এমন তথ্য প্রচার করা হচ্ছিলো।

তিশার আগেও এমন অনেক তারকাই মিথ্যা স্ক্যান্ডালের জন্য ক্যারিয়ারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, হেয় হয়েছেন ভক্তদের কাছে। ভিত্তিহীন এসব সংবাদ প্রচার করে মূলত অশ্লীল পেইজগুলো হিট হতে চায়।

এ প্রসঙ্গে গনমাধ্যমকে তিশা জানান, ” এমন তথ্য আমার কাছেও এসেছে।

যারা এসব করছে তারা অসুস্থ মস্তিস্কের মানুষ। ”

এই আতঙ্কে আছেন গ্ল্যামারাস তারকা শিল্পীরা। কারণ, সামপ্রতিক সময়ে প্রায়শই ‘পর্নো ভিডিও’ গুজবের শিকার হচ্ছেন তারা। এক্ষেত্রে নারী তারকা শিল্পীদের নিয়ে এমন রটনা রটছে হরহামেশা। কিছুদিন পর পরই ফেসবুক-ইউটিউব হয়ে বিভিন্ন অখ্যাত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ঝড় উঠে এসব পর্নো ভিডিও কেন্দ্রিক খবরে।

স্বাভাবিকভাবেই খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এমন চটকদার খবর ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে তৃণমূল পর্যন্ত। হিসাব কষে দেখা যায়, গেল দু’বছরে প্রকাশিত এমন বেশিরভাগ ভিডিওর একটিরও সত্যতা মিলেনি। ফেসবুক-ইউটিউবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারকার নামে প্রকাশিত এসব পর্নো ভিডিওতে অভিযুক্ত তারকার চেহারা-চুলের খানিক সাদৃশ্য পাওয়া গেলেও মূলত এসব ভিডিওর পাত্রপাত্রী অভিযুক্ত তারকারা নন। বারবার এমন সত্যতা বেরিয়ে এলেও ইদানীং নিয়ম করে ঘটছে এমন পর্নো ভিডিও গুজব। যে গুজবের সত্যতা নিশ্চিত করে অনেক অখ্যাত অনলাইন সংবাদ মাধ্যমও কাজ করে আসছে নিয়মিত।

আর এমন মিথ্যা পর্নো ভিডিও গুঞ্জনের শিকার হয়েছেন কণ্ঠ তারকা মিলা, পড়শী, টিভি তারকা শখ, মীম, মেহজাবীন, তিশা প্রমুখ। আর এই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে কণ্ঠতারকা আঁখি আলমগীরের নাম।

বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এবং ফেসবুকে ‘আঁখি আলমগীরের পর্নো ভিডিও নিয়ে তোলপাড়!’ শীর্ষক একটি খবর বেশ ফলাও করে প্রচার হচ্ছে। সেই খবরে বলা হচ্ছে, এবার প্রকাশ পেল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি’র পর্নো ভিডিও! এসব খবরে আরও বলা হয়, গুগল-ইউটিউব-ফেসবুকে প্রকাশিত ১৮ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের এই পর্নো ভিডিওটি আঁখির জ্ঞাতসারেই করা হয়েছে, যা বোঝা যায় ভিডিওর শুরুতে তিনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে টাটা দেখিয়েছেন। এসব অনলাইন খবরে আঁখির কথিত পর্নো ভিডিওটির সব খুঁটিনাটি দৃশ্যের রগরগে বর্ণনাও দেয়া হয়েছে।

আর এমন খবর পুরো মিডিয়ায় ১৫ দিন ধরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। খবরটি এবং ভিডিওটি এখন হু হু করে মানুষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে মুঠোফোনের দৌলতে।

তবে ভিডিওচিত্রটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এটি প্রকৃতপক্ষে আঁখি আলমগীরের নয়। যেমন নজির মিলেছে মিলা, মেহজাবীন, পড়শী, তিশাসহ অন্যদের কথিত পর্নো ভিডিওগুলোর ক্ষেত্রেও। গবেষণা করে দেখা যায়, আঁখির কথিত ভিডিওটি ভারতের তামিলনাড়ু অঞ্চলের।

ভিডিওর পাত্রপাত্রীও সেখানকার। ভিডিওটির ব্যকগ্রাউন্ড মিউজিকে প্রথমে হিন্দিগান থাকলেও বর্তমানে এটির বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্য হিন্দিগানের বদলে সংযোগ করা হয়েছে বাংলা গান। ভিডিওটি ভারতীয় বিভিন্ন পর্নো সাইটে ২০০৮ সাল থেকেই ঘুরছে। আর এই ভিডিওটির সঙ্গে আঁখির চেহারার খানিক সাদৃশ্য খুঁজে পেয়ে দেশীয় একটি সংঘবদ্ধচক্র তার নাম দিয়ে নতুন করে প্রকাশ করছে অনলাইনে।

এ নিয়ে আঁখি আলমগীর বলেন, আমরা আসলে কোন দেশে কোন সমাজে বসবাস করি তা বুঝে উঠতে পারছি না।

একটি সংঘবদ্ধচক্র একটা মিথ্যা ভিনদেশী ভিডিও আমার নামে চালিয়ে দিচ্ছে। সেটা নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম দেদার নিউজ করছে। আমাকে একটিবার এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করারও প্রয়োজন বোধ করলো না কেউ। অথবা ভিডিওটি আদৌ সত্য না মিথ্যা সেটাও খতিয়ে দেখলো না। যার যা ইচ্ছা তাই করছে।

অথচ এসব সাইবার ক্রাইম কিংবা অপসাংবাদিকতা নিয়ে কারও কোন মাথাব্যথা নেই। কোথাও কোন জবাবদিহি নেই। আমি জানি এসব নিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলেও কোন সাপোর্ট পাবো না। আমাদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ আর কতদিন? কতদিন এভাবে মান-ইজ্জত হারাবো জানি না। আমি সরকারের সাইবার ক্রাইম সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছে করজোড়ে আবেদন করছি, প্লিজ এসব অপরাধীকে আপনারা চিহ্নিত করুন।

তা না হলে এসব ঘটনা মহামারী রূপ নেবে। আজ আমার মানহানিতে আপনি হয়তো মজা পাচ্ছেন, তবে কাল ঠিকই আপনার মানহানি ঘটবে একইভাবে। তাই সবার সম্মিলিতভাবে এই অসুস্থ ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।

এদিকে বছর দেড়েক আগে একইভাবে প্রকাশ পায় পপ তারকা মিলার পর্নো ভিডিও! এমন ভিডিওর খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্টভাষী মিলা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সবার কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ভিডিওটির সত্যতা প্রমাণের জন্য।

একই সঙ্গে মামলার হুমকি দেন ওই ভুয়া ভিডিও এবং সংবাদ পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদস্বরূপ তিনি টিভিতেও একটি অনুষ্ঠান করেন। সে সময় অনেকেই বলেছেন, মিলার মতো সৎ সাহস নিয়ে এমন প্রতিবাদ করতে পারলে তারকাদের নিয়ে এহেন বিব্রতকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা কমে যাবে। মজার বিষয় হলো, মিলার প্রতিবাদ এবং ভিডিওটি মিথ্যা প্রমাণের পরেও গেল দেড় বছরে হাফডজন জনপ্রিয় তারকার কথিত ‘পর্নো ভিডিও’ প্রকাশ পায়। সেসব ভিডিওর জের ধরে অনেক চটকদার সংবাদও পরিবেশন হয়েছে বিভিন্ন অখ্যাত গণমাধ্যমে।

যার সব ক’টিই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত কিংবা ভুক্তভোগী তারকারা এ নিয়ে সেই অর্থে টুঁ শব্দটিও করেননি গণমাধ্যমে। অনেকে মনে করেন তারকাদের এমন নীরবতার জের ধরেই এ জাতীয় ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। যার সর্বশেষ শিকার হলেন আঁখি আলমগীর।

এদিকে মিডিয়া বিশ্লেষকদের মতে, তারকাদের পর্নো ভিডিও কেন্দ্রিক এমন রটনা বিশ্বে তো বটেই, বাংলাদেশেও বেশ পুরনো।

যার স্পষ্ট যাত্রা হয় এক যুগ আগে শমী কায়সারের একটি মিথ্যা নগ্ন ভিডিও’র মধ্য দিয়ে। এরপর দীর্ঘ বিরতি নিয়ে প্রকাশ পায় ‘হিল্লোল-তিন্নি’র আপত্তিকর দৃশ্য। সেটিও মিথ্যা প্রমাণ হয়। তবে সূর্যের মতো সত্য আর স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় বছর দুই আগে প্রকাশিত ‘প্রভা-রাজীবে’র দীর্ঘ পর্নো ভিডিওচিত্র। এর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করে ‘নির্ঝর-চৈতি’র ভিডিও চিত্রও।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, মূলত এই দুটি সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করেই ইদানীং ঘন ঘন প্রকাশ পাচ্ছে তারকাদের মিথ্যা পর্নো ভিডিও। অভিযুক্ত তারকাদের সোচ্চার ভূমিকা ছাড়া যেখান থেকে খুব সহসা বেরিয়ে আসা মুশকিল।

এভাবেই অপপ্রচার করে মডেল , আর্টিস্টদের পর্ণ তারকা বানিয়ে দেয় নোংরা মানুষ গুলো। আর সেই কলঙ্ক আর্টিস্টদের সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। একজন প্রভাকে দিয়ে সবাইকে বিচার করে।



তিশার মত অভিনেত্রীরা আছে বলেই আমরা এখনো টিভিতে বাংলা চ্যানেল দেখি। মিথ্যা স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে দেশের জনপ্রিয় আর্টিস্টদের সুনাম নষ্ট-কারীদের অতিসত্বর আইনের আওতাই আনা দরকার।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.