আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্টেশন মাস্টার 'টমা'

রেলস্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত 'টমা'র কথা অজানা নয় কারও। এই ছোট্ট বিড়ালটি জাপানের কিশি রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার। বিড়াল কি করে স্টেশন মাস্টার হয় সেটা নিয়ে চমকে ওঠার আগে জেনে নেওয়া দরকার, এই বিড়ালের হাতে দায়িত্ব ওঠার পর বেশ ভালোই চলছে রেলস্টেশনটি। কিশি রেলস্টেশন আকারে ছোট হলেও স্টেশন মাস্টার বিড়াল 'টমা'র কর্মময় জীবন এই স্টেশনটিকে অনন্য করে তুলেছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মূল ধারার সংবাদমাধ্যম এই বিড়ালটিকে ঘিরে সংবাদ প্রদান করে চমকে দিয়েছে সবাইকে।

এ স্টেশনটি মূলত ব্যবহার হয় পণ্য পরিবহনের কাজে। তবে দরকারে মানুষও চলাচল করে। কিন্তু ২০০৩ সালের দিকে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই স্টেশনটি তাদের বিজনেস এরিয়া হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার কারণে মানুষের চলাচল এবং স্টেশনটির ব্যস্ততা কমে যায়। স্টেশনটির পাশেই থাকতেন এক ভদ্রলোক। যিনি টমা নামক এই বিড়ালটিকে পুষতেন।

তিনি স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন খবরে খুবই ব্যথিত হন এবং নতুন রেলওয়ের উচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করেন। তার দাবি ছিল, এই রেলস্টেশনটি দরিদ্র, গৃহহীন মানুষ ও বিড়ালদের বসবাসের জন্য ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য। বেশ কয়েকবার অনুরোধ করার পর রেল কর্মকর্তা রাজি হন এবং প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম রেলস্টেশনটি চালু রাখার পক্ষে মত দেন। কিন্তু কোন যুক্তিতে স্টেশনটি চালু রাখবেন আর মানুষই বা কেন এই স্টেশন ব্যবহারে আগ্রহী হবে? সে কথা ভেবেই রেল কর্মকর্তা বিড়াল টমাকে দেখে অভিনব পরিকল্পনা নেন। বিড়াল টমাকে করে দেন স্টেশন মাস্টার।

একজন স্টেশন মাস্টারের যে মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা ও আর্থিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তার সবই পায় টমা। স্টেশন মাস্টারদের মতোই কাজের দেখভাল করে সে। কিশি স্টেশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিড়াল স্টেশন মাস্টারের খ্যাতি ছড়িয়ে যেতে থাকে দেশ-বিদেশে। কোলাহলপূর্ণ হতে থাকে স্টেশনটি। দিন যতই পেরিয়েছে টমার সাফল্য ততই বেড়েছে।

স্টেশন মাস্টারের টুপি ও পোশাক পরা বিড়াল টমার বয়স বাড়ার কারণে বর্তমানে তাকে সহায়তা করছে আরেক বিড়াল নিটমা। মূলত স্টেশনের আর্থিক ক্ষতি পেরিয়ে নিজস্ব ফান্ড জোগার করার পরিকল্পনা নিয়ে এ বিড়ালকে স্টেশন মাস্টার করার পর আজ অবধি প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ফান্ডিং করেছে টমা।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।