আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোলা ভাই নাকি সানি লিওন ???

খালি গরম লাগে , পুকুরে ডুব দিতে মুঞ্চায়

চাপাইনবাবগঞ্জের চা দোকানদার "ভোলা ভাই" নিজের হালের বলদ বেচে , চা বেচা টাকা দিয়ে যদি তার অজ পাড়া গায়ে স্কুল খুলতে পারেন , শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পারেন - সেখানে তোমাদের একটা নিউজ করতে খুব প্রব্লেম হয় , তাই না ?

প্রথম আলো অফিসে গেলাম কথা বলতে , সেখানে গেলে বলে চাপাই এর প্রথম আলোর স্থানীয় সাংবাদিক কে জানাতে । সে নিউজ না করলে কাজ হবে না । চাপাই এর সাংবাদিকের সাথে কথা বলা হলে সে জানায় - "মাত্র এক বছর হল স্কুল খুলেছে , আরও ভাল করে দাঁড়াক । তারপর নিউজ করবো । "

আরে , চা দোকানাদার হালের বলদ বেচে স্কুল খুলছে সেই নিউজের চেয়ে তোমাদের কাছে সানি লিওনের নিউজের দাম বেশী ।



সবাই যদি না জানে , সবাই যদি সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে দেয় তাহলে স্কুলটা দাঁড়াবে কি করে ? একজন চা বিক্রেতা আর কত করবে স্কুল টা দাড় করিয়ে রাখার জন্য ?

নিউজ পেপার গুলোর এই বুলিসর্বস্ব কাজ কারবার আর দেখতে ভাল্লাগে না । কেউ কি আছেন , একটু হেল্প করতে পারবেন ভোলা ভাই এর স্বপ্নের শিক্ষার আলো তার গ্রামে ছড়িয়ে দিতে ???

আমি জানি আপনারা আছেন ।


ভোলা ভাই সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি ভার্সিটির বন্ধু হিমেলের কাছ থেকে । ওয়াচে থাকায় তার পোস্ট টি তেমন কারো কাছেই পৌছায় নি ।

তার পোস্ট টি অতীব জরুরী মনে হওয়ায় নিজের আইডি থেকেই শেয়ার দিচ্ছি ।






মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক। পেশায় একজন চা বিক্রেতা -

তিনি ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন নিজ গ্রামে তিনি একটা স্কুল খুলবেন। কিন্তু যখন তিনি এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিলেন তখন গ্রামবাসী তার কথাকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। "

নিজ গ্রামে তিনি 'ভোলা' নামে পরিচিত। দেখতে শুনতে ভোলা ভালা হলেও অনেক মহৎ একটা কাজ করে ফেলেছেন তিনি।

যে শিক্ষার অভাবে তিনি জীবনের পদে পদে বাধা পেয়েছেন, গ্রামের মোড়লদের অবহেলার শিকার হয়েছেন, যে শিক্ষার অভাবে তার গ্রামে এখনও প্রকৃত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে নি, শত বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে সেই শিক্ষাকে তিনি নিয়ে গেছেন তার জন্মস্থান শিক্ষা বঞ্চিত ঠাকুরপালশা গ্রামে।

কেউ এগিয়ে না আসলেও শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের স্বপ্ন পূরণে তিনি ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই তিনি তার নিজের প্রিয় গৃহপালিত গরু বিক্রি করে আর চা বিক্রি করে সঞ্চিত কিছু টাকা দিয়ে গ্রামের জমি লিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করে ফেললেন 'সোনামণি পাঠশালা' নামে এক বিদ্যালয়।

স্কুল টি চলছে শুধু মাত্র একজন শিক্ষিকা দিয়ে । তিনি বিনে পয়শায় স্কুলের বাচ্চাদের পড়ান ।

স্কুলের বাকি তিন কর্মচারীর ভেতর একজন ভোলা ভাই নিজে ও তার স্ত্রী । আর স্কুলের পাশের এক বুড়ো চাচা প্রায় নামে মাত্র বেতনে স্কুলের দেখ ভাল করেন । কোন মাসে একশ , কোন মাসে হয় তো তাও দেওয়া সম্ভব হয় না চাচাকে । তবুও তিনি খুশি স্কুলের সাথে থাকতে পেরে ।



ভোলা ভাইকে তার মহৎ কাজে সহয়তা করার আশ্বাস দিয়ে এসেছে বন্ধু শাহিনুর রহমান হিমেল ।



উপরের কথা গুলো তার ব্লগ থেকেই সংগ্রহ করেছি । ভোলা ভাই কে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে সহয়তা করুন । ভোলা ভাই ও তার শিক্ষার আলো জ্বালানোর সংগ্রামের সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে পারবেন এই লিঙ্কে
যতদিন রবে ভোলা ভাইয়ের হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।