আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি

প্রথম দিন যে স্কোরে অপরাজিত থেকে দিন পার করেছিলেন রকিবুল হাসান, কাল দ্বিতীয় দিন সেই স্কোরেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে ব্যক্তিগত স্কোরকে আরও লম্বা করেছেন শুভাগত হোম। তার সঙ্গে ঢাকা বিভাগের পক্ষে আরও একটি সেঞ্চুরি করেছেন উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। তিন সেঞ্চুরিতে বড় স্কোর গড়েছে ঢাকা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্বে রাজশাহী শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম রান-বন্যায় ভাসলেও অন্য ম্যাচগুলোতে ছিল বোলারদের আধিপত্য। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা স্টেডিয়ামে বোলারদের সাঁড়াশি আক্রমণে গতকাল দ্বিতীয় দিনই ইঙ্গিত দিচ্ছে জয়-পরাজয়ের। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে সিলেটের চেয়ে ৭৩ রানে এগিয়ে রয়েছে রাজশাহী। একই রকম জয়-পরাজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা মহানগরী-চট্টগ্রামের ম্যাচেও। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ১০৩ রানে এগিয়ে রয়েছে মহানগরী। খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনার চেয়ে ২৭৯ রানে পিছিয়ে আছে বরিশাল।

আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩৫৪ রান নিয়ে খেলতে নামে ঢাকা। রকিবুল গতকাল কোনো রান যোগ না করেই ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৫৪ রানে। তবে ১০১ রানে অপরাজিত থাকা শুভাগত গতকাল সাজঘরে ফেরেন ১৬৫ রান করে। পঞ্চম উইকেটে শুভাগত ও নুরুল হাসান যোগ করেন ১২২ রান। নুরুল অপরাজিত থাকেন ১০৯ রানে। ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল ও শরীফ ১৩৭ রান যোগ করলে ঢাকার স্কোর ৭ উইকেটে ৬১৬। জবাবে খেলতে নেমে রংপুর দিন পার করে ২ উইকেটে ১৫১ রান তুলে। দলের ওপেনার সালাউদ্দিন পাপ্পু ব্যাট করছেন ৭৮ রানে।

বগুড়ায় আগের দিনের ৩ উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। দুর্ভাগ্য নাফিস ইকবালের। মাত্র তিন রানের জন্য বঞ্চিত হন সেঞ্চুরি থেকে। চট্টগ্রামকে দুশর নিচে বেঁধে রাখেন পেসার শহীদ ৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। ২৬ রানে এগিয়ে থেকে ঢাকা মহানগরী দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৭৭ রান তুলে এগিয়ে যায় ১০৩ রানে। খুলনায় স্বাগতিক দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৫৭ রানে। খুলনা প্রথম দিন শেষ করেছিল ৬ উইকেটে ২৫২ রান তুলে। জবাবে বরিশাল দ্বিতীয় দিন পার করেছে ৩ উইকেটে ৭৮ রান তুলে। এই ম্যাচে দেশসেরা পেসার দুই বছর জাতীয় ক্রিকেটে খেলতে নেমে ৭ ওভারে ২৪ রানের খরচে নিয়েছে ২ উইকেট। ফতুল্লায় জয়জয়কার ছিল স্পিনারদের। প্রথম দিন রাজশাহীকে ২১৭ রানে বেঁধে ফেলেছিলেন আবু জায়েদ ও বাঁ হাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়র। সিলেটের প্রথম উইকেট ১৩১ রানে পড়ার পরও ২৪৪ রানে আটকে রাখে দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও সাকলাইন সজীব। সাকলাইন ৬৯ রানে নেন ৬ উইকেট এবং তাইজুল নেন ৬৫ রানে ৪ উইকেট। ২৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ধসে পড়ে রাজশাহী। ১০০ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। ফলে আজই ম্যাচের ফল হয়ে যাবে কোনো সন্দেহ নেই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভেন্যু : ফতুল্লা স্টেডিয়াম

রাজশাহী : প্রথম ইনিংস, ২১৭/১০, ৬৫ ওভার (জুনায়েদ সিদ্দিকী ৬৫, হামিদুল ইসলাম ৩৩। আবু জায়েদ ৫/৫৮, এনামুল জুনিয়র ৪/৫৭) ও দ্বিতীয় ইনিংস, ১০০/৬, ৩৭ ওভার (ফরহাদ হোসেন ৩৪, তাইজুল ৪৩। নাজমুল হোসেন ২/১৩)।

সিলেট : প্রথম ইনিংস, ২৪৪/১০, ৭৫.৪ ওভার (সায়েম আলম ৮৩, ইমতিয়াজ হোসেন ৫১। তাইজুল ইসলাম ৪/৬৫, সাকলাইন সজীব ৬/৬৯)।

ভেন্যু : বগুড়া স্টেডিয়াম

ঢাকা মহানগরী : প্রথম ইনিংস, ২২১/১০, ৫৯ ওভার (সৈকত আলী ৫৬, শরীফউল্লাহ ৩৯। মনিরুজ্জামান ৪/৫৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস, ৭৭/৩, ২০ ওভার (সৈকত আলী ২৯, মেহেদী ১৯। সাদমান হোসেন ১/১২)।

চট্টগ্রাম : প্রথম ইনিংস, ১৯৫/১০, ৬৭ ওভার (নাফিস ইকবাল ৯৭, ইরফান শুকুর ৪৩*। শহীদ ৫/৫৭, আসিফ আহমেদ ৩/২৫)।

ভেন্যু : রাজশাহী স্টেডিয়াম

ঢাকা : প্রথম ইনিংস, ৬১৬/৭, ডি. ১৩৩.২ ওভার (রকিবুল ১৫৪, শুভাগত ১৬৫, নুরুল ১০৯*। সাজেদুল ২/৭৬)।

রংপুর : প্রথম ইনিংস, ১৫১/২, ৪৩ ওভার (সালাউদ্দিন পাপ্পু ৭৮*, আহমেদুল কবির ৪৪। শাহাদাত রাজীব ১/২৬)।

ভেন্যু : খুলনা স্টেডিয়াম

খুলনা : প্রথম ইনিংস, ৩৫৭/১০, ১২২ ওভার (রবিউল ৫১, এনামুল ৫৫, তুষার ইমরান ৬১, জিয়াউর ৭৭*। গোলাম কবীর ৩/৪৮)।

বরিশাল : প্রথম ইনিংস, ৭৮/৩, ৩০.১ ওভার (সাইমান ২৪, মাশরাফি ২/২৪)।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.