আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাগড়াছড়ির পথে(শেষ পর্ব)..................(ছবি ব্লগ)

যখন পেয়েছি পথের দেখা তখন আবার দিকভ্রান্ত হয়ে হারিয়েছি পথ.........

খাগড়াছড়ির পথে(পর্ব-১)........(ছবি ব্লগ).


আলুটিলা থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য খাগড়াছড়ি শহর। এখানে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে শহর দেখা এবং মোটর সাইকেলের ব্রেক ঠিক করা। আগের পর্বে আপনাদের জানিয়েছি আমাদের মোটর সাইকেলে ব্রেক নেই বললেই চলে এই অবস্থায় রাত্রে চালানো আর আত্মহত্যা করা এক কথা!! রওনা দিলাম শহরের দিকে !!
শহরে ঢুকতেই শাপলা ভাস্কর্য!


মুক্ত মঞ্চ যদিও পুলিশ দখল করে রেখেছে...


ঈদগাহ ময়দান!



কুখ্যাত প্রাক্তন এম পি ওয়াদুদ ভুইয়ার বাড়ি...



সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমরা আমাদের বাইক ঠিক করে আমার মাটিরাঙ্গার পথে রওনা হলাম। পরের দিলেন গন্তব্য রিসাং ঝর্না!

পরদিন সকালে বের হয়ে রিসাং ঝর্নার দিকে রওনা দিলাম । এবার কিন্তু বাইক নয় লোকাল বাসে করে যাবো।

সকালে রাস্তায় আমরা তিন জন!


এই আমাদের বাস!


পথে মাটি রাঙ্গা বাজার থেকে দুই ছড়া কলা নিলাম মাত্র ১২০ টাকা দিয়া!!



হলুদের মণ ৩৫০ টাকা কেজি কতো হিসাব করেন যদিও আমি কিনি নাই!!



আমি এতোদিন জানতাম যেইসব পুলিশের মামা খালু নাই কিনবা কোনো আকাম করছে তাদের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দারবানে ট্রান্সফার করে!! এখানে ঘুস না খেয়ে এক রকম না খেয়ে মরে!!। কিন্ত না এ দেখি পুরাই উল্টা!! রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাড় করিয়ে সবার সামনে ঘুস খাচ্ছে। আমি ছবি তুলতেই আমাকে ৩/৪জন পুলিশ ঘিরে ধরলো এবং আমাকে জেরা শুরু করলো কিন্তু যখন বুঝলো সাধারণ পর্যটক তখন আর কিছু বললো না!! আসলে আমি তাদের বুঝিয়েছিলাম আমি তাদের নয় রাস্তার ছবি তুলেছি!!

কেবল ঘুস নিলো বাস থেকে!!


এখানে রাস্তায় ভুল করার কোনো সুযোগ নেই চালকদের। ভুল করলেই সোজা খাদে পড়ে মৃত্যু! এখানে একটা জিনিস দেখে ভালো লাগলো, কেউ ওভারটেকিং করে না!!
\


যাই হোক অবশেষে রিসাং ঝর্নার কাছে এসে পড়লাম!



টিকিট কাউন্টার পেলেও তা বিক্রি করার মতো কাউকে পেলাম না!!




এবার প্রায় ২.৩ কিমি হেটে যাওয়ার পালা!! তাও সোজা নয় উচু নিচু রাস্তা। আপনারা যারা মেয়ে মানুষ নিয়ে যাবেন তারা অবশ্যই গাড়ি নিয়ে যাবেন কারণ তাদের পক্ষে এতো উচু নিচু রাস্তা চলা কষ্টকর!

পথে মারমা উপজাতিদের বাড়ি!


উপজাতিদের হলুদ !! এগুলো শুকিয়ে বিক্রি করবে!!



এরা শুয়োর পালে!! বাপরে এক একটা দেখতে গরুর মতো বড়!!


পথে দেখা যাবে দূরে পাহাড়ের উপর উপজাতিদের বাড়ি !!

এইরকম রাস্তায় নামতে খুব মজা কিন্তু উঠার সময় টের পাবেন...


আহারে বাঙ্গালী বিশ্রাম ঘরও বাদ দিলি না লেখার জন্য!!



মাটিও বাদ গেলো না!!


এখানে পরীক্ষামূলক ভাবে মাল্টা চাষ হচ্ছে!



অসাধারণ একটা গাছ!! নাম জানিনা!!



এইরকম সিড়ি দিয়ে নামতে হবে!! উঠার সময় মজা বুঝবেন!!



অবশেষে ঝরনায় এসে পড়লাম!!


ঝর্নার উপর থেকে নিচের ছবি!!



আমরা শিতকালে গিয়াছি তাই পানি নেই থাকলে খুব মজা!! পুরাই স্লিপার!!


এখান থেকে সবাই নিচে স্লিপ কেটে নিচে পড়ে!


ঝর্নার নিচের দৃশ্য আরো সুন্দর!!


একটা কথা দেশ আমার!! এইসব নয়না ভিরাম দৃশ্য আমাদের সম্পদ!! কিছু ছাগলের বাচ্চা চিপস বিরিয়ানি খেয়ে যায়গাটাকে নষ্ট করে ফেলেছে!! সবার কাছে অনুরোধ এই রকম করবেন না!!

পাশেই একটা গাছে ডুমুর ঝুলছিলো! একটা পেড়ে দেখলাম কাঁচা! আপনারা যেতে যেতে পেকে যাবে!


অনেক ঘুরা ঘুরি হলো!! এবার চলে যাবো!!


যাবার সময় এভাবে বিদায় জানাবে গেটে!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.