আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রামসহ ২৬টি জেলার সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মোড় রূপগঞ্জের (নারায়ণগঞ্জ) ভুলতা গাউছিয়া মার্কেট এলাকাটি এখন যানজটের স্থায়ী অভিশাপস্থলে পরিণত হয়েছে। পুলিশ ও যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে মহাসড়কের ওপর কাঁচাবাজার বসানোর কারণেই সেখানে যানজটের নিত্য ধকল চলে। যানজটে আটকেপড়া শত শত যানবাহনের যাত্রীরা প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগের শিকার হন। যানজটের ধকল শুধু ভুলতা-গাউছিয়া এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, প্রতি মুহূর্তেই এর বিস্তৃতি ঘটে রূপগঞ্জের তারাব বিশ্বরোড থেকে আধুরিয়া ও ঢাকা বাইপাস সড়কের কাঞ্চন থেকে বস্তল পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা নারী ও শিশুরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।

সর্ববৃহৎ একক মালিকানাধীন পাইকারি কাপড়ের বাজার রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেট। এ মার্কেট ঘেঁষেই ব্যস্ততম গাউছিয়া মার্কেট মোড়। প্রতিনিয়ত হাজারো যানবাহনের চলাচল, লাখো মানুষের আনাগোনা। সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছে দুই শতাধিক দোকানের বড় কাঁচাবাজার। ভোর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়-ভাড়াক্কা।

মহাসড়কের ওপর কাঁচাবাজার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়।

ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ হারুন অর রশিদ ভুঁইয়া জানান, মহাসড়কে কাঁচাবাজার বসানোর কারণেই প্রতিদিন সেখানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা অবৈধ ভটভটি, লেগুনা, মালবাহী ট্রাক ও ফিটনেসবিহীন বাস-মিনিবাস থামিয়ে চাঁদাবাজিতেই বেশি ব্যস্ত থাকে। চাঁদাবাজির জটলা লেগে থাকে দিনভর, এর জের হিসেবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস সড়কের মিলনস্থল গোলাকান্দাইল চৌরাস্তাজুড়েও থাকে ভয়াবহ যানজট। গোলাকান্দাইল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আবদুল মতিন জানান, উত্তরবঙ্গের মালবাহী ট্রাক, লরি, কনটেইনারসহ হাজার হাজার যানবাহন গোলাকান্দাইল চৌরাস্তা ক্রস করে চট্টগ্রামসহ দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াত করে।

ফলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন বন্ধ রেখে ঢাকা-বাইপাস সড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হয়। আবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করলে ঢাকা-বাইপাস সড়ক বন্ধ রাখতে হয়। শুরু হয় যানবাহন জটের, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানজটের দৈর্ঘ্যও বাড়তে থাকে।

গোলাকান্দাইল ও ভুলতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পরিবহন শ্রমিক-মালিক, স্থানীয় বাসিন্দারা যানজট দূর করতে অবিলম্বে ভুলতা ও গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় দুটি ছোট আকারের ফ্লাইওভার নির্মাণের জোর দাবি জানান। তারা বলেন, 'ভুলতা থেকে গোলাকান্দাইল সড়কে দেড়শ ফুট এলাকায় রোড ডিভাইডার থাকলেও যানজট নিরসন হচ্ছে না।

ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকায় রাস্তার পাশে অবৈধভাগে গড়ে ওঠা দোকানপাট, সড়কে বেবিট্যাক্সি, লেগুনা, অটোরিকশা, সিএনজি, প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড করে দখলে রাখায় যানজট সৃষ্টি হয়। অবৈধ স্থাপনা, কাঁচাবাজার ও যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের পাশাপাশি ভুলতা ও গোলাকান্দাইল এলাকার উভয়দিকে অন্তত দুই কিলোমিটারজুড়ে রোড ডিভাইডার নির্মাণ জরুরি। ' ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভুলতা চৌরাস্তার মতো দেশের মহাসড়কগুলোতে ৩০০ পয়েন্টে নিয়মিত যানজটের ভয়াবহ ধকল পোহাতে হচ্ছে। সেসব স্থানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শত শত যানবাহন আর লাখ লাখ যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন নিত্য দিন। দেশের সব সড়ক-মহাসড়কে এখন অরাজকতার শেষ নেই।

জায়গা না রেখে স্থাপন করা হয়েছে হোটেল, পেট্রল ও সিএনজি পাম্প। রয়েছে মিলকারখানা, হাটবাজার, পার্কিংসহ নানা কিছু। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এসব কিছুর সঙ্গে যুক্ত। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনার দিক থেকে হাত বদলালেও স্থাপনা সব থাকে আগের মতোই। বরং নতুন নেতৃত্বে অবৈধ হাটবাজারসহ মিল কারখানার সংখ্যা বাড়ে।

মহাসড়কে যানজটের নানা কারণ : অনুসন্ধানে যানজটের নেপথ্যে ১০টি কারণ পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে আছে হাইওয়ে ট্রাফিক সিস্টেমের অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক আইন না মানা, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, কর্তব্যে অবহেলা, পেট্রল টহল পর্যাপ্ত না থাকা, মুনাফা লাভের আশায় পুরনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি নামানো, দূরপাল্লার সড়কে সিটি সার্ভিসে যাত্রী পরিবহন, সড়কের বেহাল অবস্থা, রাস্তা দখল করে মার্কেট নির্মাণ, যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা না থাকার কারণেই যানজটের সূত্রপাত ঘটে। তবে রাস্তাঘাটের সমস্যার জন্য যানজট হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যানজটের কারণ হিসেবে তিনি রাস্তায় হাটবাজার, মহাসড়কে 'আনফিট' গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেন।

চট্টগ্রাম রোডে সীমাহীন জট : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা।

মাঝে-মধ্যেই ৫০/৬০/৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের খবর ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ এলাকার যানজটের কারণ হিসেবে অনুসন্ধানে ছয়টি বিষয় বেরিয়ে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে সড়কের কিছু অংশ পর পর বাঁক, ওই বাঁকের কারণে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি উদ্ধারে সংকট, সড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, সড়কের যত্রতত্র যাত্রী উঠানো-নামানো, প্রশিক্ষিত চালকের অভাব, মেঘনা-গোমতী সেতুর বিকল্প না থাকাসহ বেশ কিছু সমস্যা। মহাসড়কের যেখানে সেখানে মাঝ রাস্তাতেই গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো চলে। পেছন থেকে সারি সারি গাড়ি হর্ন বাজাতে থাকলেও পাত্তা পায় না।

এভাবেই গৌরীপুর, রায়পুর, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর, মাধাইয়া ও চান্দিনা বাস স্টপেজে গাড়ির লম্বা লাইন লেগে থাকে প্রতিদিন। সড়কের মাঝখানে বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো গাড়ির চালকরা জানান, রাস্তার দুই পাশ দখল করে থাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর নসিমন-করিমন। মাঝ রাস্তায় বাস না থামিয়ে উপায় কী?

উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কেও অচলাবস্থা : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের অবস্থা আরও ভয়াবহ। অসহ্য জটে অচল মহাসড়ক। টানা বৃষ্টি, সড়ক দুর্ঘটনা আর পণ্যবাহী ট্রাকের বিশৃঙ্খলার কারণে রাজধানীর সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ জনপদের সংযোগকারী দুই মহাসড়কে তীব্র যানজটের কারণে ঢাকামুখো যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ও চন্দ্রা পর্যন্ত এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ ২২ জেলার ৯২টি রুটের যাত্রীরা। মহাসড়কে যানজটের কারণে বিভিন্ন লিংক রোডগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় সেসব রোডেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এদিকে টাঙ্গাইলের জামুর্কী, পাকুল্লা, মির্জাপুর ও কালিয়াকৈরে প্রায়ই যানবাহন বিকল হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় যানজট। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩৩ জেলার মানুষের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে মিরপুর সেতু (আমিনবাজার সেতু)।

যানজটের যত স্থান : চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবহনের প্রবেশ ও বহির্গমনের দ্বার কাঁচপুর। ঢাকার দিক থেকে কাঁচপুরে যেতে এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাঁচপুর হয়ে ঢাকায় আসতে কেন এত সময় লাগছে? কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, কোথাও কোথাও এলোমেলো দাঁড়িয়ে থাকে বাস-ট্রাক-টেম্পো। কোথাও বসে অবৈধ হাটবাজার। কিছু জায়গায় রাস্তাঘাটেরও বেহাল অবস্থা। রাজধানী থেকে বেরোনোর সময় মহাখালী থেকে গাজীপুর কমপক্ষে ছয়টি স্থানে এবং ঢোকার আটটি স্থানে জ্যামে পড়তে হয়।

কোথাও সড়কের দুরবস্থা, কোথাও চালকদের নিয়ম না মানা আবার কখনো কখনো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা যানজটের অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ রয়েছে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও সিলেট এলাকার বাস চলাচল করে। এ পথের যাত্রী ও বাসচালকরা জানান, টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে চেরাগআলী, গাজীপুরা, জয়দেবপুর চৌরাস্তা, জয়দেবপুর থেকে কোনাবাড়ী, সফিপুর, চান্দরা, টাঙ্গাইল রুটের সাভারের জামগড়া, ফ্যান্টাসি কিংডম ও আশুলিয়া সড়কের বাইপাইল এবং সিলেট রুটে টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে মিরেরবাগ, নরসিংদীর পাঁচদোনায় তীব্র যানজট লেগেই থাকে।

টঙ্গী স্টেশন রোডের যানজটের অন্যতম কারণ সেনাকল্যাণ কমপ্লেক্সের পর থেকে রাস্তার বাম পাশে বেশ কিছু ট্রাক থামিয়ে রাখা, স্টেশন রোডে রাস্তার এক পাশে ফলের দোকান ও আরেক পাশে রাস্তাজুড়ে গাড়ি পার্কিং। এ ছাড়া ঢাকা-টঙ্গী গন্তব্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাসগুলোর বেপরোয়া চলাচল ও স্টেশন রোডের যানবাহন বাইপাস করতে গিয়েও যানজটের তৈরি হয়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাঁচটি পয়েন্টে নিত্যদিনের যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন বিভিন্ন গন্তব্যে চলমান বাসযাত্রীরা। রমজানের তৃতীয় দিনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী, সফীপুর বাজার ও চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয়। ফলে ৫ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত।

সড়ক পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টদের বিবেচনায়, দেশের আন্তঃজেলা মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়ক ও জেলা কানেকটিং রোডগুলোয় ভয়াবহ যানজটের প্রধান কারণগুলো হলো- রাস্তার ধারণ ক্ষমতার তুলনায় যানবাহন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রাস্তার ওপর যানবাহন বিকল হওয়া, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি ও ধ্বংসাবশেষ দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা না করা, মহাসড়কের ওপর অবৈধ হাটবাজার বসানো, চালকদের এলোপাতাড়ি চালনা, যত্রযত্র গাড়ি থামানো, ভাঙাচোরা রাস্তায় বিপজ্জনক খানাখন্দ ইত্যাদি। এ ছাড়া ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদাবাজির দৌরাত্দ্যের কারণেও সড়ক-মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, রাত-দিন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রীকে।

যানজট নিরসনে বিশেষজ্ঞদের অভিমত

সড়ক ও জনপথের ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের অন্যতম পয়েন্ট কাঁচপুর। এ পয়েন্টে গ্রেট সেপারেটর নির্মাণ করা সম্ভব হলে যানজট থাকবে না। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাজারের পাশের রাস্তা ফোরলেন করা হয়েছে। সব মহাসড়কে এ পদ্ধতি করতে হবে। দুর্ঘটনা হ্রাসে রোড ডিভাইডারের পাশাপাশি চালকদের আইন মানতে বাধ্য করতে হবে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক মহাসড়কের যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। দেশের মহাসড়কগুলোতে ২০৯টি ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব স্পটে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা হয়। এসব স্পটের মধ্যে বেশ কিছু বাঁক রয়েছে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু বাঁক সরলিকরণ করা হয়েছে। ব্ল্যাক স্পটগুলোতে এখনো ঝুঁকি রয়েই গেছে। এ ছাড়া মহাসড়কে অল্প গতির যানবাহন নিষিদ্ধ করা, রোড ডিভাইডার স্থাপন, ফিডার রোড নিয়ন্ত্রণ, হাটবাজারসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি।

পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে- মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত অপ্রয়োজনীয় ফিডার রোডগুলো নিয়ন্ত্রণ করা।

সড়কের পাশ থেকে সব ধরনের হাটবাজারসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকার বন্ধ করাসহ সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করার বিকল্প নেই। আইন মেনে যানবাহন চালানো ও হাইওয়ে পুলিশের সুষ্ঠু তদারকি মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি কমাতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.