আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাসড়কে ধর্মঘটে ভোগান্তি

চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতিসহ মালিক ও শ্রমিকদের পাঁচটি সংগঠন বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ মহাসড়কে এই ধর্মঘট করে।
ধর্মঘটের কারণে সকাল ৬টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে কোনো যাত্রীবাহী বাস ছাড়েনি। এর দুই ঘণ্টা পর মহাসড়কে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের  চলাচল।
বাস মালিক সমিতির নেতারা জানান,  মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে প্রতিদিন মোট এক হাজার দুইশ’ বাস চলাচল করে। এসব বাসে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়।

 
সকালে নগরীর দামপাড়া এলাকার বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়,   বাসের টিকেট কিনতে কাউন্টারে এসেছেন অনেকে।
ইউনিক বাস সার্ভিসের বিক্রয় কর্মী আবদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কিছু যাত্রী ধর্মঘটের বিষয়ে জানতেন না। তাই সকাল থেকে তারা এসে টিকেটের খোঁজ করেন।
কাউন্টারে অপেক্ষমান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আকবর হোসেন বলেন, “অফিসের জরুরি কাজে ঢাকা যেতে হবে। তাই কাউন্টারে এসে বসে আছি।

কিন্তু এখনো টিকেট বিক্রি শুরু হয়নি। প্রথম যে বাস পাব তাতেই যাবো। ”
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদামবিবির হাট এলাকায় বাসের অপেক্ষায় সকাল ১০টার দিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিপ ইয়ার্ড শ্রমিকদের ২০-২২ জনের একটি দল। তারা সবাই বরগুনা যাবেন।
এদের মধ্যে নোমান বাদশা নামের একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাই গাড়ি যে চলবে না তা তো জানতাম না।

রাস্তার দাঁড়ায় আছি সকাল থেকে। দেখি যদি ট্রাকে করে যেতে পারি। ”
এ ধর্মঘটের কারণে শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম থেকে দেশের অন্যান্য জেলার উদ্দেশ্যেও কোনো যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি।
তবে সীতাকুণ্ড, মিরসরাইসহ মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী মিনিবাস, টেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করেছে।
আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভিন্ন কারণে যানবাহনে নিয়মিত হামলা হয়।

এ কারণে বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘটে গেছি। যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগের জন্য আমরা দুঃখিত। ”
দুপুর ২টায় ধর্মঘট শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবহনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.