আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"পুরুষ দেখলেই চিৎকার করছে টাঙ্গাইলের সেই স্কুলছাত্রী"-ব্লগারবৃন্দ আপনারা জানেন কি !!!

ইহা কঠোরভাবে একটি রাজনীতি মুক্ত ব্লগ । । সন্মানিত ব্লগারবৃন্দ, আপ্নারা জানেন কি, গত ১০ ডিসেম্বর, ২০১২ সোমবার সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকায় রেল লাইনের ওপর থেকে গণধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রীকে (১৫ বছর) অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে তাকে টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে এখন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে যুঝছে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রী কোনো পুরুষ দেখলেই ভয়ে আতকে ওঠে এবং চিৎকার করছে। এমনকি চিকিৎসকদের দেখলেও একই আচরণ করছে সে। তার আচরণে ওই ওয়ার্ডের অন্য রোগীরাও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছে। অপরদিকে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মেয়ের এ ঘটনা জানতে পেরে স্ত্রী ও মেয়ের বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। (তথ্য সুত্র; বাংলানিউজ) ভারতের দামিনী তো মারা গেছে, বিক্ষোভ কারীদের আন্দোলনে ভারত এখনও উত্তাল, ১৪৪ ধারা চলছে রাজপথে।

ধর্ষকদের বিচারও হবে। আমরাও ওদের সমর্থন দিয়েছি। এবার কি একটু আমদের এই মেয়েটির জন্য কিছু করা যায় ? কিছুদিন আগে একজন ডাক্তার ধর্ষনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরন করল। হয়নি কোন প্রতিবাদ বা আন্দোলন, কিছু তরুন ডাক্তার মানব বন্ধন করেছিল, কোন সাংবাদিক সেই খবর ছাপেনি, কোন টিভি চ্যানেল দেখায়নি। এবার কি আমরা নিজেদের জন্য কিছু করতে পারি ?? এভাবে ধর্ষকরা আপরাধ করে বুক উচিয়ে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়ালে, ভবিষ্যতে আপনার আমার মা বোনেরা কি নিরাপদ থাকতে পারবে ?? আসুন আমরাও প্রতিবাদ গড়ে তুলি, সোচ্চার হই ধর্ষনের বিরুদ্ধে।

আর সকল ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করি। "HANG THE RAPISTS TILL DEATH" এটাই হোক আমাদের সবার দাবী। ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ খবরঃ মু.জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে গণধর্ষণের শিকার এক স্কুলছাত্রী(১৫) বাকরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গত ১০ ডিসেম্বর(সোমবার) টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের পাশে রেল লাইনের ওপর থেকে ওই স্কুছাত্রীকে এলাকাবাসী অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সে কোন কথা বলতে পারছেনা, যুবকদের দেখলেই আঁত্কে উঠছে। সে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আগ বিক্রমহাটি মাহমুদুল হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ওই স্কুছাত্রীর মা জানান, মেয়েকে তার বান্ধবি বীথি(১৭) বিয়ের দাওয়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে গত ৬ ডিসেম্বর(বৃহস্পতিবার) মধুপুরের পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মধুপুরের শুপ্তি কম্পিটারের কর্মচারি রুবেল ও তার বন্ধু হারুনসহ ৫/৬ জন যুবক অবস্থান করছিল। যুবকরা তার মেয়েকে গণধর্ষণ করে।

তিনি আরো জানান, ৩দিন তার মেয়েকে ওই বাড়িতে আটকে রেখে বারংবার ধর্ষণ করার পর গত ১০ ডিসেম্বর(সোমবার) সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে বাড়ির পাশে রেল লাইনের ওপর অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এ সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতার বড় ভাই স্থানীয়দের সহায়তায় রেললাইন থেকে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি করে। ধর্ষিতার মা জানান, রেললাইনের উপর ফেলে রাখার ৩/৪ দিন পর বান্ধবি বীথি ধর্ষিতার খোঁজ নিতে আসলে এলাকাবাসী তাকে আটকে রাখে। ওই সময় গালা ইউপি সদস্য মো. শওকত আলী ও একই গ্রামের সেলিম বীথিকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাকিয়া রশিদ শাফি জানান, ধর্ষিত মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

এতে ধর্ষণের স্পষ্ট আলামত পাওয়া গেছে। মেয়েটির মা আরো জানান, এ ঘটনায় রোববার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা দেখে গেছে, তাদের সহযোগীতায় মামলা দায়ের করা হবে। সুত্র  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.