আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ের আগেই জেনে নেবেন যা...

বিয়ে মানে জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। এর মাধ্যমে দু'জন নর-নারীর মধ্যে রচিত হয় চিরস্থায়ী এক সম্পর্ক। এক ছাদের তলায় কাটানোর জন্য সবচে' জরুরি পারস্পরিক বোঝা-পড়া। তাই বিয়ের আয়োজন শুধু কেনাকাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, বর-কনের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতিটাতেও সমান জোর দেয়া দরকার।

 

মানসিক প্রস্তুতি

বিয়ের ঠিক আগে ছেলে-মেয়ের মানসিক ঘাটতি বেড়ে যায়।

নিজের স্বভাবের কোনো নেতিবাচক দিক থাকলে বিয়ের আগেই সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করা জরুরি। নিজস্ব কিছু বিষয় যদি থেকেই থাকে তাহলে বিয়ের আগে পারস্পরিক বোঝাপড়া করে নেয়া ভালো। এসব ক্ষেত্রে শুধু পাত্র ও পাত্রী দু'জনই দু'জনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। একজন যখন আরেকজনের ভুলত্রুটিসহ তাকে মেনে নেয়, তখন তার সমস্যাগুলোর সমাধা করার দায়িত্বটাও নিতে হবে। সংসার নিয়ে হতাশামুক্ত হয়ে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করুন।

বিয়ে পরবর্তী সব সমস্যা সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিলে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে।

 

শারীরিক প্রস্তুতি

বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতির পাশাপাশি শারীরিক প্রস্তুতিটাও থাকা দরকার। বিয়ের আগে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে দরকারী পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি। ছেলেমেয়ের বয়স বেশি না কম, শারীরিক উচ্চতা কত, ওজন কত ও রক্তচাপ কেমন ইত্যাদি পরীক্ষার মধ্যেমেই জানা যায়। আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা, হেপাটাইটিসসহ সব টিকা দেয়া আছে কি না, এসব বিষয়েও জানা যায়।

কেউ ধূমপান বা অন্য কোনো নেশায় আসক্ত কি না সে বিষয়েও নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায়।

বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। আবার মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয়ার আশঙ্কা থাকে। সেক্ষেত্রে মেয়েদের ত্রিশ বছরের পর প্রথম বাচ্চা নেয়াটা খুবই ঝুঁকির কারণ হয়ে যায়।

তবে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণটা খুবই ঝুঁকির।

বংশগত কোনও রোগে যেমন থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশীতে একধরনের দুর্বলতা), স্নায়ুর বিশেষ কয়েকটি অসুখ, এপিলেপ্টিক ডিজঅর্ডার (মৃগী রোগ), মানসিক অসুস্থতা (যেমন: সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, সিস্টিক ফাইব্রোসিস), বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যানসার (যেমন: ব্রেস্ট ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার, কোলন ক্যানসার), কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক), ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, স্থূলতা, অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি আছে কি না তার যাবতীয় পরীক্ষা বিয়ের আগেই করে নেয়া উচিৎ।

এছাড়াও সিফিলিস, গনোরিয়া, জেনিটাল হারপিস, স্যানক্রয়েড ও রক্তবাহিত রোগ থাকলে সেসবের চিকিৎসা বিয়ের আগেই করে নেয়া প্রয়োজন।

মডেল: সাব্বির ও তাসনিয়া



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।