আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার শিক্ষা জীবনে শিক্ষাঙ্গনে টয়লেট (পায়খানা) দর্শন ......শেষ কোথায়



আমার জন্মের পরেই আমার বাবা মা নাটরের এন এস কলেজের পিছনের একটা ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন । । এটি একটি মোটামোটি আধুনিক বাসা তাই পায়খানাও পাকা ছিল । । আমি ছোট বেলা হতেই পরিস্কার আর পাকা পায়খানায় কাম সেরে আমার অভ্যাশ ।

। আমার বয়স ৫ বছর হলে আবার আমার বাবা মা গ্রামে দাদার বাসায় ফিরে আসেন । । গ্রামে যে কয়টি বাড়িতে পাকা টয়লেট ছিল এর মধ্যে আমাদের টা অন্যতম । ।

কারন তখন গ্রামে পায়খানা অযথা খরচ হিসেবে গন্য হতো । । কারন আসে পাসে আখের চাষ হতো প্রচুর এছাড়া ঝোপ ঝাড় এর অভাব নেই । । এমন কি রাতের বেলা রাস্তার কাম সার ছিল কিছু লোকের ফ্যাশন ।

। এটা লোক জনের চলাচলের বিরাট একটা বাধা ছিল । । বিশেষ করে আমাদের রাস্তা দিয়ে দিনের বেলা রাস্তা দিয়ে প্রচুর লোক চলা চল করে । ।

কারন এটা আমাদের গ্রাম হতে হাটে যাবার জন্য অন্তত ১৫-২০টা গ্রামের লোক ব্যাবহার করে (যদিও কোন সরকার আজও সেই রাস্তা পাকা করেনাই ) । ।

যাক সেই কথা ...........এর পরে বয়স ৬ বছর হলে আমাদের গ্রামের স্কুলে ভর্তি হলাম । । স্কুলটা একেবারে বিলের মধ্যে চারিদিকে আখ আর বিভিন্ন ফসলের মাঠ ।

। আমাদের স্কুলে বচ্চাদের জন্যে পেসান খানা থাকলেও কোন পায়খানা ছিল না আজও নাই । । তাই আমাদের কারো ইয়ৈর বেগ পাইলে আমরা ঝোপে ঝাড়ে কাম সারতাম । ।

একই কাহীনি হাই স্কুল এ ও । । ক্লাস এইটে এসে পুঠিয়ায় পি এন হাই স্কুলে ভর্তি হলাম ক্লাস এইট থেকে । । পি এন এ দু একটি পায়খানা থাকলেও বহু ছাত্রের ব্যাবহারে অল্প সময়ের মধ্যেই তা ব্যাবহারের অনুপোযোগী হয়ে থাকতো ।

। অনেকেই মসজিদের পায়খানায় টাকা দিয়ে কাম সেরে আসতো । । আর যারা জানেনা তারা অনেকেই বিরাট পেসাব খানার ভিতরেই কাম সারতো । ।



এখন আছি রাজশাহী কলেজ নামক বিখ্যাত এক কলেজে ইতিহাস বিভাগে । । এখানেও আমার সমস্যা পিছু ছাড়েনি । । আমাদের দুটি টয়লেট একটা পুরুষ একটা মেয়েদের ।

। পুরুষ টয়লেক যে শেষ কবে পরিস্কার করা হয়েছে তা আল্লাই ভাল জানে । । প‌্যানের অর্ধেক ইয়ৈ ভর্তি থাকে । ।

আর মেয়েদের টায় কোন লক নাই । । এই হচ্ছে আমার দেখা আমাদের শিক্ষাঙ্গনে টয়লেটের অবস্থা বা ব্যাবস্থা । ।

যা দেখিয়া আমার গা গুলায় আসে .........
কবে যে শিক্ষা মন্ত্রি শিক্ষিত হবে আশায় আছি ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.