আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ যুগের রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটদের খোঁজখবর

রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, শাহজাহান-মমতাজ, লাইলী-মজনু, দেবদাস-পার্বতী সহ আরও অনেক প্রেম কাহিনী ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। যুগ যুগ ধরে প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে ইতিহাসের সেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রেম আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।



প্রেমের সেই আদর্শ বর্তমান সময়ে এসে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। এখনকার প্রেম-ভালোবাসা মূলত মনের দিক থেকে হয় না। হয় টাকা ও শরীরের দিক থেকে।

তবে এর মধ্যেও দেশে-বিদেশে এমন কিছু প্রেম-ভালোবাসার ঘটনা ঘটছে যা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই সব ঐতিহাসিক প্রেমের ইতিহাসের কাছে। আজ আমরা এমন কিছু প্রেমের গল্প শুনবো।

মুকেশ কুমার - আদ্রিয়ানা পেরাল
মুকেশ কুমার পেশায় একজন কৃষক। বাড়ি ভারতে হরিয়ানার ভারতে। আর আদ্রিয়ানা পেরাল এর বাড়ি সদূর আমেরিকা।

৪১ বছরের আদ্রিয়ানা পেরালের জীবনটা কাটছিল আর বাকি পাঁচজন হাইপ্রোফাইল গৃহস্থ মার্কিন মহিলার মতই। অফিসে রিসেপসনিস্টের কাজ, তারপর সন্ধ্যায় জিম, রাতে নাইটক্লাবে দেদার নাচ। এভাবেই দিন কাটত পেরালের। অফিসে ফেসবুকের সামনে মাঝে মাঝে বসার সুযোগ পেতেন। তখনই পরিচয় হয় হরিয়ানার ২৫ বছরের মুকেশ কুমারের সঙ্গে।

মুকেশের সঙ্গে কথা বলতে বেশ লাগত পেরালের। মুকেশের সঙ্গে মিশেই জীবনের মানে খুঁজে পেতে শুরু করেন পেরাল। মুকেশের কথা পেরাল জানান তাঁর মেয়ে ওবন্ধু বান্ধবদের। পেরালের আত্মীয়-বন্ধুরা বলেন, ‘ফেসবুকে অনেক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থাকে। ওই নামের আসলে কেউ নেই, তোমায় কেউ ঠোকাচ্ছে।

’ জেদ চেপে বসে পেরালের। মুকেশের কাছ থেকে ঠিকানা চেয়ে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে প্লেনে চড়ে দিল্লি। দিল্লি এয়ারপোর্টে তখন পেরালের জন্য অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে মুকেশ। যা দেখে চোখে জল চলে এল পেরালের। পেরালের মেয়ের ও দারুণ পছন্দ হয়ে যায় মায়ের প্রেমিক মুকেশকে।

এরপর আর কী.. সাত পাকে বাধা। তার সংসার জীবন.. ক্যালিফোর্নিয়ার সেই পাঁচতারা জীবন ছেড়ে হরিয়ানায় একতারা জীবনে পাড়ি। এখন নিজে হাতে রুটি করেন, লাঙল দেন, মুকেশকে চাষের কাজে সাহায্য করেন। শ্বাশুরির কাছে রামায়ণ-মহাভারতের গল্পও শোনেন।

পল ম্যাসন - রেবেকা মাউন্টেন
পল ম্যাসনের ওজন ছিল ৯৮০ পাউন্ড।

বিশ্বের সবচেয়ে ভারী মানুষ ছিলেন তিনি। ওজনের ভারে উঠতে পারতেন না পর্যন্ত। সেই পলের জীবনেই ক মাস আগে বদল আসে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একজন পলের জীবন বদলে দেয়। সেখানেই মনের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।

নিজের পরিচয় দিয়ে পল তার প্রিয় পছন্দের মানুষটিকে বলেছিল, ‘তুমি সঙ্গে থাকলে আমি সব ভার বইতে পারব। সেই ৯৮০ পাউন্ডের মানুষ পল ম্যাসনের প্রেম কাহিনি আজ নতুন পথ দেখাল বিশ্বের তাবৎ মোটা মানুষদের। প্রেমের টানে ৬৭২ পাউন্ড ওজন কমালেন তিনি! ৫২ বছর বয়সী পলের এই প্রেমিকার নাম রেবেকা মাউন্টেন। রেবাকাকে প্রথমবার মুখোমুখি দেখে কেঁদে ফেলে পল বললেন, থ্যাঙ্ক ইউ আমার পাশে থাকার জন্য। পলের প্রেমিকা রেবেকাও নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

এই রকম একটা অন্য ধরনের প্রেমকাহিনি দেখে সবাই অবাকও বটে। যে মানুষটা ক মাস আগেও শরীরের ভারে উঠতে পারতেন না, তিনিই আজ ওজন কমিয়ে প্রেমে মজেছেন।


* এ রকম আরও কিছু ভালোবাসার গল্প জানতে এখানে ক্লিক করুন।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।