আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয় প্রিয়া হে প্রিয়তম!

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

প্রিয়!
খুব বেশী করে মনে পড়ে তোমার মায়াভরা মুখখানী।

আমার ভালোবাসার নুরের আলোয় যে মুখটি তিমির ভেদে মরুর মাঝে জলের ঝলমল করে উঠতো সেই তুমি। তুমি হয়তো ভাবতে পারো “এই দৃশ্যপট তো বহুকাল আগের যা আজ শুধুই স্মৃতি পটে গাঁথা মালা” । আমি যে অমন নিষ্ঠুরের ভান করে ভাবতে শিখি নি। যে সত্য হারাবার নয় তা কি করে স্মৃতি নামক কঙ্কাল হয় বলো প্রিয়তম! বলা চলে কোনো দক্ষ চিত্রশিল্পীর আঁকা একখানা ছবির মতোই সেই সুন্দর মায়াশোভিত চিত্র দৃশ্য দু’জনেরই মনের ঘরে স্পষ্ট হয়ে আছে। শুধু ছবি নয় সাথে সাথে স্বর্গথেকে মিষ্টি ভুল করে আসা সংঙ্গীতও বেজে উঠছে।

এই সুর কখনও টক দইয়ের মতো বাসি হয়ে বাশের বাঁশীর মতো করুন সুর বাজাতে জানে না। এ সুরসুধা সর্বকালের সর্বযুগের চির সর্বসত্য ও সুন্দর প্রেমাগমনের বর্তমান বাস্তব সঙ্গীতই বটে।

পৃথিবীর অনেক কিছু হারিয়ে যায় শুধু প্রেম হারায় না আবার হারতেও জানে না। আমার মনের যে আশা তোমার প্রেমের কক্ষপথে ঘুর্নায়মান সত্য হয়ে আছে – সেই আশা শক্তি অবিনশ্বর। তোমার সাথে আমার যে জনম জনমের মিত্রতা তার ত্যাজ কি এতো ঠুমকো, যে একটু সামান্য দুষিত পরিবেশের আউলা ঠেলায় হারিয়ে যাবে? আমাকে নিজের করে পাবার জন্য তোমার হৃদয়ে যে আশা-স্বপ্ন জাগে তাকে নিরাশা ভেবে ভুল করো না যেনো! এই স্বপ্ন জাগানিয়া আশার প্রদিপ তুমি হয় তো জ্বালাতে পারো ঠিকই কিন্তু সেই পবিত্র প্রদিপের আলোয় যে ভগবানের বক্ষে আমাদের প্রেমের চিরস্থায়ী বন্দবস্ত হয়ে যায়।

মানব প্রেমের এই পিয়াজের মতো ঝাঝ দেখে সংয় ব্রহ্মা ও যে ঢুকরে ঢুকরে কেঁদে কেঁদে অট্রোহাসী দিয়ে বলেন, “জয়তু প্রেম”।

আজ দেখো প্রিয়, তোমার আমার এক হবার এতো যুগের এতো আশা যে এবাদাত হয়ে স্রষ্টার জত্যিপ্রাপ্ত হয়েছে। এবাদাতের পরিনাম শুধুমাত্র কল্যানকর পুরষ্কারই হবে। এই বিশ্বাস সবসময় রেখো কিন্তু! যদি বিশ্বাস হারাও তাহলে যে প্রেমের তপস্যা হবে না।

মাঝে মাঝে এই অভাগা মন হয়তো ভেবেছিলো তোমার আমার অভিযাত্রার ক্ষয় নেই।

হয়তো কোনো কালে, যে কাল সমাজ ও মানুষ যে সময়জ্ঞান বিশ্বাস করে সেই সময়ের বাহিরে এক অজানা সময়। এক অজানা স্থানে বসে তুমি আমি ঠিকই আমাদের প্রেমকে মৃত্যুহীন করে রেখে এসেছিলাম। যার প্রকাশরূপ শুধুই বর্তমান। আর চিরকাল বর্তমানই থেকে যাবে। বর্তমান বিহীন অন্য কোনো কাল তাকে খুঁজে পায় না ঠিক যেমন করে সন্ধ্যার শুরুতে যে পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে, তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাটতে থাকো দেখবে ও তোমার হাটার ছলেই তোমার সাথে করে যাচ্ছে।

আবার যদি ঐ চাঁদের দিকে তাকিয়ে দৌড়াও দেখবে তোমার সাথেই ও দৌড়াচ্ছে।

আমি তোমার মতো বিজ্ঞানের অত শত বুঝতে চাই না। সবাই যদি বিজ্ঞানের যুক্তির মধ্যে নিজের বোধ কে বেঁধে ফেলে তাহলে বিজ্ঞান সৃষ্টি করবে কে?

আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম – তোমার জীবন থেকে কখনও হারিয়ে যাবো না। তোমার পাশে পাশে থাকবো। তুমি ভালো করে তোমার ঐ ডাগর নয়ন তুলে আমার আখিঁতে তাকিয়ে দেখো – আবারও ভালো করে দেখো – আমি সেই কথা দেয়া কথা রেখেছি।

আজ থেকে সহস্র হাজার সৌর বছর অথবা মহারবীর কৃপায় আমি হারাবো না সেই সাথে তুমিও না। প্রেম হারায় না, প্রেম দিরদিনই নবীন শিশুর মতো চঞ্চল-দুষ্ট-সুন্দর-নবীন নব চীর রূপ। প্রেম প্রবিন, আটপৌঢ় বা পৌঢ় হতে পারে না।

প্রিয়তম শোনো! তুমি যদি কখনও আমার উপর বিশ্বাস হারানোর চেষ্টা করো তাতে তুমি সফল হতে পারবে না। আমি তোমাকে গভীর প্রেম সাগরে নিয়ে এসেছিলাম যেমনি করে ঠিক অমনি করে তোমার মনের মধ্যে আমার জন্য যে বিশ্বাস থাকবে তার নিয়ন্ত্রক তুমি বা আমি কেউই না।

এই বিশ্বাসের রক্ষক সয়ং বিভূতী নারায়ন।

তুমি হয়তো এই ধুলির ধরায় পশু মানবগুলো দ্বারা আমাদের পবিত্র প্রেমের লাঞ্চনাকে বড় করে দেখতে পারো। আমি ওভাবে দেখি না। পশু মানবেরা মানুষের প্রেম কে কি ভাবে নিয়ন্ত্রন করবে বলো? রবং সত্যিকারের প্রেমের অবিভাবক/রূপকারই যে পশু আত্মাকে ধীরে সুস্থে বস করে পশু হৃদয়কে প্রেমের জাদু কাঠি দ্বারা স্বজোড়ে আঘাত করে প্রেম জাগিয়ে মানুষ করে তোলে।

যারা তাওহিদের ঈমানী শক্তি বলে স্রষ্টার প্রকৃত পথ পেয়েছে শুধু তারাই উপলব্ধি করতে জানে সৃষ্টি জগতে কতো কতো গোপন জায়গা বিরাজমান।

আমি তোমায় সেখানে নিয়ে যাবো। দু’জন দু’জনের দিকে অসীম কাল চেয়ে থাকবো। আমাদের প্রেমের ঝলকানীতে অসীম কাল ও যে সসীম হয়ে তার প্রেমকে খুঁজতে থাকবে। তখন তুমি কিন্তু ওই সসীম কাল নামক পাগল কে পথ দেখিয়ে দিও প্রেয়সী মোর রাণী।

আজ যে মানুষটিকে অনেক মানুষ অবহেলা দিয়েও বরন করার যোগ্যতা প্রদর্শনেও দিদ্ধাবোধ করছে দেখবে তারাই একদিন আমাদের এই প্রেমের জন্য চোখের পানি ঝড়াবে।

সেই চোখের জল অনেক বেশী প্রানবন্ত হবে যার মধ্যে বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা থাকবে না। কৃপনতা থাকবে না। শুধু এক রহস্যভরা আনন্দ থাকবে।

মনে পড়ে তোমার প্রিয়! সেই হাজার জনমেরও আগেকার কথা। যখন আমরা এই সব নীরিহ মানুষদের মতোই ছিলাম।

কতো কাঁদন, কতো সাধনে আমরা আমাদের আসল রূপ পেয়েছি তার কষ্ট বোঝার ক্ষমতা যেদিন ওদের হবে সেদিন নিজ থেকেই সব সমান্তরাল হয়ে দুঃখের অন্তরালে চিরশান্তির মধ্যে চলে যাবে।

একমাত্র তোমাকেই পেয়েছি যে, আমার সকল পাগলামীকে লালন করার দুঃসাহোস দেখিয়েছিলে। আমরা দু’জন ভালো করেই জানি এবং আমাদের অর্ন্তজামিও জানেন যে আমরা কোনো কালে পাগলামী করিনি। মানুষ অহেতুক আমাদের ভুল বুঝেছে। সেই ভুলের খেসারত ভুলকারিকেই দিতে হয়।



মনে আছে জান?

তোমাদের পড়ার ক্লাসে একদিন মানপত্র পাঠের জন্য তোমাকে সিলেকশন করা হয়েছিলো। আমি তোমাকে মানপত্র পাঠের রিহার্সেল করানোর ছলে দু’চোখ ভরে তোমার অর্থাৎ আমার দেবীর মুখখানী পলকহিন চোখে দেখেছিলাম। তুমিও মানপত্র ধীরে ধীরে পাঠ করে আমার আনন্দের সময়কে আরো দীর্ঘায়ীত করার সুযোগ দিয়ে ছিলে। সেদিন আমি প্রথম অনুভব করেছিলেম সেন্স অব টাচ আর সেন্স অব সী যে একই রকম আনন্দদায় হয়ে মিলেছে প্রেমের অবিধানে।

আর একদিনকার কথা খুব মনে পড়ে।

তোমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর গান ও আবৃত্তির রিহর্সেল হচ্ছিল। আমি হারমোনিয়ামের ডান পাশে চেয়ারে বসা। তুমি তোমার নয়নের সবটুকু আলো দিয়ে আমার দিকে সেই দুরের বেঞ্চে বসে তাকিয়ে ছিলে। আমি কিছুটা লজ্জা পেয়েছিলাম ঠিকই তারপরও ঐ চোখের মায়ায় চোখ ফিরাতে পারি নি। তুমি এমন করে বার বার বাঁকা চন্দ্রের মতো মুখ করে হাসছিলে যে আমার মনে হয়েছিলো পৃথিবীর মানুষ এতো সুন্দর করে হাসতে জানে? কোনো কুটিলতা অশালীনতা বা জোড় জবরদস্তী তোমার হাসিতে ছিলো না যা ছিলো তা নিখাদ প্রেমের আকুতি।

যা কোনোদিন হারায় না।

তুমি তো ভাল করেই জানো প্রিয়! তোমার আমার প্রেমের ভুবনে কোনো দুঃখ-মিথ্যা-অমঙ্গল ঢোকার ফাঁক ফোকর নাই। তারপরও আমরা আমাদের কষ্টের আগুনে পুরিয়ে পুরিয়ে অগ্নিমূরতী রূপ ধারন করেছি। এ দ্বায়ভার আমাদের প্রেমের না বরং অশিক্ষিত, অদূরদর্শী, লোভি, দানব মনের অধিকারী ও প্রেমের সাধ বিহীন স্বল্প জ্ঞানী-মূর্খ চারজন অভিবাবককে দিলে কোনো দোষের কিছু হবে না। আর এই ভন্ড অভিবাবকের এই নিচু মনের সৃষ্টি হয়েছে শুধুমাত্র এই মনের খোরাকের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা বাজে কিছু সমাজপতির দ্বারা সুন্দর সমাজকে অসুন্দরের দিতে ধাবিত করার জন্য।

তাইতো তোমাকে নিয়ে আমার এতো এতো ভয় হতো। ওরা যদি তোমাকে আবারও স্নেহের দোহাই দিয়ে ব্লাকমেইল করে রাখে। বিশ্বাস রাখো এই কুটিলতা আর সার্থক হতে দেয়া যাবে না। তাহলে যে আমাদের অনাগত কোমলমতি সুন্দর মনগুলোর কাছে আমরা ধিক্কারের পাত্র তো হবোই তার চেয়েও বেশী অকল্যান হবে আমাদের গার্ডিয়া নামের অবুঝদের।

তোমার প্রেমের রক্ষাকবচের বাহক আসিফ যে অনেক বেশী শক্তিশালী।

এই শক্তি আমার তাওহিদের বিশ্বাসের রূপকার আল্লাহ্ আমকে দিয়েছেন। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো প্রিয়। দেখবে পুরোবিশ্বকে আমাদের প্রেমের ঝলকানীতে মাতাল মাতোয়ারা করে দেবে।

এ মাতলামী যে মাথাকে গোলকধাঁধাঁয় ফেলীয়ে জীবনকে ভুল দিকে নিয়ে যাবার জন্য না। এ মাতলামী হল সত্য সুরা পান করে মিথ্যেকে স্বমূলে উৎক্ষেপ করার বাসনার মাতলামী।



তোমার আনন্দময়ী তোমার সাথেই আছেন। এই আনন্দময়ী তোমার আত্মার প্রেমের আকুতি না শুনলে যে কাজের কাজ না করে বরং অকাজের হয়ে যেতে পারতেন। আর আনন্দময়ী অকাজের হয়ে যাওয়া উচ্চারণ করাও যে অধর্ম ও পাপ ছাড়া কিছু না।
I Love You

তারিখঃ ৮-২-২০১৪

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.