দেশে জঙ্গিরা নানা তৎপরতায় মেতে উঠছে। সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সিরিয়াস বলে মনে হচ্ছে না। এটা দমনে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। মূলত স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো অনেকটা কুটির শিল্পের মতো। দিন আনে, দিন খায়, কোনো পরিকল্পনা নেই।
আর যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জঙ্গিবাদ লালন করছে তারা বহুজাতিক কোম্পানির মতো। তাদের কৌশলগত পরিকল্পনা আছে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করেই তারা এগোচ্ছে। তাদের আন্তর্জাতিক অর্থায়ন আছে। বাংলাদেশেও জঙ্গিবাদের জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা আসছে।
জঙ্গিবাদ দমন করতে হলে আগে এই অর্থায়নের উৎস বন্ধ করতে হবে। শুধু দুই-একটি বোমাবাজ ধরলেই হবে না। শনিবার চ্যানেল আই'র 'তৃতীয় মাত্রা'য় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এ কথা বলেন। জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। বাংলাদেশকে হুমকি দিয়ে আল-কায়েদা নেতা জাওয়াহিরির ভিডিও বার্তা প্রসঙ্গে তানিয়া আমীর বলেন, আল-কায়েদার বিষয়টি এখানে হঠাৎ করে কিছু নয়।
আফগান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে রিক্রুটমেন্ট হয়েছিল। আমাদের দারিদ্র্য আছে। আর আমাদের যে জনসংখ্যা তাতে এখানকার এক শতাংশ মানুষকে সুইসাইড বোমার কাজে ব্যবহার করতে পারলেও তাদের অন্য কোথাও যেতে হয় না। তাই তারা এ দেশকে টার্গেট করে। কিন্তু সরকারের এ ব্যাপারে তেমন কোনো মাথাব্যথা দেখছি না।
আমাদের সন্ত্রাস দমন একটা আইন আছে। ওই আইনটি কেন এখনো প্রয়োগ হচ্ছে না? রাষ্ট্রের রেলব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নাশকতায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা জর্জরিত, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন বিচার হচ্ছে তখন প্রত্যক্ষদর্শীদের কুপিয়ে মারা হয়, আপিল বিভাগে শুনানির সময় বিচারপতির বাসায় আক্রমণ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা বলছেন, এটা রাজনৈতিক সহিংসতা। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র হিসেবে সবাইকে এখানে একসুরে প্রতিবাদ করা উচিত। দুটো মিছিল যখন পাল্টাপাল্টি হয় সেটা এক কথা, কিন্তু চলন্ত বাসে নারী-শিশুর ওপর যখন পেট্রলবোমা ছোড়া হচ্ছে এটা 'ক্লাসিক্যাল সন্ত্রাস'।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।