আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মান্নার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ সেই ১৭ ফেব্রুয়ারি! রাজধানীর একটি হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে উদ্বিঘ্ন অপেক্ষা আত্মীয়-স্বজনসহ শত শত ভক্তের। দুপুর বেলা সবাইকে কান্নায় ভাসিয়ে ঘোষণা আসল চিত্রনায়ক মান্না আর নেই।

২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর দেশে পাড়ি জমান চিত্রনায়ক মান্না। আজ সোমবার তার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুর আগের দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতেও শুটিং করেছিলেন মান্না।

হঠাৎ মধ্যরাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকারী মিন্টুকে নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে উত্তরার বাসা থেকে হাসপাতালে যান তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে মান্নার মৃত্যুর খবর জানায়।

মান্নাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য তার অগণিত ভক্ত ভিড় জমায় এফডিসি’র সামনে। শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মান্নার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাবে এমন সংবাদে ভক্তরা চলে যায় সেখানেও।

এফডিসি থেকে র‌্যাব ও পুলিশ প্রহরায় মান্নার মরদেহ নিয়ে যায় তার জন্মস্থান টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায়।

পৈতৃক বাড়ির সামনে অবস্থিত মসজিদের কাছে বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয় প্রিয় অভিনেতাকে।

দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজান প্রভৃতি চলচ্চিত্রে চমৎকার অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন মান্না। মান্না শুধু চলচ্চিত্র অভিনেতাই ছিলেন না, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে যতগুলো চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন, প্রতিটি ছবি ব্যবসাসফল হয়। যার মধ্যে লুটতরাজ, লাল বাদশা, আব্বাজান, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধু এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই ও পিতা মাতার আমানত। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্ম নেন এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পরই ১৯৮৪ সালে তিনি ‘নতুন মুখের সন্ধানে’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। এরপর থেকে একের পর এক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি দুশ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.