আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিকেট রঙ্গ

এই ব্লগের যাবতীয় কর্মকান্ড জুনায়েদ খানের অনুর্বর মস্তিষ্কের অহেতুক পাগলামি ! বৈ কিছু নয়।

যত দোষ ঐ বাবুর্চি ঘোষ! তার রান্নায় কি এমন যাদু ছিল যে স্বনামধন্য অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান মাঠ ছেড়ে টয়লেটে যাবার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন। মুখে তো আর বলতে পারেন না! মান সম্মানের ব্যাপার! হাবভাবে বোঝানোর অনেক করলেন। বল আকাশে তুলে দিলেন, তাতেও বেবুঝ লংকানরা বুঝল না। রাগে দুঃখে অপমানে এবার চোখ বন্ধ করে খেলা শুরু করলেন।

ভাগ্যও বিপরীত ব্যবহার শুরু করল। এক ওভারে ১৬! না, এভাবে হয় না। চোখ বন্ধ করে আর যাই হোক আউট হওয়া যায় না! এবার চোখ খুলে লংকানদের অবস্থান ভালো করে পরখ করলেন সাকিব। সেনানায়েকে ছেলেটার মাঝে একটা সেনা সেনা ভাব আছে। চোখ খুলে বিশ্বাস করা করা যায়! বল আবার আকশে তুলে দিলেন।

বিশ্বস্থ সেনানায়ক সত্যিসত্যিই সাকিবকে মুক্ত করলেন! আহ শান্তি!!

নাসির ছেলে ছোট হলেও ওর মাঝে একটা সিরিয়াসনেস আছে। চাপ সহ্য করতে তার জুড়ি নেই। কিন্তু নিম্নচাপ যে কোন ক্রিকেটীয় চাপ না এটা তার জানা ছিল না! হঠাত পেটের মধ্যে কে যেন গর্জন করে উঠল! সাথে সাথে সাড়া দিলেন চাপম্যান নাসির! অগ্রজ সাকিবের মেথড অ্যাপ্লাই করলেন চোখ বুজে। ফলাফলও পেলেন সাথে সাথেই! আহ!! নিমিষেই চাপমুক্ত!!

রিয়াদ মমিনসিঙ্গের পোলা! ঠান্ডা মাথার মানুষ। সাকিব, নাসিরের মত এত লাফাঙ্গা না।

এত কষ্ট করে আউট হওয়া তার পছন্দ নয়। সবার আগে শান্তি! দেখে শুনে ক্রিজ থেকে বেড়িয়ে এলেন। পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি!

অধিনায়ক মুশি ছিলেন মহাবিপদে। পেট ফাটলেও মুখ ফাটেনি! অধিনায়ক বলে কথা! রিয়াদের সুন্দরী শ্যালিকার মুখের দিকে তাকিয়ে সব সয়ে গেলেন নিরবে। তবুও শেষ রক্ষা হল না! বেচারা...

কষ্ট লাগে।

এভাবে প্রতিদিন হারতে সত্যি অনেক লজ্জ্বা লাগে! Shame on TIGERS!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.