আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি গাছে কাঠাল গোফে তেল মার্কা পোষ্ট

ঘুম থেকে জেগে দেখি মৃত্যু শিয়রে গুনছে প্রহর......


দেড় বছর আগে সামুতে প্রোগ্রামিং শিখামু বইলা একটা পোষ্ট দিছিলাম। টার্গেট ছিল নিজের জ্ঞানটারে ঝালাই করা (আর জাহির করা )। তো ব্লগার ভাইয়েরা ব্যাপক উৎসাহ দেখাইল। ব্লগার হ্যাডস্যার সহ মোট ৬ জনের মতো রাজি হইছিল। আনন্দের চোটে আমি একটা কোচিং সেন্টার ভাড়াও কইরা ফালাইছিলাম।

যাই হোক, শুরুর দিন ছাত্র আসল ২ জন। দ্বিতীয় দিন থেইকা একজন নাই। অবস্থাডা এমুন যে আমরা শিক্ষক ২ জন আর ছাত্র ১ জন।

তো, সাত সমুদ্রের ঐ পাড়ে থেইকা একজন মেইল পাঠাইল ডটনেট শিখতে চায়। অনলাইনেও ক্লাশ নেয়া শুরু কইরা দিলাম।

ক্লাশ নিতে নিতে জিজ্ঞাইলাম, "প্রোগ্রামিং শিক্ষা কি করবেন?" উনার উত্তর শুইন্না খুব মজা পাইছিলাম। পোলাপাইন প্রোগ্রামিং শিখে প্রোগ্রামিং এ ক্যারিয়ার তৈরীর জন্য। আর উনার নিজের ব্যবসা আছে। নিজেই নিজের জন্য সফ্‌টও্য়্যার বানাইবেন। তো, ওনার সফ্‌টওয়্যারের রিকোয়ারমেন্ট নিয়া কমবেশী প্রত্যেক ক্লাশে আলাপ-আলোচনা করি।

এরুম করতে করতে কবে জানি পড়ানো বাদ দিয়া নিজেই ডেভেলপমেন্টে ঝাপাইয়া পড়লাম। উনি ফ্রন্ট এন্ড বানায় আর আমি ব্যাকএন্ডে কোড লিখ্খা দেই। এমুন কইরা ৬ মাসের মাথায় সফট্‌ওয়্যারটা দাড়ায়ে গেল। আনন্দের চোটে উনি সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ কইরা দেশে চইল্লা গেলেন মা-বাবার দোয়া আনতে। আর আমি এদিকে গালে হাত দিয়া ভাবি, "এইটা কি অইল?"

তো, যে একজন ছাত্র কোচিং এ পড়তে আসত - তিনারও দেখলাম উৎসাহে ভাটা পড়ছে।

একদিন আমারে ফোন দিয়া আরেকজনের সাথে পরিচয় করায়া দিল। তিনি হইলেন ফারুকি ভাই। একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির আইটি তে কাজ করেন। ১০ বছর ধইরা এক্‌সেস ডাটাবেজ দিয়া সফট্‌ওয়্যার বানায়। একলা একলা মাইক্রোক্রেডিটের একটা সফট্‌ওয়্যার বানাইছে।

আমি দেইখা-শুইন্না পুরাই হতভম্ব অবস্থা। আমি উনারে শিখামু কি - আমিই উনার কাছ থেইকা শিখা শুরু করলাম। বিভিন্ন সফট্‌ওয়্যার বেজনেসের আইডিয়া দিয়া মাথা ভর্তি। কিন্তু কাম করার মানুষ নাই। আমি জানি কথা সত্যি।

একটা আইডিয়া ডেভেলপ করার মতো ধৈর্যওয়ালা বাঙালী খুব কম আছে। তো দুইজনে মিল্লা একটা কামে নামছি। কামডা কি? - ওহন কমু না। কাম শেষে ডেগ ভর্তি মিষ্টির ছবি আপলোডামু নে।

তো, বহু দিন পরে সেই বিদেশী ভাই স্কাইপেতে আবার দেখা দিলেন।

অতদিনে ছেকাডা সামলাইয়া উঠছি। সালাম আদান-প্রদান করি। শরীর-স্বাস্থের খোজ খবর নেই। সফট্‌ওয়্যার নিয়া কথা কইনা। যাই হোক, গতদিন আমার জন্মদিন আছিল।

ভাই-ব্রাদার, বউ, বন্ধু-বান্ধব সব অনলাইনে হ্যাপি বার্থডে জানাইল। আর ঐ বিদেশী ভাই ইবে থেইকা একটা টেবলেটের ছবি পাঠাইয়া জিগাইল পছন্দ হইছে কিনা। আমার বার্থডে গিফট্‌। আমি এমুন সারপ্রাইজড্‌ হইছি - আমার মনে হইতাছে আমার চাইতে সুখী মানুষ দুনিয়াতে এই মুহুর্তে নাই। ফুরফুরে মনডা নিয়া খালি রাস্তায় হাটতেছি।

যারেই দেখি একটা হাসি হাসি লুক দেই। রাস্তায় কোন কোন আপা মনে মনে "কি অসভ্য ছেলেরে বাবা!" বইল্লা গাইল পারছে। আমি মুখ দেইখা বইল্লা দিতে পারি। কিন্তু আমারে অহন পায় কেডা। আগামী সপ্তাহেই আশা করতেছি টেবলেট টা হাতে পামু।

ইয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়.............. ('হু' - টা এত পরে বলছি যে সামুর এডিটরে জায়গা হয়নাই। )












 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.