আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তৃতীয় বিশ্বের নেতৃত্ব বনাম বৈচা চিংড়ি



যে কোন প্রজ্ঞাসম্পন্ন দক্ষ গাড়ি চালক জানে যে, রাস্তা পারাপাররত যে কোন পশু (গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি) হঠাৎ হর্ন শুনে হতচকিত হয়ে সে সম্মুখে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু মানুষ সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, মানুষ ঘাবড়ে গিয়ে হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তন করার সময় পিছনের দিকে ঝাঁপ দেয়। বিষয়টা প্রাণী জগতের সহজাত প্রবৃত্তি। তবে মাছের মধ্যে চিংড়ি মাছ, হঠাৎ হুমকিতে ঠিক মানুষের মতোই পিছনে ঝাঁপ দেয়। এই পিছনে ঝাঁপ দেয়ার যে মিল তা হচ্ছে সাধারণ চিংড়ি মাছের সাথে সাধারণ গণমানুষের।

তবে বিশেষ এক ধরনের মিল আছে বৈচা চিংড়ির সাথে তৃতীয় বিশ্বের তৃতীয় শ্রেণীর নেতাদের সাথে। নেতাদের মাথা মগজের ঘাটতির কারণেই দেশ অনুন্নত এবং চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। আর ওই বৈচা চিংড়ির মাথায় থাকে কালো রঙের বিশেষ এক জিনিস; যা মানুষ রান্না করার সময় ফেলে দেয়। সাধারণ গৃহিণীদের ধারণা বৈচা চিংড়ির মল থাকে মাথায় তাই সে বড় হয় না (প্রথম বিশ্ব হতে পারেনা)। মাথায় মগজের স্থানে মল থাকলে কি করে সে বড় হবে? তৃতীয় বিশ্বের জনসাধারণ এর থেকে ব্যাপক শিক্ষা নিতে পারে তাদের দৈন্যদশার কারণ উদঘাটনে।


জার্মানির এক বিখ্যাত পররাষ্ট্রনীতিবিদ বিশ্বমার্ক বলেছিল- "Fools learn from their own mistake, I learn from others."

যার বাংলা হচ্ছে, “বোকারা নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, আর আমি শিক্ষা নেই অন্যের ভুল থেকে। ” এই ঐতিহাসিক শিক্ষাটি তৃতীয় বিশ্বের নেতা-নেত্রীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ তারা নিজ ভুল থেকেও শিক্ষা নিতে ব্যর্থ। তাও আবার একবার কিংবা দুইবার নয়, বারবার একই ভুলে আক্রান্ত হতে দেখা যায় এদেরকে। যে সকল মেধাহীন ঘৃণিত দুর্নীতিবাজদের কারণে গণরোষে পতিত হয়ে ৫ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হয়, ক্ষমতার বাইরে ৫ বছর থেকে আবার সরকার গঠনের সময় ওই একই উপদেষ্টাদের কিংবা তার চেয়ে আরো বেশি নীতিহীন চাটুকারদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করা যায় যে, দল ক্ষমতায় যায়ই ৫ বছর পর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য।
বোকাদের চেয়ে নিম্ন মানের বুদ্ধি সম্পন্নদের বাংলা ভাষায় বলা হয় গন্ডমূর্খ এবং এর চেয়ে নিম্ন মানের বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের জন্য বাংলা ভাষায় কোন নির্বাচিত শব্দ (সংজ্ঞা) নেই। তবে আরবী ভাষায় ঐ সর্ব নিম্ন পর্যায়ের বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের জন্য সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে। আরবী ভাষায় মানবীয় অযোগ্যতা প্রকাশের ক্ষেত্রে একটা বাণী প্রচলন আছে। যে নিজের হক্ব আদায় করতে পারেনা আরবী ভাষায় তাকে বলে ‘যালিম’।

আর যে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে ইন্তেকালের পূর্বে চিনতে পারলো না, সে হচ্ছে ‘জাহিল’। আর যে উভয় দোষে দোষী, সে হচ্ছে ‘জালুমান জাহুলা’। যার অর্থ ‘আত্মধ্বংসকারী গন্ডমূর্খ’। বর্তমান যামানার মুসলমানদের চিন্তা করা উচিত যে, বৈচা চিংড়ির চেয়ে অধম ‘জালুমান জাহুলা’ ধরনের নেতৃত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে কিভাবে আমাদের নেতৃত্বকে হিদায়েতের আলোকে আলোকিত করে নিজেদেরকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন।

(আমীন)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।