আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিকেট উৎসবে ভাসছে দেশ

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর্দা নেমেছে। কিন্তু তাতে কি? এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহজুড়ে ক্রিকেট উৎসবে ভাসবে বাংলাদেশ। ক্রিকেটকে ঘিরে দেশের ক্রীড়ামোদীদের এমন ব্যস্ততা আর কখনো দেখা যায়নি। বাংলাদেশে ক্রিকেটের প্রথম আন্তর্জাতিক আসরের বড় আয়োজন ছিল ১৯৮৮ সালে। সেবার বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে নিয়ে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এরপর বড় আসরটি ছিল ১৯৯৪ সালে সার্ক ক্রিকেট। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য তিনটি দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা অংশ না নিলেও আসরটি দারুণ জমেছিল। বিশেষ করে ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হওয়াতে সার্ক ক্রিকেটের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়নের পরতো ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ পরিচিত হয়ে উঠে। আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়নের মাধ্যমে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক ঘটে ১৯৯৯ সালে।

কিন্তু তার আগেই ১৯৯৮ সালে নকআউট পর্বের মিনি বিশ্বকাপের আসর বসে। যদিও আয়োজক হয়ে বাংলাদেশ আসরে অংশ নিতে পারেনি। এরপরও টুর্নামেন্টে উত্তেজনার কমতি ছিল না। একই বছর ডিসেম্বরে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ত্রিদেশী ইনডিপেনডেন্ট কাপ।

২০০০ সালে ঢাকায় আরও একবার এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়।

একই বছরে জুনে টেস্ট মর্যাদা লাভের পর শুধু ঢাকা নয় চট্টগ্রাম, ফতুল্লা, বগুড়া এমনকি খুলনাও ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর স্বীকৃতি লাভ করে। ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে বাংলাদেশের। এরপর থেকেই টেস্ট বা ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনটা বাংলাদেশের কাছে মামুলি হয়ে যায়। যদিও পাকিস্তান আমলে ৫০ দশকেই তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ বলেই টেস্টকে ঘিরে বরাবরই উৎসবের উপলক্ষ খুঁজে পাওয়া যায়।

২০০৪ সালে বাংলাদেশ অনূধর্্ব-১৯ অর্থাৎ বিশ্বকাপ যুব ক্রিকেটেরও আয়োজন করেছিল। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে যায় ২০১১ সালে। বাংলাদেশ কখনো ক্রিকেটে মূল বিশ্বকাপের আয়োজন করবে তা এক সময়ে স্বপ্নেও ভাবা যায়নি। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয় ২০১১ সালেই। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

প্রথম আয়োজনেই পুরো বিশ্বকে মাত করে দেয় বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সাল থেকেই বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজন হচ্ছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দশম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দেখে সারা বিশ্বের প্রশংসা কুড়ায়। কেননা অতীতে এমন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান কোনো দেশ আর করতে পারেনি। কাল থেকে বাংলাদেশে চতুর্থ বারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজন হচ্ছে।

এশিয়া হলেও একে মিনি বিশ্বকাপ বললেও ভুল হবে না। কেননা তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এ আসরে অংশ নিয়ে থাকে। এশিয়া কাপের পর্দা নামলেই পর্দা উঠবে পুরুষ ও মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষ হলেও দম ফেলার সুযোগ পাবেন না ক্রীড়ামোদীরা। পৃথিবীতে এ ধরনের ক্রিকেটের উৎসব আর কোথাও দেখা যায়নি।

যদিও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরমেন্স দেখে দর্শকরা মর্মাহত। কিন্তু আশা জেগে থাকবে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপকে ঘিরে। ভাষা ও স্বাধীনতার মাস জুড়ে ক্রিকেট উৎসবে ভাসবে দেশবাসী।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.