আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাইনালের কথা ভোলেননি মিসবাহ

এশিয়া কাপের আসর ঢাকায়। পাকিস্তানের জন্য এর চেয়ে সুখের আর কি হতে পারে! এশিয়া কাপে তিন দশকের ইতিহাসে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। দুবারই ঢাকার মাঠে! ২০০০ সালে মঈন খানের নেতৃত্বে ঢাকা মাঠেই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ২০১২ সালে মিসবাহর নেতৃত্বে এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপাটাও তারা জয় করে ঢাকাতেই! আগামীকাল থেকে এশিয়া কাপের ১২তম আসর বসছে পাকিস্তানের প্রিয় ভেন্যু ঢাকায়। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পাকিস্তান টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট হিসেবেই অংশ নিবে।

তবে অধিনায়ক মিসবাহ বলছেন অন্য কথা। এই টুর্নামেন্টটা যে কেউই জিততে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে গত ফাইনালে হেরে যাওয়া বাংলাদেশকে মনে করছেন শক্ত প্রতিপক্ষ। গতকাল সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে মিসবাহ এসব মন্তব্য করেন।

গত এশিয়া কাপের ফাইনালটা ভক্তদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়।

পাকিস্তানের কাছে ২ রানের পরাজয় কাঁদিয়েছিল সমগ্র দেশকে। তবে মুশফিকদের সেই কান্নায় যোগ দিয়েছিল কোটি জনতা। এর মধ্যে বেদনা যেমন ছিল, তেমনি ছিল আনন্দও। প্রথমবারের মতো কোনো বড় আসরে ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। অপূর্ণ সেই কর্মটা কি এবারে সাধন করতে পারবে বাংলাদেশ! পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ জানালেন বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাই।

'বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদেরকে উজাড় করে খেলতে না পারলে জয় পাওয়া কঠিন হবে। তারা সত্যিই কঠিন প্রতিপক্ষ। গত এশিয়া কাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো দলকে তারা হারিয়েছিল। ফাইনালে হেরেছে শেষ মুহূর্তে। এবারের আসরে তারা আরও কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবেই সামনে আসবে।

' বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেছে ৩-০ ব্যবধানে। তারপরও গত এশিয়া কাপের স্মৃতিটাই টাইগারদের সঙ্গী। বিষয়টা দিব্যি স্বীকার করে নিলেন গতবারের বিজয়ী অধিনায়ক মিসবাহও।

কেবল বাংলাদেশই নয়, এবারের এশিয়া কাপে পাঁচটা দলকেই ফেবারিট মানছেন মিসবাহ। সাম্প্রতিক সময়ে বাজে পারফরম্যান্স দেখালেও ভারত যে কোনো সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।

অন্যদিকে গত প্রায় এক মাস ধরে বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলে নিজেদেরকে প্রস্তুত করেছে শ্রীলঙ্কা। এই কন্ডিশনে তিনটা সিরিজ জিতে এশিয়া কাপে সম্ভবত লঙ্কানরাই সবচেয়ে ফেবারিট। মিসবাহ এমনকি প্রতিবেশি দেশ আফগানিস্তানকেও অবহেলা করতে রাজি নন। 'নতুন হলেও আফগানিস্তান ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য তাদের আছে।

তাদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার রয়েছে। এই ক্রিকেটাররা যে কোনো দলকেই বিপদে ফেলার সামর্থ্য রাখে। '

মিসবাহ অবশ্য এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার দৃঢ়তাও জানিয়েছেন। হাফিজ ও শেহজাদদের মতো তারকারা নিয়মিত পারফর্ম করছেন দলে। অভিজ্ঞদের পাশাপাশি দলে রয়েছে আনওয়ার আলী ও বিলাওয়াল ভাট্টির মতো তরুণরাও।

তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জিতে পাকিস্তান এখন আত্দবিশ্বাসী এক দলে পরিণত হয়েছে। ২০০০ সালের এশিয়া কাপ জয়ী অধিনায়ক মঈন খান এখন গুরুর ভূমিকায়। গত এশিয়া কাপের দলপতি মিসবাহ এবারেও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। একটা ঐক্যবদ্ধ দল হিসেবে পাকিস্তান এবারের এশিয়া কাপেও অন্যতম ফেবারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নামবে।

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.