আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শরীয়তপুরে বন্ধ হয়ে গেছে ৭৮৭ পোলট্রি খামার

উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কম। লোকসানের মুখে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শরীয়তপুরের শত শত পোলট্রি খামার। খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতি থাকলে পোলট্রি শিল্পটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। শরীয়তপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরে ৬১২টি পোলট্রি খামার নিবন্ধন নিয়েছে।

এর মধ্যে ৩৩৭টি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। নিবন্ধন ছাড়া এ জেলায় আরও ৬০০ খামার রয়েছে। তার মধ্যে ৪৫০টি পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। মুরগির খাবার, বাচ্চা, ওষুধ ও শ্রমিক মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ে গত ৬ মাসে এ খামারগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

পোলট্রি খামার মালিকরা জানান, বর্তমান বাজারে ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম স্থানভেদে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা।

একটি ডিমের দাম ৭ টাকা। ১ কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ পড়ে ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকা। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে মুরগি ও ডিম বিক্রি করায় গত ৬ মাসে শরীয়তপুরে ৭৮৭টি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থলগি্নকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে খামারগুলো চালাতেন ব্যবসায়ীরা।

খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। শরীয়তপুর সদর উপজেলার স্বর্ণঘোষ গ্রামের পোলট্রি খামারি রুহুল আমিন বলেন, আমার ১১টি ব্রয়লার খামার ছিল। লোকসানের কারণে ইতোমধ্যে ছয়টি খামার বন্ধ করে দিয়েছি। পরিস্থিত এমন থাকলে বাকি খামারগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যাংক থেকে অনেক টাকা ঋণ নিয়েছি।

এখন কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব সে চিন্তায় থাকতে হয়। নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর গ্রামের পোলট্রি খামারি দিদারুল আলম বলেন, লেয়ার ও ব্রয়লার খামার তিন বছর চালিয়েছি। ৫ লাখ টাকা লোকসান দিয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছি। এখন ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তসার গ্রামের আবুল হাসেম বলেন, মুরগির খাবার ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেশি।

নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে না পারায় পোলট্রির খামার চালাতে শ্রমিক পাওয়া যায় না। লোকসান দিয়ে খামার কীভাবে চালাব। বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। পোলট্রি খামার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল আলিম বেপারি বলেন, শরীয়তপুরে পোলট্রি খামার মালিকরা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। দিনের পর দিন লোকসান দিয়ে তারা খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।

কয়েক মাসের মধ্যে বাকি খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে খামার চালানো যাচ্ছে না। লোকসানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছেন।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.