আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩৪তম বিসিএসেও দিনে দুটি করে পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার কমিশনের ওয়েবসাইটে এই সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের আপত্তির মধ্যেই এর আগে ৩৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় প্রতিদিন দুটি করে বিষয় রাখা হয়েছিল।

আগামী ২৪ থেকে ৩১ মার্চ সকাল ও বিকালে ৩৪তম বিসিএসের দুটি করে পরীক্ষা হবে। সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিকালের পরীক্ষা হবে।

ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর কেন্দ্রে একযোগে এই লিখিত পরীক্ষা হবে।

প্রথম দিন সকালে ইংরেজি প্রথম পত্র ও বিকালে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হবে। ২৫ মার্চ সকালে হবে গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং বিকালে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী।

২৭ মার্চ সকালে বাংলাদেশ বিষয়াবলী প্রথম পত্র ও বিকালে বাংলাদেশ বিষয়াবলী দ্বিতীয় পত্র, ৩০ মার্চ সকালে বাংলা প্রথম পত্র এবং বিকালে সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষার সূচি রয়েছে।

সূচি অনুযায়ী, ৩১ মার্চ সকালে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হওয়ার কথা।

‘বাদপড়া’ ২৮০ জন ‘উপজাতি’ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে পিএসসি।

গত বছরের ৮ জুলাই কোটার ভিত্তিতে ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল দেয়া হয়, এতে ১২ হাজার ৩৩ জন উত্তীর্ণ হন।

এই ফলে মেধাবী অনেকেই বাদ পড়েছেন অভিযোগ তুলে ১০ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীদের একটি অংশ। কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ওই আন্দোলনে যোগ দেন।

বিক্ষোভের মুখে গত ১৪ জুলাই ৩৪তম বিসিএসের পুনর্মূল্যায়িত ফল দেয়া হয়, যাতে উত্তীর্ণ হন রেকর্ড ৪৬ হাজার ২৫০ জন।

আগের উত্তীর্ণ সবাইকে রেখেই পুনর্মূল্যায়িত ফল দেয়া হয়েছে বলে পিএসসি দাবি করলেও প্রথমবার উত্তীর্ণদের মধ্যে ২৮১ জন ‘উপজাতি’ পরীক্ষার্থী বাদ পড়েন।

এ নিয়ে ‘বঞ্চিতরা’ পিএসসি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত আবেদন করার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন।

এরপরেও তাদের উত্তীর্ণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আগের ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ জন আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গত বছরের ২৮ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন।

প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ২৮১ জনকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়।

এই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই এক আদেশে প্রথম ফলে উত্তীর্ণ ৫৯ রিটকারীসহ ২৮১ জনকে বাদ দিয়ে প্রকাশিত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান।

এছাড়া পুনর্মূল্যায়িত ফলে ‘উপজাতি’ কোটার আবেদনকারীদের বাদ দেয়ার কারণও জানতে চায় হাইকোর্ট।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদ পড়া ‘উপজাতিদের’ যোগ করে চৌত্রিশতম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়িত ফল আবারো প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.