আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জঙ্গিরা আ'লীগ-বিএনপি কারোর বন্ধু নয়

জেএমবির তিন জঙ্গি নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে নানামুখী আলোচনা এখনো চলছে। একই বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ এখন দুটি। (এক) কী করে পুলিশ ভ্যান থেকে তারা পালাতে পারল, (দুই) পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে পলাতক তিন জঙ্গির একজনকে ধরে ফেলা এবং পরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তার নিহত হওয়ার ঘটনা। বাংলাদেশে জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে মতদ্বৈধতা আছে। আছে দোষারোপের রাজনীতি।

আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা প্রমাণ করে, তারা মনে করে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদীদের ঘাঁটি এলাকায় পরিণত হয়েছে; এটা প্রায় একটা জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রের রূপ পরিগ্রহ করছে। অথচ অবাক কাণ্ড হচ্ছে, জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইরত বিশ্ব এখনো বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত বা শনাক্ত করেনি। বরং যে জামায়াতে ইসলামীকে কেন্দ্র করে এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ও বিকাশ বলে মনে করা হয়, সেই জামায়াত সম্পর্কেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের অনেক মিত্র দেশ ভিন্নমত পোষণ করে। তারা জামায়াতকে একটি মডারেট ইসলামী গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা কেন নিজের দেশকে জঙ্গি দেশ বানাতে চাই বুঝি না।

কিছু জঙ্গির তৎপরতা আর জঙ্গিবাদ-জঙ্গিরাষ্ট্র সমার্থক নয়। বিএনপির কাছে জঙ্গিবাদীদের তৎপরতার বিষয়টি আওয়ামী লীগের মতো বিপজ্জনক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত নয় বলেই মনে হয়। জঙ্গিরাই কিন্তু বাংলাদেশে তাদের অস্তিত্বের সদম্ভ ঘোষণা দিয়েছে একদিনে ৬৩ জেলায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে। সেই ঘটনায় নড়েচড়ে ওঠে বিএনপি। দলটি তখন ক্ষমতায়।

যে সরকারের কোনো কোনো মন্ত্রী-নেতা বলেছিলেন, 'বাংলাভাই' মিডিয়ার সৃষ্টি, সেই বিএনপি সরকারই কিন্তু কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে; শায়খ আবদুর রহমান, বাংলাভাইসহ শীর্ষ জঙ্গিদের বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা করেছিল। জঙ্গিদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের আমলেই। তারপর জঙ্গিরা কিছু দিন নিষ্ক্রিয়ই ছিল বলা চলে। আওয়ামী লীগ ইস্যুটি সর্বদাই তরতাজা রাখতে চেয়েছে। বিতর্কিত দশম সংসদ নির্বাচনের পর একে তারা আরও শক্তভাবে ধরেছে এবং প্রচার করছে, বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতাতেই জঙ্গিরা বাংলাদেশে তৎপরতা চালাচ্ছে।

সম্প্রতি আল-কায়েদা নেতা আয়মান-আল-জাওয়াহিরির বলে কথিত একটি ভিডিও বার্তা এবং সর্বশেষ পুলিশ ভ্যান থেকে তিন জেএমবি নেতা ছিনতাইয়ের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা আছে বলে দাবি করছে তারা। বাংলাদেশে কিছু ধর্মান্ধ সংগঠন জঙ্গি তৎপরতা মাঝে মাঝে চালাচ্ছে এবং তা চালাচ্ছে সফলতার সঙ্গে। রমনা বটমূলে, পল্টনে সিপিবির জনসভায়, যশোরে উদীচীর সম্মেলনে, ময়মনসিংহে সিনেমা হলে, কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সভাস্থলের কাছে এবং সর্বশেষ একদিনে একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা জঙ্গি তৎপরতারই অংশ। শায়খ আবদুর রহমান-বাংলাভাই প্রমুখের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলেও এই গোষ্ঠীর সামগ্রিক তৎপরতার বিরুদ্ধে বিএনপির সুস্পষ্ট কোনো ভূমিকা নেই এটা সত্য। মনে হয় এটা তাদের একটি ভোট-রাজনীতির খেলা।

এর পেছনে আদর্শিক কোনো ভিত্তি আছে বলে মনে হয় না। বরং একে মনে হয় ইসলামপন্থি দলসমূহ ও মুসলিম ভোটারদের সমর্থন-সুবিধা ভোগের একটি কৌশল। তারা জঙ্গিবাদীদের তৎপরতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মতো সোচ্চার নয়, তবে জঙ্গিদের পক্ষেও কখনো প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেনি। দশম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ এই ইস্যুতে অধিকতর সোচ্চার হওয়ার পেছনে আদর্শিক কারণের চেয়েও রাজনৈতিক সুবিধা লাভের কারণটাই বড় বলে মনে হয়। অনেক পর্যবেক্ষকই বলছেন, তাদের এই অবস্থানের তাৎপর্য ভিন্নমাত্রার।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি দেশের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে যেমন ঠিক, তেমনই বিদেশিদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হয়নি। নির্বাচনের আগে থেকেই গণতান্ত্রিক দুনিয়া, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর জোর দিয়ে আসছিল। প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে আলোচনা ও সমঝোতার টেবিলে বসানোর উদ্যোগও নিয়েছিলেন বিদেশি বন্ধুরা। আমরা অপমানিত বোধ করলেও এ ব্যাপারে বাংলদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধিদের প্রকাশ্য তৎপরতা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে লীগ সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে সে তৎপরতা সফল হয়নি।

সরকারের একগুঁয়েমিতে একমাত্র প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র ছাড়া প্রায় গোটা বিশ্বই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। যার প্রকাশ ঘটেছে নজিরবিহীন সেই নির্বাচনের পর। নিয়ম রক্ষার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানালেও সবাই দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে যদিও বলেছিলেন, 'দশম সংসদ নির্বাচনটি হচ্ছে সাংবিধানিক শাসনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। দ্রুত মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এই নির্বাচনের পর।

' কিন্তু তিনি তার কথা ফিরিয়ে নিয়েছেন। এখন বলছেন জনগণ নাকি তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে পাঁচ বছরের জন্য, কাজেই তারা পাঁচ বছরই ক্ষমতায় থাকবেন। তার সভাসদরাও একই কথা বলছেন।

কিন্তু মুখে যত কথাই বলুন না কেন, নির্বাচনটা কেমন হয়েছে তারাও জানেন। ১৫৪ জন যে কোনো নির্বাচন ছাড়া বিনা ভোটে এমপি হয়ে গেছেন এবং সরকার গঠনের জন্য এই ১৫৪ জনই যথেষ্ট, দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে এই সত্য তারা লুকাবেন কী করে? বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ এবং উন্নয়ন-সহযোগীদের সমর্থন-সহযোগিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন ও উৎপাদনের চাকা সচল রাখা খুব একটা সহজসাধ্য কাজ হবে না_ এটা তারা বোঝেন।

তাই আগাম বা মধ্যবর্তী কোনো নির্বাচনের পথে না হেঁটে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জন্য বিদেশি সমর্থন লাভের প্রত্যাশায় তারা জঙ্গি ইস্যু কাজে লাগাতে চাচ্ছেন বলে মনে হয়। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকাকে তারা এ কথা বোধ হয় বোঝাতে চাইছেন, বাংলাদেশে জঙ্গি-বিপদ আতঙ্কজনক। এ বিপদ শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিপদও। লীগ সরকার ও শাসক লীগই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ও সোচ্চার। তাই জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়েরত বিশ্বের উচিত হবে এই সরকারের পাশে দাঁড়ানো।

এই সরকার সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে সহযোগিতার হাত বাড়ানো। জাওয়াহিরির রহস্যজনক ভিডিও বার্তাটিকে তারা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। খালেদা জিয়ার শাসনামলে জাওয়াহিরি তিনবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ভিজিএফআই অফিসে মিটিং করেছেন বলে প্রচার করছেন। জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এমন অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

আল-কায়েদার সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতার কথা বলে বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল বিদেশি বন্ধুদের বিএনপি থেকে দূরে সরানোর এটা তাদের একটা কৌশলও হতে পারে। এর মধ্যেই ঘটল পুলিশ ভ্যান থেকে জঙ্গি পালানোর ঘটনা। এটা কেমন করে সম্ভব হলো? বিরোধী দলের নেতাদের কারাগার থেকে আনা-নেওয়ার সময় বন্দী বহনকারী পুলিশ ভ্যানের ভেতরে এবং সামনে-পেছনে বিপুল সশস্ত্র পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ তাদের বিনা পাহারায় আনা-নেওয়া করলেও তারা পালাবেন না। কিন্তু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন জঙ্গি কয়েদিকে মাত্র চারজন 'মাজুল' পুলিশের পাহারায় কী করে পাঠানো হলো? এর পেছনে কোনো পূর্বপরিকল্পনা কী এমন ছিল, আসামিরা একটা সুযোগ পাক।

আসামিরা বিপুল অর্থব্যয় করেও এমন ব্যবস্থা করে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। দ্বিতীয়ত, একজনকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রেফতার করার ক্ষিপ্রতা ও দক্ষতা দেখাতে পারলেও বাকি দুজন ধরা পড়ছে না কেন? একজন পলাতক আসামি রাজিবকে ধরে বন্দুকযুদ্ধের মুখে ফেলা হলো বা নিয়ে যাওয়া হলো কেন? এই ভয়ঙ্কর তৎপরতার পেছনের কুশীলবদের আড়াল করার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের জবাবে সরকার কী বলবে? তিন জঙ্গি নেতা এমন সময় তাদের 'অপারেশন' কার্যকর করল, যার মাত্র দুই-তিন দিন আগে জাওয়াহিরির কথিত ভিডিও বার্তাটি নিয়ে দেশে বেশ তোলপাড় হয়ে গেল। মনে হবে একটির সঙ্গে আরেকটির যোগসূত্র আছে। সাধারণ মানুষের কাছে বার্তাটি এভাবে পেঁৗছানোর চেষ্টা হতে পারে।

কিন্তু এটা করা উচিত হবে না।

রাজনীতির খেলা যা-ই হোক, এটা সত্য ও বাস্তব যে, বাংলাদেশে চরম দক্ষিণপন্থি প্রতিক্রিয়াশীল উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান-প্রবণতা বিপজ্জনক পর্যায়ে আছে। আর এই শক্তির গর্ভেই একসময় জন্ম নেয় জঙ্গিবাদী দর্শন ও জঙ্গি সংগঠন। পুলিশি শক্তি দিয়ে এই শক্তিকে নিমর্ূল করা যায় না। এ জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সবার মধ্যে রাজনৈতিক ঐকমত্য।

মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ নিমর্ূল করার বিষয়টি যদি সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হয়, তাহলে এ ব্যাপারে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার দায়িত্বও নিতে হবে সরকারকে। আর এ ধরনের বিপদ মোকাবিলার জন্য সমগ্র জনগণের সংশ্লিষ্টতা জরুরি। জনগণকে পক্ষে টানার কাজটি করতে পারে একটি জননন্দিত ও জনসমর্থিত সরকার। দলীয়, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ক্ষমতা ভোগের চেয়ে যদি জাতীয় বিপদ মোকাবিলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে দেশে অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। কারণ ওই রকম একটা নির্বাচিত, জনসমর্থিত এবং রাজনৈতিক ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী সরকারই পারে জঙ্গি সংগঠন ও জঙ্গিবাদসহ সব ধরনের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় বিপদ মোকাবিলা করতে।

সেই উদ্যোগ যাতে গ্রহণ করতে না হয় সে জন্য জাতীয়-আন্তর্জাতিক মতকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে 'জঙ্গি কার্ড' নিয়ে ক্ষমতার নেশা-খেলায় মত্ত হলে এবং টালবাহানা করলে তা বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। শুধু দু-চারজন জঙ্গি নয়, জঙ্গিবাদের মোকাবিলা এবং প্রকৃত গণতন্ত্রের চর্চা_ দুটোই এখন সমান জরুরি।

প্রিজন ভ্যান থেকে তিন জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সিরিয়াসলি সবার ভাবা দরকার। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো, ওরা থেমে নেই। ওরা আবারও সংগঠিত হচ্ছে।

যে কায়দায় তারা তাদের নেতাদের ছিনিয়ে নিল তা ৫-৭ জনের কাজ নয়। ওদের শক্তিশালী একটা নেটওয়ার্ক আছে। যে স্থানে আসামি ছিনতাই হয়েছে সেখানে আরও লোক অবশ্যই ছিল সাহায্যকারী হিসেবে। ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওরা শক্তি বাড়িয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে এদের গণবিচ্ছিন্ন ও দুর্বল করতে না পারলে ওরা বিপজ্জনক শক্তিতে পরিণত হতে পারে।

তখন তাদের নিয়ন্ত্রণ করার কাজটা কঠিন হয়ে যেতে পারে। জঙ্গি ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলার বিষয়টি সম্পূর্ণই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আগেই উল্লেখ করেছি, দু-চারজন জঙ্গির চেয়ে জঙ্গিবাদী দর্শন অনেক বেশি বিপজ্জনক। এই দর্শনকে মোকাবিলা করতে হবে। এটা একা কোনো সরকারের কাজ নয়  সমগ্র জাতির, রাষ্ট্রের।

এ কাজে দল-মত-নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে বাদ দিয়ে সরকার একা এই কাজ করতে পারবে না। তাদের উচিত এ ব্যাপারে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ইনভলব করা। খোলামনে বিএনপি-আওয়ামী লীগ আলোচনা করা। জঙ্গি নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করার রাজনৈতিক অপকৌশল পরিত্যাগ করা।

জঙ্গিবাদের বিপদ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা, এর বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার দায়িত্ব নিতে হবে দুই দলকেই। তবে সর্বাগ্রে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের গন্ধ পেলেই তার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে ফায়দা লুটার রাজনীতি শাসক লীগকে বন্ধ করতে হবে। বিএনপিকেও অনুধাবন করতে হবে, জঙ্গিবাদ বিএনপির জন্যও সুখের হবে না; দেশের জন্য তো নয়-ই।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :kazi.shiraz@yahoo.com

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.