আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচন কমিশন আত্মতুষ্টিতে ছিল

উপজেলা পরিষদ ভোটে নির্বাচন কমিশন আত্মতুষ্টিতে ছিল। কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারায় এ আত্দতুষ্টি তাদের ভুগিয়েছে। অর্থাৎ এই কারণেই দ্বিতীয় দফা উপজেলা ভোটে সহিংসতা কিছুটা বেড়েছে। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। শনিবার চ্যানেল টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনে পূর্বাপর শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফারাবী হাফিজের সঞ্চালনায় টকশোতে আরও অংশ নেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে গোলাম রহমান বলেন, এই কমিশনের অধীনে কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। পরে প্রথম দফা উপজেলা ভোটের পরিবেশ তুলনামূলক ভালো ছিল। এটি কমিশনকে আত্দতুষ্টি এনে দিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা ছিল প্রচুর।

বিভিন্ন কেন্দ্রে সহিংসতা হয়েছে। অনেক কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এর পরে সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। যেকোনো সংকটে তারাই সব ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।

কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু আচরণে তাদের অনেক ব্যর্থতা চোখে পড়ে। অনেক কেন্দ্র দখল করে নেওয়া হয়েছে। তবে পুরো নির্বাচন সম্পর্কে এটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না। মিডিয়ায় যে ঘটনা এসেছে তা কিছু কেন্দ্র বা উপজেলার ক্ষেত্রে বলা যায়। এত হাজার কেন্দ্র সেখানে কয়েকটি ঘটনা তো ঘটবেই।

তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে এ ধরনের ঘটনা একটু বেশি ছিল।

উপজেলা নির্বাচন জনপ্রিয়তা মাপকাঠি নয় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সব নির্বাচনই জনপ্রিয়তার মাপকাঠি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক বিষয় জড়িত থাকে যার ওপর নির্ভর করে ভোটার ভোট দেন। ক্ষমতাসীন দলের জন্য এটা মাপকাঠি নয় এমনটি যেমন ঠিক নয় আবার সরকার গঠনের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি নির্ভর করে না। স্থানীয় নির্বাচনে জনমানুষের সম্পৃক্ততা থাকে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে জামায়াতের অনেক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর বড় কারণ ছিল বিএনপির সঙ্গে বোঝাপড়া। পুরো আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল জামায়াত। তাদের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে বোঝাপড়া হয়েছে। ফলে দেখা যাবে চেয়ারম্যানের তুলনায় ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াতের বেশি নির্বাচিত হয়েছে।

বোঝাপড়ায় বিএনপি জামায়াতকে সমান করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ নিজের অবস্থানে আছে। যাদের প্রয়োজন আছে তারা জামায়াতকে শক্তিশালী করছে। বিএনপি তাদের ওপর নির্ভর করে আন্দোলন করে। জামায়াতের রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ছে।

সবচেয়ে বড় কথা সময়মতো নির্বাচন হতে হবে। শুধু স্থানীয় নয়। জাতীয় নির্বাচনও কাঠামোর মধ্যে হবে। নির্বাচনের ফলাফল সব পক্ষকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.