ইচ্ছে করে পানকৌড়ির মতন অবেলায় অবহেলায় জীবনটাকে কাটিয়ে দিতে!!
বেশ কদিন পর বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানেরা সবাই রান পেলো। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ করলো তাদের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। ৩২৬/৩! বাংলাদেশের ওপেনিং ভালো হলে সাধারণত সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জেতে। এবার তা হয়নি, ৩২৬ করেও আমরা হেরে গেছি। সর্বোচ্চ ইনিংসের জন্য বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন।
একটা ব্যাপারে খটকা আছে। এনামুল ৯০ থেকে ১০০ করতে ১৯ বল খেললেন; তারপর কি এমন হল সে ১০০ রান পূর্ণ করেই এমন একটি শট খেলে আউট হতে হল- এটা সেই ভালো বুঝবে আমি না। তবে এটা দৃষ্টিকটু লেগেছে। দলের চেয়ে নিজের ১০০ বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। সে সময় একজন সেট ব্যাটসম্যানের ক্রিজে থাকা জরুরী ছিল।
যাইহোক আজ অবশ্য এসব মাফ দেয়া যায়!
মজার বিষয় হল আবদুর রেহমানের বোলিং ফিগার। ০-০-৮-০! স্কোর-বোর্ড বলছে কোন বল না করেই সে ৮ রান দিয়েছে আজকের ম্যাচে!! ক্রিকেটের সবগুলো সংস্করণ মিলিয়ে কোনও বল না করে রান দেওয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেছে আরও ৬ বার। আব্দুর রেহমানের আগে কোনও বল না করে সর্বোচ্চ ৫ রান দিয়েছিলেন কেনিয়ার কলিন্স ওবুইয়া। পাকিস্তানের মনসুর আখতার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জিমি অ্যাডামস এই দুজন দিয়েছিলেন ১ রান করে। টেস্টে কোনও বল না করেই ৪ রান দিয়েছেন ইংল্যান্ডের ডেভিড গাওয়ার।
শ্রীলঙ্কার ধাম্মিকা প্রসাদ দিয়েছেন ২ রান এবং ইংল্যান্ডের অ্যালান ল্যাম্ব দিয়েছেন ১ রান। সর্বোচ্চ ৮ রান দিয়ে আজ এদের সবাইকেই ছাড়িয়ে গেলেন আব্দুর রেহমান!
আজকের ম্যাচে জিয়াউর রহমান কেন বল করেননি এটা আমি বুঝি নাই। সে কি বল করতে ভুলে গেছে নাকি মুশফিকই ভুলে গেছেন জিয়াউর বোলিং করে- এই ব্যাপারটা বুঝতাসি না সে দু এক ওভার বল করতে পারতো। সে সুযোগ সম্ভাবনা ছিল।
ডেথ ওভারে আমাদের পেসাররা বোলিং এ দুর্বল।
এটা আজ না বেশ দীর্ঘ সময় ধরেই। এই বিষয়ে বোলিং কোচ কি কিছু করেন? ভাব সাব দেখে মনে হয়না। আমাদের পেসাররা কি জানে ইয়র্কর বলে কিছু একটা আছে। সেই চেষ্টা নিতে দেখলাম না কোন পেসারকে, আফসোস।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং এর বিপরীতে পাকিস্তান দলও ভালো ব্যাটিং করেছে।
তাদের দলের আহমেদ শেহজাদ, ফাহাদ আলম, এবং সর্বনাশের চূড়ান্ত যে করেছে সে আফ্রিদি অতি মানবীয় ব্যাটিং করেছে আজকে। নাহলে এই ম্যাচ বাংলাদেশের হাত থেকে ফসকে যাবার কথা ছিলনা। ১৮ বলে পঞ্চাশ! উফ!
৪১.২ থেকে ৪৬.৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের বোলারদের রান দেয়ার পরিমাণ। মাহমুদউল্লাহ ১৬, সাকিব ২০, শফিউল ১৬ এবং রাজ্জাক ১৮। এতে করেই আস্কিং রান রেট সহ সকল হিসাব এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের।
২১, ২২ এবং ২৩ তম ওভারে পর পর ৩ উইকেট পাবার পরেও বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের উপর মুখ্যত কোন চাপ সৃষ্টি করতে ব্যার্থ হয়। আমাদের বোলিং ডিপার্টম্যান্ট এখানে কিছুটা হলেও ব্যার্থ।
উপভোগ্য ছিল আজকের ম্যাচটি। অভিন্দন বাংলাদেশ দলকে। ম্যাচে জয় পরাজয় এবং টাই থাকেই হেরে গেলেও আজ তারা সত্যিকার বাঘের মতন খেলেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।