আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ প্লাস আর মেধাহীনদের গল্প

একটু কপি-পেষ্ট জুড়ে দেই... [...] রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেয়ে জুবায়ের হোসেন জাহিদ (১৩) আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সে নিজ বাড়ির শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। জাহিদ কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের চাঁদমৃগী গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও মৃগী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। মৃগী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক জানান, জুবায়ের মেধাবী ছাত্র ছিল। জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৬৪ পায়।

কিন্তু তার সামনে ও পেছনের আসনের দুইজনই জিপিএ ৫ পেয়েছে। নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল না হওয়ায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে। এবার তার আগের দিনের একটা খবর... ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর পাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক নম্বরের বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষাতেই এঁরা জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।

[.....] বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ বছর স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ক, খ ও গ ইউনিটে জিপিএ-৫ পাওয়া ৪৪ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৬৮ জন বা প্রায় ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই অনুত্তীর্ণের হার ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৫৩ শতাংশ। ____________________________________________ জাহিদ নামক ছেলেটা কিংবা তার পরিবার মনে হয় এই খবরটি পড়েনি ।

জিপিএ পাঁচ না পাওয়ায় কেউ হয়তো তাকে বলেনি জিপিএই সব কিছু না । শিক্ষা মানুষ হবার জন্য, রেসের বিজয়ী ঘোড়া হবার জন্য নয় । আমাদের মিডিয়া এই জিপিএ পাচঁকে এমন মাথায় তুলে ফেলেছে অন্য যেকোন গ্রেড যেন গালির মত মনে হয় । আর রাজনৈতিক সরকারে সাফল্যের পাল্লা ভারী দেখানোর জন্যতো প্রতিবছরই জোর করে এ প্লাস ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে । আফসোস এমন অনেক জাহিদের মৃত্যুর জন্য প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষভাবে আমরাই দায়ী ।

কিন্তু ১৫ কোটির দেশের দু চার জাহিদ না থাকলে কারই বা কি আসে যায় ? ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।