আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি সত্য প্রকাশ ও একটি অর্ধ প্রকাশ...

শেষের হইল শেষ.....বাঁচিবার শেষ চেষ্টায়।

অনেকদিন থেকে চিন্তা-ভাবনায় একটা জিনিস ঘুরপাক খায়। কিন্তু বিষয়টা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। প্রতিদিন সময় পেলেই এ জিনিসটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, যদি বের হয় বিষয়টা। অধরা বিষয়টা বুঝি অধরাই রয়ে গেল।

তবুও হতাশ হয়ে যাই নি। আমি খুঁজে চলেছি মনের সবটুকু শক্তি দিয়ে।

যাহোক একদিন আমি চিন্তা করলাম চাকরিটা পরিবর্তন দরকার। লোকে বলে, প্রাইভেট কোম্পানীর চাকরী যত বদলানো যায় ততই বেতন বাড়ে। আমার চিন্তায় দুটি জিনিস খেলল।

একটি হল অনেকদিন যাবৎ এখানে আছি তাই পরিবর্তন হলে মন্দ হয় না, অপরটি ঐ বেতনের ব্যাপার। জিনিস-পত্রের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে অল্প বেতনে সংসার চলে না। মোটামুটি চলতে গেলে ১৫-২০ হাজার টাকা হলে কিছুটা চলে।

যেই ভাবা সেই কাজ। কম্পিউটারে বি.ডি. জবস্ এ সার্চ দিয়ে কয়েকটি কোম্পানীতে সি.ভি পাঠালাম।

একদিন যথারীতি ফোন এলো এবং আমাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হলো। আমি প্রস্তুতি নিলাম যাবো বলে। ইন্টারভিউ নেয়ার জন্য কোম্পানীটি আর তিনজনকে ডেকেছে। এখানে বলে রাখা ভালো, আমি ছোট একটি কোম্পানীর সি. স্টোর-কিপার হিসাবে কাজ করি। বেতন হচ্ছে ১০ হাজার টাকা।



কথামতো ইন্টারভিউ এ আমি সহ আরও তিনজন হাজির। তারা একেকজন নামী-দামী কোম্পানীর স্টোরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত। আমার আশার আলো এখানেই নিভে যাওয়ার কথা কারণ, আমার যোগ্যতার সাথে তাদের যোগ্যতার ফারাক অনেক। তারা সবাই বি.বি.এ আর আমি একজন এইচ.এস.সি পাশ প্রার্থী এবং তারা কাজের দিক দিয়ে সবে আমার সিনিয়র। এখানে আমি শুরুতেই বাদ পড়ব এটা ১০০% সত্য।

তবুও ঠিক করলাম আমি ইন্টারভিউ দেব। চাকরি হোক আর না হোক।

আমার ইন্টারিভিউয়ার স্যারেরা আমাকে কতগুলো প্রশ্ন করেছিলো। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে আপনি বর্তমানে বেতন কত পান এবং চাহিদা কত ? আমি বলেছি ১৫ হাজার এবং ২৫ হাজার।

ইন্টারভিউ দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম।

গাজীপুরা থেকে টঙ্গী এলাম। তারপর বাস থেকে নেমে ওভারব্রিজ পার হয়ে রাস্তার পশ্চিম পাশ দিয়ে আব্দুলাহপুরের দিকে হেটে চলতেছিলাম। টঙ্গঅ বাজার পেরোনোর পরেই রাস্তায় একটা জটলা দেখে দাঁড়ালাম ঘটনাটা জানার জন্য।
একজনকে প্রশ্ন করলাম, ভাই এখানে কি হয়েছে ?
তিনি আমাকে জানালেন, কিছু না, সামান্য একটা র্দুঘটনা। পুলিশ তার ভ্যানে মোটর সাইকেল উঠাচ্ছে কেন ? জানতে চাইলাম।


তিনি বললেন, এটাই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।

ব্যাপার কিছু না তাই এখানে আর অপেক্ষা করার মানে হয় না। আবার হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটছি। কয়েক পা এগোতেই সামনের আরেকটি পুলিশ ভ্যানের একজন পুলিশ সদস্য প্রশ্ন করল, স্যার ঐটা কোন থানার আন্ডারে ?
অফিসার গোছের একজন উত্তর দিল টঙ্গা থানার আন্ডারে।

আমি হাসলাম। হঠাৎ আমার মিনিষ্টার ফাটাকেষ্ট ছবির কথা মনে পড়ল।

আমার কিন্তু আসল কথাটি এখনও মনে হয়নি। তবে কথা দিচ্ছি, যখনি মনে হবে আমি নিশ্চয়ই জানাবো সবাইকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.