আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিখোঁজ বিমানের ২ কানাডীয় যাত্রীর কথা

৪২ বছরের মুকতেশ এবং ৩৭ বছরের জিয়াওমো- দুজনেই কানাডীয় নাগরিক। নিখোঁজ হওয়া ফ্লাইটটির ২২৭ যাত্রীর তালিকায় তাদেরও নাম ছিল। নামদুটি কুয়ালালামপুরের কানাডীয় হাই কমিশনের কাছে পাঠানো হলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

মুকতেশ আর তার স্ত্রী জিয়াওমো কানাডার নাগরিক হলেও তাদের বসবাস ছিলো বেইজিংয়ে। ২০১২ সালের মে মাসে চীনের এক্সকোল এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন মুকতেশ।

ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট মুকতেশ নয় বছর কানাডার মন্ট্রিয়লের বাস করেছেন।

২০০২ সালে অফিস ট্যুরে বেইজিং গিয়ে পরিচয় হয় জিয়াওমোর সঙ্গে। ওই বছরই তারা বিয়ে করেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয় মন্ট্রিয়লের রিটজ কার্লটন হোটেলে। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে চাকরি নিয়ে সস্ত্রীক চলে যান শিকাগোতে।

এর পর নতুন দায়িত্ব নিয়ে বেইজিং আসেন।

এই দম্পতির রয়েছে ছোট্ট দুটি সন্তান থাকলেও এই ভ্রমনের তারা সঙ্গে ছিলো না। শিশুদুটি বেইজিংয়ে কার সঙ্গে কীভাবে আছে তা এখনো এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বা কানাডীয় হাই কমিশন জানতে পারেনি।

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মুকতেশের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।

মুকতেশের টুইটার পাতায় সর্বশেষ স্ট্যাটাসে লেখা আছে, ‘still adjusting to life in the Middle Kingdom.’, অর্থ্যাৎ তাতে বেইজিংয়ের জীবনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার চেষ্টার কথা জানান দেওয়া আছে।

মুকতেশ- জিয়াওমোর জীবন নিয়ে থিতু হওয়ার সেই চেষ্টা কি মহাশূন্যেই থিতু হয়ে গেলো?


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।