আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিখোঁজ নয় তবু নিখোঁজ জবির এক ছাত্রের কান্ড



একমাত্রার উদ্যোগে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পথ শিশুদের জন্য একটি একাডেমি স্থাপিত হচ্ছে বেসরকারিভাবে। একমাত্রা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে। জাপানি এক যুবক এর উদ্যোগ নেয়। একাডেমিতে পথশিশুদের থাকা-খাওয়া এবং পড়াশুনার ব্যাবস্থা করা হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একদল ছাত্র স্বেচ্ছাসেবী হয়ে সেই একাডেমি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়ে আসে।

মাটি কেটে ভিটে তৈরি করে, তার ওপর খুঁটি গাড়ে, ছাউনি দেয়। দু'দিনের সফর শেষে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় ফিরে আসে । আবার অন্য দল যায়। এভাবে কাজ এগুয়। গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র হাসান আহমেদ কে হঠাৎ কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

তার সেল ফোনটাও বন্ধ। বাড়ির লোকজন ভার্সিটির কাছে জানতে চায় তাদের হাসান কোথায় আছে। ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানতে চায় একমাত্রার কর্মীদের কাছে। একমাত্রা অসহায়। তারপর ডিবি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় ব্যাপারটি।

ডিবি পুলিশ জানে না হাসানের খবর একমাত্রা কর্মীদের দোষ দেয়া হয়। পত্রিকায় খবরের শিরোনাম হয় হাসান। হাসানের পরিবারের নাওয়া খাওয়া নেই। খুঁজতে খুঁজতে বেহুঁশ তার বাবা-মা। পয়সা দিয়ে হাসানের ছবিসহ হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয় পত্রিকা, রেডিও এবং টিভিতে।

জবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষাথর্ীদের চোখে ঘুম নেই এ ঘটনায়। ধারণা করা হয় হাসানকে কিডন্যাপ করা হয়েছে। অথবা কোন দুর্ঘটনায় পড়েছে সে। জ বি ভিসি ড. মেসবাহ উদ্দিন ধমক দেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকদের। হাসানকে পুলিশ পায়নি।

হাসানের পরিবার শোকে যখন পাথর অমনি একদিন বাড়ির আঙিনায় হাসানের স্থির পা। তিন দিন পর গত সোমবার হাসানকে পেয়ে তার পরিবার ব্যস্ত হয়ে পড়ে। হাসানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে তার মা। জানতে চায় সে কোথায় ছিল এতদিন। চাঁদপুর জেলার মোঃ ইউছুফ মিয়ার ছেলে ফিরে পাওয়া কথিত নিখোঁজ হাসানের সংগে যোগাযোগ করলে সে জানায়, হালুয়া ঘাটে একমাত্রার সংগে সে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দু'দিন কাজ করার পর একমাত্রার দলের সংগেই ঢাকা ফিরে আসে।

কিন্তু ক্যাম্পাসে যায় নি। হালুয়া ঘাটে যখন সে কাজ করে তখনই সেখানকার এক যুবার সংগে তার বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুর বাড়িতেই সে নিমন্ত্রণ নেয়। এবং তিন দিন থাকে। বিদু্যৎ সুবিধা না থাকায় বেড়ানোর সময়টাতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে।

ফলে কারো সংগে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে নি সে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।