আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেওয়ানবাগী- শজরা শরীফ - চরমোনাই প্রসঙ্গ

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

হে কথাকয় যে পাখী তার নামধারী ! তোমার দেশের মহাম্মদি ইসলামের পুর্নজাগরণ খ্যাত রুহানি শিক্ষকের কোন শিষ্য নাকি স্বপ্নে দেখেছে - সুফী সম্রাটের অবস্থানের জন্য নির্মাণাধীন বাবে রহমতের তিনতলার ছাদে রাসুল আস্তে আস্তে হাঁটছে। তখন জনৈক শিষ্যটি বাবা জানের বাড়ীর ভেতরটা দেখতে অনুরোধ করেন। তখন রাসুল দেওয়ানবাগীর শিষ্যটি কে বলল আমিতো এই দরবারের সকল জলসাতে উপস্থিত থাকি। আপনার বাবারে বলবেন- আমাকে ঈদে মিলাদুন্নবীর জলসাতে দাওয়াত দিতে। তখন আমি আসব।

' আরও একদিন ঐ একই শিষ্য নাকি স্বপ্নে দেখল- বাবে রহমত চত্বরে রাসুল হেঁটে হেঁটে প্যান্ডেলের সীমানা নির্ধারণ করছে !

হে কলমওয়ালা ! দেওয়ানবাগীর আরও একজন শিষ্য নাকি স্বপ্নে দেখে- রাসুল তার শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা মঞ্চে উপবিষ্ট সুফী সম্রাটকে দেখিয়ে বলছে- ঐ যে মঞ্চে বসে আছে উনি হলেন জামানার মোজাদ্দেদ সুফী সম্রাট হজরত দেওয়ান বাগ। তিনি সত্য তরীকার আহবানকারী এবং আরও কত কি ! তুমি বলে দাও যে, এসকল স্বপ্নের গল্প ফাঁদার যে মতলব এবং উদ্দেশ্য তা হলো, তারা যে বাস্তবিকই মহাম্মদী ইসলামের পুনর্জাগরণকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তাহা প্রমাণ করা। বল। তোমাদের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনার সীমারেখা আল্লা ঠিকই পাঁই টু পাঁই হিসাব রাখছেন। কল্পনার দিবা স্বপ্নের অবতারণা করে রাসুল দ্বারা সাক্ষ্য নেয়ার এবং প্যান্ডেলের সীমানা নির্ধারণের হীনমতলব কেন যে হলো তা আল্লাপাক ভালোমতই ওয়াকিফহাল।

চালবাজির কি দেখেছ ! আল্লার চালবাজি দেখানোর আর বেশী সময় নাই। বাবে রহমতের মাদকে আর একটুখানি বিভোর থাক। তুমি বলে দাও যে, আল্লা সকলকে তওবা করার সুযোগ দিচ্ছেন। যেন নতুনভাবে নতুন পন্থায় আর মিথ্যার বেসাতির পুনরাবৃত্তি না হয়। আল্লা আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন।

আমীন।
হে আঁধার মুখমন্ডল ! চট্রলার তরিকায়ে আলীয়া কাদেরিযার অজিফা বা শজরা শরীফ কিতাবে কি বলা হয়েছে পীর বাবার হুকুম মেনে চললে কোন মুরীদ আগুনে পুড়ে, নদীতে ডুবে এবং অতর্কিত অবস্থায় বা পায়খানা প্রসাবখানাতে বা রাস্তা ঘাটে তার মৃত্যু হবেনা। এই প্রেক্ষিতে তুমি বলে দাও যে, যেখানে ওহুদের যুদ্বের ভয়াবহ সময়ে কোরানে নাযিকৃত অংশে বলা হচ্ছে - যদি তোমাদের রাসুল মৃত্যুবরণ করে বা নিহত হয় তবুও তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করো না। " বল। অর্থাৎ রাসুল নিজেই জানতেন না কখন কোথায় কিভাবে মৃত্যু হবে।

তখন তোমরা পীর বাবারা নিজেরা কিভাবে মুরীদদের ব্যপারে ঐ ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে পারছে ! বল। আল্লাহর অনুমতি ব্যতিত কোন বিপদ আপদ অবতীর্ণ হয়না। আর আল্লাহ যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই। সাথে সাথে স্মরণ করিয়ে দাও যে, দেবদেবীর পুজার শিরক ছাড়াও মানুষ এমনতর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভয়াবহ শিরক করে যাচ্ছে। বল।

হে আল্লা তোমার সাথে এভাবে শিরক করে ফেলার গুনাহ্ থেকে আমাদের উদ্ধার করো। আমীন।

হে জাতীয় কবির নামধারী ! তোমার কাছে উক্ত শজরা শরীফের ঐ খবরটি পৌঁছিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে নিজ দেশ থেকে মুরশিদ কেবলার সাথে সপ্তাহে একবার নতুবা পনের দিনে একবার নতুবা মাসে একবার নতুবা তিনমাসের ভিতর একবার অবশ্যই দেখা করতে হবে। নতুবা মুরীদ বিপদে পড়বে। বল।

এই যে নতুবা বিপদে পড়বে এই র্নিদেশ হাকাঁর তত্ত্ব কি? বলতে পারত তিনমাসের মধ্যে একবার অন্তত পীর বাবার সাথে দেখা করবেন যাতে রুহানি শিক্ষাটা রানিং থাকে। বল। হেদায়েত দেয়ার মালিকানা একমাত্র আল্লার। আপনারা মুরীদানের কলবে বিপদের আশংকা জাগিয়ে আলটিমেটাম দিয়ে তাবেদারী খাওয়ার বাতিক থেকে অবসর নিন। বাৎসরিক অন্তত একটা দেশের সকল পীর বাবাগণ ইউনাইটেড ওরশ মোবারক করুন।

অথচ কতইনা এককভাবে মহাসমারহে ওরশ উদযাপন করেন। অথচ সম্মিলিতভাবে একখানা ওরশ করার কোনই সদিচ্ছা কেন যে আপনাদের নাই-তা আল্লাপাক ভালো মতই অবগত আছেন। বল। হে আল্লা আমরা যারা রুহানি শিক্ষকের দাবিদার। তাদের কে তুমি কলবুস সলীমে উন্নত করে দাও।

পারষ্পারিক হিংসা বিদ্বেষ, মেনে নিতে না পারার মহড়া খর্ব করে মহব্বতের রওশন জারী করে দাও। আল্লা তুমি আমাদের প্রকৃত রুহানি শিক্ষকের হেকমত প্রদান কর। মানুষ হিসেবে সব পেশা তরীকা মত পথের মানুষকে আপনার চোখে দেখার উদার ক্যাপাসিটি প্রদান কর। আমীন ছুম্মা আমীন।

হে বিনয়ের অবতার হওয়ার ইরাদাকারী ! তুমি তোমার চরমোনাই ভ্রাতার উর্বর মস্তিকের কল্পনাজাত ঐ বয়ানটি স্মরণকর।

যেখানে উল্লেখ আছে - একজন আল্লার অলি গাছের ডালের উপর হাত লাগিয়ে জিকির আর ধ্যানে মশগুল আছে। এক পর্যায়ে ডালের বাকল তার হাতকে আচ্ছাদন করে ফেলল। একজন পাগল দেখে মনে করলো ইনিই আল্লার খাঁটি অলি। তুমি বলে দাও যে, এই গল্প ফাঁদার নেপথ্যে পীর সাহেবের মনের নিয়ত যাই থাক আল্লাপাক এমনতর মশগুল জিকিরের গালগল্পের খপ্পর থেকে নিষ্কৃতি চান। বল।

এ ধরনের গালগল্পের জন্য প্রকৃত দ্বীন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। সাথে সাথে স্মরণ করিয়ে দাও - আমাদের রসুল স্বয়ং হেরা পর্বতের গুহাতে ধ্যানমগ্ন থাকতেন অথচ গাছের বাকল তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেনি বরং স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে খাদ্য পানীয় ও শৌচকার্যের প্রয়োজন মেটাতেন।

হে কলমওয়ালা ! আবার ও স্মরণকর চরমোনাই বয়ানের সেই অংশটি যেখানে আল্লাকে জড়িয়ে বলা হয়েছে, এক বুড়োর ডাকে মাওলার রহমতের দরিয়ায় জোশ মেরে গেছে। হঠাৎ আকাশ থেকে ডাক দিয়ে মাওলায় বলেন- বুড়ো তুমি যতই কাঁদো আর মাওলারে ডাকো তোমার নাম জাহান্নামের দপ্তরে লেখা হয়ে গেছে। এই আওয়াজ বুড়োর বউ পর্যন্ত শুনতে পেয়ে বলে স্বামী শুনছেন্নি ! অতএব মওলারে ডেকে লাভ কি ? অতঃপর বুড়ো চোখের পানিতে জিকির করতে থাকে।

হঠাৎ আবার আকাশ থেকে মাওলায় ডাক দিয়ে বলেন- ও বুড়ো তুমি যখন আমার দুয়ার ছাড়া অন্য কোন দুয়ার দেখ না। তোমাকে মাফ করে না দিলে যখন আমাকে ডাকা ছাড়বে না সুতরাং আমি তোমার জীবনের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিলাম। আর তোমার জীবনের গোনাহ গুলি আমি নেকীতে পরিনত করে দিলাম। " এই বয়ান সম্পর্কে তুমি বল আল্লা অসীম দয়ালু তাই বলে আল্লা ভক্তির নিদর্শন দেখাতে কল্পনাজাত কাহিনীর অবতারণা করে আল্লাকে জড়ানো আল্লার প্রতি মিথ্যা আরোপ করার সমতুল্য। স্মরণ কর কোরানের ঐ সংলাপটি যেখানে বলা হয়েছে- আল্লা চাইলে তারা এমনটি করতো না।

কাজেই তাদের কে ছেড়ে দাও। তারা নিজেদের মিথ্যা রচনায় ডুবে থাক। ' তোমরা সকলে সমস্বরে বল হে আল্লা এ ধরনের পানখাওয়া গালগল্পের অবতারণার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

হে গণহারে সালামকারী। বল।

এ সকল ফিরিস্তি এবং মন্তব্য আবেদন নিবেদনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো আমরা মুমিন বলে দাবিদারেরা যাতে এক ভাই অন্য ভায়ের আয়না হিসেবে অবতীর্ণ হয়ে দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণের স্বার্থে ক্ষুদ্র দুনিয়াদারীর ছড়ি ঘোরানোর স্বার্থ ত্যাগ করে ইসলামের শাশ্বত মোহনায় এক কাতারবন্দি হয়ে যেতে পারি। যে বা যাহারাই কলবুস সলীমের অধিকারী। তাদের জন্য তাদের রবের পক্ষ থেকে মহাপুরস্কার আছে দুনিয়া এবং আখেরাতের জিন্দিগানীতে। আল্লা মহান।




সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.