আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কান্না থামাতে শিশুর মুখে তালা, অতঃপর হত্যা!

নাইজেরিয়ায় এক ব্যক্তি তার চার বছরের ছেলের মুখে তালা মেরে দিয়েছিলেন, চেয়েছিলেন শিশুটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে। শিশুটির অপরাধ? সে শুধু কান্নাকাটি করতো! ব্রিটেনের ডেইলি মেইল থেকে এখবর জানা যায়। এই ভয়াবহ ও জঘন্য অপরাধে লোকটিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বীভৎস ঘটনাটি ঘটে নাইজেরিয়ার সবচেয়ে জনবহুল ও বন্দর নগরী লাগোসের মেইরানে। ৩০ বছর বয়সী ক্রিস এলভিস তার চার বছর বয়সের শিশু সন্তান গডরিচকে শয়তানের পুত্র বলে মনে করতেন।

তিনি এটাও বিশ্বাস করতেন যে, তার যাবতীয় দুর্ভাগ্যের কারণ এ ছেলেটি! আর এ ধারণা থেকেই, লোকটি তার ছেলেকে পেটাতেন, তপ্ত লোহা দিয়ে তার সারা দেহ ঝলসে দেন। এরপর ছোট্ট ছেলেটিকে একটি প্লাস্টিক ড্রামের ভেতরে আটকে রাখেন। আর এসব ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যায় আদালতে উপস্থাপিত নথিপত্র থেকে।  

শেষ যেদিন শিশুটিকে মেরে ফেলা হয়, সেদিন শিশুটির মা গিয়েছিলেন বাজারে। এসেই তিনি নিজের সন্তানের করুণ মৃত্যু দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এলভিসকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তিনি এরকম ভান করতে থাকেন যেন তিনি একজন মানসিক রোগী। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের সূত্রমতে, এলভিস পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। তাকে খুনের অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

তার বিরুদ্ধে আনীত চার্জ-শিটে বলা হয়,  গত ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি লাগোসের মেইরানের ৭,এডেটলা এডেলাজা স্ট্রিটে বসবাসকারী ক্রিস এলভিস তার ছেলে ৪ বছর বয়সী গডরিচ এলভিসকে প্রথমে গরম লোহা দিয়ে পুরো দেহ ঝলসে দেয়। পরে তার ছেলেকে একটি প্লাস্টিক ড্রামে আটকে রাখে ও হত্যা করে।

আর এ ধরণের কার্যক্রম নাইজেরিয়ার লাগোস প্রদেশের ২০১১ সালের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইনের ২২১ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.