আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“শ্বশুরবাড়ি যাই” পর্ব-০১।

(আবার নতুন একখানা গল্প লইয়া আসিলাম। আপনারা পাঠ করিলে, চতুর্গুণ উৎসাহ লইয়া লিখিবো)


আহা! বউ পেটাতে দারুণ মজা! কোনো বিচার-আচার নাই! শুধু বউ একটু সহে নিলেই হইলো! তাই, ইজ্জত আলী যখনই বাহিরের মানুষের সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি করিয়া গৃহে প্রবেশ করে, তখন বউকে পিটাইয়া নিজের মন ও শরীরের ঝাল মেটাইতে থাকে। ইজ্জত আলী বিবাহ করিলো চারখানা। এই বউ তাহার চতুর্থ বউ। আগের তিন বউ তাহার নির্যাতন সহিতে না-পারিয়া পিতৃগৃহে পলায়ন করিয়াছে।

বর্তমান বউয়ের অবস্থাও শোচনীয়! তাহাকে লইয়া প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে তিন বার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হইতে হয়। ইজ্জত আলী আবার এই ব্যাপারে খুবই সচেতন স্বামী। পরিবর্তী নির্যাতনের আগে তাহাকে সুস্থ করিয়া তুলে। শত মাইর খাইয়াও আমেনা স্বামী ইজ্জত আলীর সঙ্গ ছাড়িয়া যাইতে চায়না। আমেনা স্বামীকে বড়ই ভালবাসে।

স্বামী তাহাকে শীতের রাত্রিতে যাত্রাগান দেখিতে লইয়া যায়, ঈদের সময় ভালো কাপড়-চোপর উপহার দেয়। পায়ে আলতা পরিয়া না হাঁটিলে স্বামী জোড় করিয়া পায়ে আলতা লাগাইয়া দেয়। এইতো সেইদিন স্বামী তাহাকে পায়ের নূপুর, নাকের ফুল, কানের দুল গড়াইয়া দেয়। সব সময় চোখে কাজল না পরিলে স্বামী মন খারাপ করে। আহা! কী ভালবাসে স্বামী তাহাকে।

তাই সপ্তাহে কয়েকবার সে স্বামীর হাতের উত্তম-মধ্যম খাইলেও তাহা সহিয়া নেয়। ইদানীং স্বামী কিঞ্চিৎ বেশি নির্যাতন করিতেছে। কারণ কয়েকমাস ধরিয়া তাহার ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হইতেছেনা। স্বামীর মন খারাপ থাকে তাই স্বামী কিঞ্চিৎ গায়ে হাত তুলিয়া থাকে। “স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত” তাহার হাত তুলিবার অধিকার আছে।

এই ভাবিয়া আমেনা সব সহে নেয়। পুরুষ মানুষের কতো চিন্তা, মন-মর্জি সব সময় ভালো থাকেনা, তাই আমেনা পাল্টা কিছু বলেনা। স্বামীতো তাহাকে ভালবাসেই!

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> চলবে.........।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।