আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীতে শাড়ি অথবা শাড়িতে নারী এবং ডির্ন্ডল

আমার জন্য বেদনারা দরজা খুলে দাড়িয়ে থাকে; আমি ভেতরে ধুকতেই ওরা আমাকে জড়িয়ে ধরে, আমাকে নিয়ে খেলা করে,আদর করে,চুমু খায়, আর আমি নীরবে কেঁদে উঠি; আজ কোথায় তুমি,ও আমার সুখ গৃহিণী। শাড়ি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী ও নিত্যনৈমিত্তিক পরিধেয় বস্ত্র। শাড়ি অনেক লম্বা ও সেলাইবিহীন কাপড় দিয়ে তৈরি হয়। সাধারণতঃ একটি শাড়ি চার থেকে নয় মিটার (প্রায় ১২ হাত বা ১৮ ফুট) দীর্ঘ কাপড় দিয়ে তৈরি হয়। বিভিন্নভাবে ভাজ করে শাড়ি পরা হয়ে থাকে।

সবচেয়ে সাধারণ ভাজ হচ্ছে কোমরে জড়িয়ে একপ্রান্ত কাঁধের উপর দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া, যাকে আঁচল বলা হয়। শাড়ি সাধারণত পেটিকোটের (উত্তর ভারতে লেহেঙ্গা/ঘাগড়া এবং বাংলাদেশসহ পূর্ব ভারতে সায়া নামেও পরিচিত) উপরে পরা হয়ে থাকে। উপরের অংশের পোষাক হিসেবে ব্লাউজ (ভারতে চোলি নামেও পরিচিত) ব্যবহার করা হয়। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাধারণতঃভ শাড়ি অনুষ্ঠানের সবচেয়ে উপযোগী পোষাক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেনাবাহিনীতে নারী সেনারা শাড়ী পড়লে কোমরে শার্ট বেধে রাখেন।

বিভিন্ন ধরনের শাড়ী যদিও বিমানবালাদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শাড়ী বলতে আধুনিক ঘরানার শাড়ীকেই জনপ্রিয় করা হয়েছে, তবে উপমহাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই নিজস্ব ধরনের শাড়ির তৈরি ও জনপ্রিয় হয়েছে। নিচে কিছু পরিচিত ও জনপ্রিয় শাড়ির নাম দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশী শাড়ি • জামদানি • ঢাকাই বেনারসি • রাজশাহী রেশমী শাড়ী • টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ী • কাতান শাড়ী • পাবনার শাড়ী ভারতীয় শাড়ি উত্তরাঞ্চলীয় শাড়ি: • বাঁধনি – গুজরাট এবং রাজস্থান • চিকন – লক্ষ্ণৌ • কটা দরিয়া রাজস্থান • বেনারসি – বারাণসী o তাঁত o জামদানি o শালু পূর্বাঞ্চলীয় শাড়ি: • কাঁথা, পশ্চিমবঙ্গ • বালুচরী, বিষ্ণুপুর, পশ্চিমবঙ্গ • মুর্শিদাবাদী সিল্ক, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ • শান্তিপুরী তাঁত, শান্তিপুর, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যাঞ্চলীয় শাড়ি: • চান্দেরি – মধ্য প্রদেশ • পাইথানিPaithani – মহারাষ্ট্র • লুগাদে – মহারাষ্ট্র • ইক্কাত – উড়িষ্যা দক্ষিণাঞ্চলীয় শাড়ি: • পচাম্পালি অন্ধ্র প্রদেশ • বেঙ্কটগিরি – অন্ধ্র প্রদেশ • গাড়োয়াল – অন্ধ্র প্রদেশ • মঙ্গলগিরি – অন্ধ্র প্রদেশ • বলরামপূরম – কেরল • কাঞ্চিপূরম (স্থানীয়ভাবে কাঞ্জিভরম নামে পরিচিত) – তামিল নাড়ু • চেত্তিনাদ – তামিল নাড়ু • মাইসোর রেশম – কর্ণাটক নেপালী শাড়ী নেপালীয় নারীরা বিভিন্নভাবে শাড়ী পরেন। এর মধ্যে হাকু পাতাসি উল্লেখযোগ্য। এটি লাল পেড়ে কালো শাড়ী।

পাকিস্তানী শাড়ী পাকিস্তানে প্রতিদিনের ব্যবহার্য শাড়ীর স্থান সালোয়ার কামিজ প্রায় সম্পূর্ণ দখল করে নিয়েছে। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখনও শাড়ী পরা হয়ে থাকে। সাধারণতঃ মোহাজির নামে পরিচিত ভারতীয় অভিবাসী পাকিস্তানীরা শাড়ীর ব্যবহার টিকিয়ে রেখেছে, যা প্রধানতঃ করাচীতেই চোখে পড়ে। শ্রীলঙ্কার শাড়ী শ্রীলঙ্কায় বিভিন্নভাবে শাড়ী পরা হলেও ভারতীয় ধরণেই শাড়ী বেশি পরা হয়ে থাকে, যা সাধারণভাবে কানাড়ীয় ধরণ (অথবা সিংহলিজ ভাষায়'ওসারিয়া' নামে পরিচিত)। ক্যান্ডির পাহাড়ী এলাকায় ক্যান্ডীয় ধরন চালু রয়েছে।

জামদানি জামদানি কার্পাস তুলা দিয়ে প্রস্তুত একধরনের সূক্ষ্ম বস্ত্র। প্রাচীনকানের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙ্গালী নারীদের অতি পরিচিত। মসলিনের উপর নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হয়। জামদানি বলতে সাধারণতঃ শাড়িকেই বোঝান হয়। তবে জামদানি দিয়ে নকশী ওড়না, কুর্তা, পাগড়ি, রুমাল, পর্দা প্রভৃতিও তৈরি করা হত।

১৭০০ শতাব্দীতে জামদানি দিয়ে নকশাওয়ালা শেরওয়ানির প্রচলন ছিল। এছাড়া, মুঘল নেপালের আঞ্চলিক পোষাক রাঙ্গার জন্যও জামদানি কাপড় ব্যবহৃত হত। নামকরণ জামদানির নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মতবাদ রয়েছে। একটি মত অনুসারে ‘জামদানি’ শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে। ফার্সি জামা অর্থ কাপড় এবং দানা অর্থ বুটি, সে অর্থে জামদানি অর্থ বুটিদার কাপড়।

একারণে মনে করা হয় মুসলমানেরাই ভারত উপমহাদেশে জামদানির প্রচলন ও বিস্তার করেন। আরেকটি মতে, ফারসিতে জাম অর্থ এক ধরনের উৎকৃষ্ট মদ এবং দানি অর্থ পেয়ালা। জাম পরিবেশনকারী ইরানী সাকীর পরনের মসলিন থেকে জামদানি নামের উৎপত্তি ঘটেছে। ইতিহাসবিদের বর্ণনা জামদানির প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায়, আনুমানিক ৩০০ খ্রিস্টাব্দে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র গ্রন্থে, পেরিপ্লাস অব দ্য এরিথ্রিয়ান সি বইতে এবং বিভিন্ন আরব, চীন ও ইতালীর পর্যটক ও ব্যবসায়ীর বর্ণনাতে। কৌটিল্যের বইতে বঙ্গ ও পুন্ড্র এলাকায় সূক্ষ্ম বস্ত্রের উল্লেখ আছে, যার মধ্যে ছিল ক্ষৌম, দুকূল, পত্রোর্ণ ও কার্পাসী।

নবম শতাব্দীতে আরব ভূগোলবিদ সোলায়মান তার গ্রন্থ স্রিল সিলাই-উত-তওয়ারিখে রুমি নামের রাজ্যে সূক্ষ্ম সুতি কাপড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। তার বর্ণনা অনুসারে বোঝা যায়, রুমি রাজ্যটি আসলে বর্তমানের বাংলাদেশ। চতুর্দশ শতাব্দীতে বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা বাংলাদেশ পরিভ্রমণ করেন এবং সোনারগাঁও এলাকাস্থিত সুতিবস্ত্রের প্রশংসা করেছেন। যোড়শ শতাব্দীর শেষের দিকে ইংরেজ পর্যটক র্যা লফ ফিচ ও ঐতিহাসিক আবুল ফজলও ঢাকার মসলিনের প্রশংসা করেছেন। আরেক ঐতিহাসিক টেলরের জামদানির বর্ণনা দিয়েছেন।

তার বর্ণনানুসারে সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে ১০*২ হাত মাপের ও ৫ শিক্কা ওজনের একটুকরা আব-ই-রওয়ান এর দাম ছিল ৪০০ টাকা। সম্রাট আওরঙ্গজেবের জন্য তৈরি জামদানির দাম ছিল ২৫০ টাকা। ১৭৭৬ সাল পর্যন্ত ঢাকায় সবচেয়ে উৎকৃষ্টমানের জামদানির মূল্য ছিল ৪৫০ টাকা। বিকাশ ঐতিহাসিক বর্ণনা, শ্লোক প্রভৃতি থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় দুকূল বস্ত্র থেকে মসলিন এবং মসলিনে নকশা করে জামদানি কাপড় তৈরি করা হত। মূলতঃ বাংলাদেশের ঢাকা জেলাতেই মসলিন চরম উৎকর্ষতা লাভ করে।

ঢাকা জেলার সোনারগাঁও, ধামরাই, তিতাবাড়ি, বাজিতপুর, জঙ্গলবাড়ি প্রভৃতি এলাকা মসলিনের জন্য সুবিখ্যাত ছিল। ইউরোপীয়, ইরানী, আর্মেনিয়ান, মুগল, পাঠান প্রভৃতি বণিকেরা মসলিন ও জামদানি ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত ছিলেন। এ কারণে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধানেরাও এই শিল্প বিকাশে ভূমিকা রেখেছেন। ঢাকাই মসলিনের স্বর্ণযুগ বলা হয় মুঘল আমলকে। এ সময় দেশে-বিদেশে মসলিন, জামদানির চাহিদা বাড়তে থাকে এবং শিল্পেরও ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়।

আঠারো শতকে ইংরেজ দলিল থেকে জানা যায় মলমল খাস ও সরকার-ই-আলি নামের মসলিন সংগ্রহ করার জন্য দারোগা-ই-মলমল পদবীর উচ্চ পর্যায়ের রাজ কর্মচারী নিযুক্ত ছিলেন। প্রতিটি তাঁতখানায় একটি দপ্তর ছিল এবং এখানে দক্ষ তাঁতি, নারদিয়া, রিপুকার প্রভৃতি কারীগরদের নিবন্ধন করে রাখা হত। দারোগার প্রধান কাজ ছিল মসলিন ও জামদানি তৈরির বিভিন্ন পদক্ষেপে লক্ষ্য রাখা। তৎকালীন সময়ে ঢাকা থেকে প্রায় একলক্ষ টাকা মূল্যমানের মলমল-খাস মোঘল দরবারে রপ্তানি করা হত। ১৭৪৭ সালের হিসাব অনুযায়ী দিল্লীর বাদশাহ, বাংলার নবাব ও জগৎ শেঠের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার জামদানি কেনা হয়।

এছাড়া ইউরোপীয় ব্যবসায়ীগণ প্রায় নয় লাখ টাকার মসলিন কেনে। তবে আঠারো শতাব্দীর শেষের দিকে মসলিন রপ্তানি অনেকাংশে হ্রাস পায়। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করে। এদের নিযুক্ত গোমস্তারা নিজেদের স্বার্থে তাঁতিদের উপর নির্যাতন শুরু করে। তাঁতীরা কম মূল্যে কাপড় বিক্রি করতে রাজী না হলে তাদের মারধোর করা হতো।

অবশ্য তাঁতীদের উপর অত্যাচার ঠেকাতে কোম্পানি আইন প্রণয়ন করেছিল। কৌশল ও প্রক্রিয়া ধাপ ১: রেশমি গুটি থেকে প্রস্তুত সুতা মূল শাড়ি প্রস্তুতের জন্য তাতে সাজানো হয় ধাপ ২: গুটি থেকে প্রস্তুত সুতা রঙ করা হয় ধাপ ৩: রঙ করা সুতা বোনার জন্য প্রস্তুত করা হয় ধাপ ৪: সুতাকে শক্ত করার জন্য কয়েক ধাপে ভাতের মাড় দিয়ে শুকানো হয় ধাপ ৫: রোদে শুকানো সুতা তাতে নেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয় ধাপ ৬: সাধারণ হাত-তাঁতে মূল শাড়ি রেখে তাতে রঙিন সুতা দিয়ে নকশা করা হয় ধাপ ৭: নকশা করার সময় আরো একবার ভাতের মাড় দেয়া হয় ধাপ ৮: তারপর শাড়িতে নকশা তোলা শুরু হয় ধাপ ৯: রকমারি রঙের সুতা আর নকশায় শাড়ি সাজানো হয় বিলুপ্তি ১৭৮৭ সালে জেমস ওয়াইজ এর মতে ৫০ লাখ এবং জেমস টেইলরের মতে ৩০ লাখ টাকার মসলিন ইংল্যান্ডে রপ্তানি করা হয়েছিল। কিন্তু ১৮০৭ সালে এই পরিমাণ ৮.৫ লাখ টাকায় নেমে আসে এবং শেষ পর্যন্ত ১৮১৭ সালে রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্যক্তিবিশেষের মাধ্যমেই কেবল ইউরোপে মসলিন পাওয়া যেত। উনিশ শতকের মাঝামাঝি জামদানি ও মসলিনের এক হিসেব থেকে দেখা যায় সাদা জমিনে ফুল করা কাজের ৫০,০০০ টাকার জামদানি দিল্লী, লক্ষ্মৌ নেপাল, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি এলাকার নবাবরা ব্যবহার করতেন।

এই শিল্প সংকুচিত এবং পরে বিলুপ্ত হওয়ার পেছনে কিছু কারণ ছিল, যার মধ্যে প্রধান কারণ ইংল্যাণ্ডের শিল্প বিপ্লব। এর ফলে বস্ত্রশিল্পে যন্ত্রের আগমন ঘটে এবং কম মূল্যে ছাপার কাপড় উৎপাদন শুরু হয়। এছাড়া দেশী সূতার চেয়ে তখন বিলেতি সূতার দাম কন ছিল। তৎকালীন মোঘল সম্রাট ও তাদের রাজ কর্মচারীরা এ শিল্পের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন। ফলে ধীরে ধীরে মসলিন ও জামদানি শিল্প কালের গহ্বরে হারিয়ে যায়।

বর্তমান অবস্থা বাংলাদেশ স্বাধীনতা পাবার পরে ঢাকার ডেমরায় জামদানি পল্লীর তাঁতিদের আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়। তবে মেধা ও পারিশ্রমিকের অভাবের কারণে তাঁতীরা আর এ পেশায় আসতে চাইছেন না। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার অচল তাঁতগুলো প্রাচীন গৌরবগাঁথার নীরব সাক্ষী হয়ে রয়েছে। কিশোরগঞ্জের জঙ্গলবাড়িরও একই দশা। বর্তমানে ঢাকার মিরপুরে জামদানি পল্লী স্থাপিত হয়েছে।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জামদানির চাহিদা এখনও রয়েছে। বর্তমান বাজারে জামদানির উচ্চমূল্য ও বিপুল চাহিদার কারণে বাংলাদেশের এই শিল্পে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। ডির্ন্ডল ডির্ন্ডল (ইংরেজি: Dirndl) হচ্ছে দক্ষিণ জার্মানি, লিখটেন্সটাইন, এবং অস্ট্রিয়ার নারীদের পরিহিত একপ্রকার ঐতিহ্যবাহী পোষাক। ঐতিহাসিকভাবে আলপাইন কৃষাণীদের এ ধরনের পোষাক পরিধান করতে দেখা যেতো। ড্রিন্ডলকে অনুসরণ করে তৈরিকৃত ঢিলেঢালা পোষাক ল্যান্ডহসমোড নামে পরিচিত।

বডিস, ব্লাউজ, ফুল স্কার্ট এবং এপ্রন মিলে ডির্ন্ডল পোষাক তৈরি। ডির্ন্ডল একটি ব্যয়বহুল পোষাক। সাদাসিধে, এক কাজ করা একটি আধুনিক ডির্ন্ডলও যথেষ্ট ব্যয়বহুল, যখন এটি হাতে ছাপা সিল্কের কাপড় দ্বারা তৈরি হয়। দক্ষিণ জার্মান ভাষাগত ধাঁচে ডির্ন্ডল বলতে কমবয়সী নারীকে বোঝানো হয়, এবং সেখানে পোষাকটার নাম হচ্ছে ডির্ন্ডলক্লেইড। বর্তমানে অবশ্য নারী ও পোষাক উভয়কে নির্দেশ করতেই ডির্ন্ডল শব্দটি প্রচলিত।

শীতকালীন ডির্ন্ডল যথেষ্ট ভারী একটি পোষাক। উষ্ণতা আনার জন্য এধরনের ডির্ন্ডল তৈরিতে মোটা তুলা, লিনেন, ভেলভেট, বা উলের কাপড় ব্যবহৃত হয়, এবং পোষাকটি হয় ফুল হাতা। সেই সাথে রংও সাধারণত হয় গাঢ়। গ্রীষ্মকালী ডির্ন্ডলগুলো হয় হাফ হাতা, হালকা রং-এর কাপড়ের কাজ, এবং কাপড়টি হয় সাধারণত তুলা, সিল্কের। পোষাকটি পরিধানের ক্ষেত্রে যেসকল উপকরণ ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে আছে কোমরের কাছ থেকে বাধা লম্বা এপ্রোন, ওয়েস্টকোট, বা উলের শাল।

কিছু কিছু স্থানে বিভিন্ন রঙের হাতে ছাপা সিল্কের স্কার্ফ ও এপ্রোনও ব্যবহার করা হয়। এই পোষাকের সজ্জার সাথে অলংকারও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ডির্ন্ডলের সাথে ব্যবহৃত অলংকারের মধ্যে আছে রূপা, হরিণ বা অন্য কোনো প্রাণীর দাঁতের তৈরি গলার হার এবং কানের দুল। খুবই ঠান্ডা আবহাওয়ায় যেসকল ডির্ন্ডল ব্যবহৃত হয়, সেগুলো গলা হয় অপেক্ষাকৃত লম্বা এবং সামনে অতিরিক্ত বোতাম দেওয়া থাকে, এছাড়া উলের টুপি (হ্যাট) ব্যবহৃত হয়। ডির্ন্ডলের গেরো এবং এপ্রোন কিছু ক্ষেত্রে পরিহিত মেয়েটির বৈবাহিক অবস্থা নির্দেশ করে।

যেমন: গেরো যদি মেয়েটির বামপাশ ঘেষে থাকে, তবে নারীটিকে অবিবাহিত ধরা হয়, এবং, তা ডানপাশ ঘেষে থাকলে ধরা হয় বিবাহিত, বা কোনো সম্পর্কে জড়িত, বা বাগদত্তা। এবং যদি গেরোটি কোনো মেয়ের পেছন দিকে বাধা থাকে তবে তাঁকে বিধবা ধরা হয়।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.