আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার সন্ধান চলবে ভারত মহাসাগরে

সপ্তাহ হতে চলল ২৩৯ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ বিমানটির কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এখন বলা হচ্ছে, বিমানটি ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভারত মহাসাগরে আন্তর্জাতিক তল্লাশি শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা আকাশে উড়েছিল বলে মার্কিন দৈনিকে প্রকাশিত খবরের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পর এ তল্লাশি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি এ কথা জানান। বিমানটি বেইজিংয়ের গন্তব্য ছেড়ে পশ্চিম দিকে ঘুরে এগিয়ে গিয়েছিল, এমন সম্ভাবনার ভিত্তিতেই ভারত মহাসাগর পর্যন্ত তল্লাশি এলাকা বিস্তৃত করা হলো।

এ বিষয়ে কার্নি বলেছেন, 'কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত, তথ্যগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত না হলেও এগুলো নতুন তথ্য। এ কারণে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত তল্লাশি এলাকা বিস্তৃত করা হচ্ছে।' তবে নতুন কী তথ্য পাওয়া গেছে তা সম্পর্কে কিছু বলেননি এই মার্কিন কর্মকর্তা। মালয়েশীয় বিমানটির এই হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া ও প্রায় এক সপ্তাহেও সেটির খোঁজ না পাওয়া, বিমান চলাচলের আধুনিক ইতিহাসে অন্যতম হতাশাজনক রহস্যময় ঘটনা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

এদিকে বিন্দু পরিমাণ আশা জিইয়ে থাকা পর্যন্ত মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির অনুসন্ধান চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। নিখোঁজ হওয়ার পর গত ছয় দিনে ২২টি বিমান ও ৪০টি বিভিন্ন ধরনের নৌযান তন্ন তন্ন করে খুঁজছে উড়োজাহাজটিকে। গত মঙ্গলবার চীন ১০টি স্যাটেলাইট মোতায়েন করে। কিন্তু এক সপ্তাহেও বিমানটির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও চীনের পক্ষ থেকে একেকবার একেক ধরনের দাবি জানানো হচ্ছে। সর্বশেষ চীন থেকে সেই দেশের একটি জঙ্গি সংগঠনকে বিমানটি গায়েব করার দাবি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত দুটি সূত্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শনিবার নিখোঁজ হওয়ার পর বিমানটি থেকে দুর্বল কিছু ইলেকট্রনিক সংকেত (পালস) উপগ্রহের মাধ্যমে পাওয়া গেলেও বিমানটি কোনো দিকে গেছে বা এর পরিণতি কী হয়েছে, এ সংকেত থেকে সে সম্পর্কে কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। এদিকে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি থেকে শেষ বেসামরিক কল যখন করা হয় তখন বিমানটি থাইল্যান্ড উপসাগরের উত্তর দিক দিয়ে উড়ছিল। কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, সামরিক রাডার থেকে পাওয়া বিমানের অবস্থান থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বিমানটি পুরো ঘুরে পশ্চিম দিকে মোড় নিয়েছিল এবং মালয় উপদ্বীপ পার হয়ে আন্দামান সাগরের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। উপগ্রহের পাওয়া সিগন্যালসহ এসব নতুন তথ্য নিখোঁজ বিমানটি কারিগরি ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে, নাকি ছিনতাই হয়েছে বা অন্য কোনো ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে, সেই রহস্যের তেমন কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি।

নিখোঁজ হওয়ার পরও আকাশে ওড়ার দাবি সঠিক : মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত সময়ে 'এসিএআরএস' বলে পরিচিত বিমানের সার্ভিস ডাটা সিস্টেম থেকে পাঠানো বেশ কয়েকটি সংকেত স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে। এসব সংকেত থেকে মনে হচ্ছে, বিমানটি বেশ কয়েক ঘণ্টা ওড়ার পর ভারত মহাসাগরের আকাশে চলে যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার একটি মার্কিন দৈনিকে প্রকাশিত এ খবরের সত্যতা মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছিল যে, নিখোঁজ বিমানটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগের পরও এটি কয়েক ঘণ্টা আকাশে উড়েছিল। বিমানটি থেকে পাঠানো সংকেত স্যাটেলাইটে ধরা পড়ার খবরও অস্বীকার করেছিল কুয়ালালামপুর। কিন্তু মার্কিন কর্তৃপক্ষ পরে দাবি করে, স্যাটেলাইটে ধরা পড়া সংকেত বিমানটির সর্বশেষ অবস্থান শনাক্ত করতে 'কার্যকরভাবে' সাহায্য করবে।

৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি। এএফপি, বিবিসি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.