আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালের কন্ঠের নিউজটা পড়ে কিছুটা অবাক হলাম পরে আবার হাসলামও বটে....



নিউজ হেডলাইনটা হল: ১৭ হাজার টাকায় সৌদি গেছেন ২৫৫ শ্রমিক
আমি এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে খুবই গর্ববোধ করি এই কারনে যে, আমাদের দেশের নাগরিকগন বিদেশে গিয়ে কাজ করে দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখছে। তার সাথে সাথে আর ধন্যবাদ জানাই যে, সরকার এরকম ভালো উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে।
কিন্তু প্রশ্ন হল মাত্র ১৭ হাজার টাকায় সৌদি গেছেন ২৫৫ শ্রমিক এই কথাটি কতখানি সত্যি? আমার ধারনা যে, মাত্র ১৭ হাজার টাকা সরকারি ভাবে খরচ হলেও তার জন্য প্রতিটি শ্রমিক খরচ করতে হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ্য টাকার মত। এই টাকা গুলো শ্রমিক ভাইগন বিদেশ গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে তারা তাদের দেনাগুলো শোধ করবেন। আর তাদের টাকা গুলো বসে বসে খেল আমাদের দেশের কিছু পশুগন।



আমার ধারনার সাথে আপনারাও এক হতে পারেন যে, দেশের প্রতিটি এলাকার প্রায় ৮০% চেয়্যারম্যান মেম্বারগন এবং তাদের সাথে পাতি নেতাগন মিলে এই শ্রমিক ভাইদের কাছে এর তিন ডাবল পরিমান ঘুষ গ্রহন করেছেন।

প্রশ্ন হল আমরা ইন্ডিয়া পাকিস্তান নিয়া না চিল্লাইয়া এসব থেকে পরিত্রান কবে পাব?




লিংক এর পোস্টটি তুলে ধরলাম:
বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের পরই সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার জনশক্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এ উদ্দেশ্যে আমিরাত থেকে একটি প্রতিনিধিদল আসছে আগামী সপ্তাহে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজারের বেশি গৃহকর্মী, মালি, ড্রাইভার ও ক্লিনার নেওয়া হবে।

এরপর ধাপে ধাপে অন্যান্য ক্যাটাগরির জনশক্তিও নেবে আমিরাত। এদিকে মাত্র ১৭ হাজার টাকায় বাংলাদেশ থেকে মহিলাকর্মী যাচ্ছে সৌদি আরবে। এখন পর্যন্ত ২৫৫ জন এই নামমাত্র অভিবাসন ফি দিয়ে সৌদি গেছেন। চলতি মাসে আরো শতাধিক কর্মী যাবেন বলে জানা গেছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসবে।

আশা করছি আবার সেখানে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হবে। তিনি বলেন, আমিরাতে গৃহকর্মীর চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া ড্রাইভার, মালি, ক্লিনার পর্যায়ের লোকও নেওয়া হবে। পরে দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে অন্যান্য কর্মী পাঠানো হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিজস্ব জনসংখ্যার চেয়ে বিদেশির সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় দেশটি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ রেখেছিল।

আমিরাতে আমরাসহ আরো ছয়-সাতটি দেশের শ্রমিক পাঠানো বর্তমানে বন্ধ আছে। আশা করছি গৃহকর্মী পাঠানোর মধ্য দিয়ে সেখানে জনশক্তি রপ্তানি পুরোদমে শুরু হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সৌদি আরবেও এখন কর্মী পাঠানো হচ্ছে। মাত্র ১৭ হাজার টাকা খরচে ২৫৫ জন নারীকর্মী সেখানে গেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন।

একসময় সৌদি যেতে দালালদের পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হতো। এদিকে ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২০-কে লক্ষ্য রেখেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানির কৌশল নির্ধারণ করছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বছরে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এর জন্য নতুন শ্রমিকদের দক্ষ বা আধা দক্ষ করে গড়ে তোলার পাশাপাশি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের আইন-কানুন ও সামাজিক অবস্থার ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১২ লাখের মতো বাংলাদেশি আছে।

একপর্যায়ে সেখানে জনশক্তি পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। তবে কূটনৈতিক তৎপরতায় দেশটি আবারও বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তবে বাংলাদেশকে এ বিষয়ে নিরাপত্তাবিষয়ক একটি চুক্তি সই করতে হবে। ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে আরব আমিরাতের এ ধরনের চুক্তি আছে।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘অসাধু রিক্রুটিং এজেন্সির অব্যবস্থাপনায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত শ্রমিক পাঠানো হয়েছে আমিরাতে।

বেশি অভিবাসন ব্যয়ে সে দেশে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছিল তারা। আমরা দালালদের দৌরাত্ম্য এবং প্রতারণা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা নিবন্ধিত লোক ছাড়া কাউকে বিদেশে পাঠাব না। ’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায় মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন। অতীতে যে টাকা খরচ করে শ্রমিকরা বিদেশে যেত, চার-পাঁচ বছরেও সে টাকা তুলতে পারত না।

এখন অভিবাসন ব্যয় কমানো হয়েছে। মাত্র ৩৩ হাজার টাকায় মালয়েশিয়ায় এবং ১৭ হাজার টাকায় সৌদি আরবে মহিলা শ্রমিক যাচ্ছেন। ’

লিংক

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।