আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবারও এগিয়ে আওয়ামী লীগ

চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়জয়কার। গতকাল রাতে ৯১টি উপজেলার মধ্যে ৮৯টির বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ ৫৪, বিএনপি ২৪, জামায়াত ৫, জাতীয় পার্টি ১, জেপি ১ এবং স্বতন্ত্রসহ অন্য দলের তিনজন সমর্থক চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ৯টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে আওয়ামী লীগের (বিদ্রোহী প্রার্থী) রেফাতুল্লাহ খান তোতা এগিয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। একইভাবে পটুয়াখালী দুমকি উপজেলায় ৫ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।

সেখানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শাহজাহান সিকাদার এগিয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী  গিয়াসউদ্দিন এগিয়ে ছিলেন। প্রথম তিন ধাপের মোট ফলাফলে বিএনপি ১২৩, আওয়ামী লীগ ১১৭, জামায়াত ২৮ এবং অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৪টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ : চতুর্থ দফায় বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে আবদুস শাহীদ ভূইয়া, ইটনায় চৌধুরী কামরুল হাসান, সিলেট সদরে আশফাক আহমদ, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আওয়ামী লীগ রনদীর কুমার দেব, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে (বিদ্রোহী) আতর আলী মিয়া, লাখাইয়ে মুসফিউল আলম আজাদ, নবীগঞ্জে মো. আলমগীর চৌধুরী, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ফারুক আহমেদ খান, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আবদুল ওয়াহাব আইনুদ্দিন, বরিশালের আগৈলঝড়ায় গোলাম মর্তুজা, উজিরপুরে হাফিজুর রহমান ইকবাল, বানারিপাড়ায় গোলাম ফারুক, ঝালকাঠি সদরে সুলতান হোসেন খান, কাঁঠালিয়ায় ফারুক সিকদার, রাজাপুরে মনিরুজ্জামান মনির, নলছিটিতে লস্কর মোহাম্মদ ইউনুছ, পিরোজপুর সদর আলহাজ মজিবুর রহমান খালেক, মঠবাড়িয়ায় আশরাফুল ইসলাম, ভোলার মনপুরায় সেলিনা চৌধুরী, তজুমদ্দিনে ওহিদুল্লাহ জসিম, দৌলতখানে মঞ্জুরুল আলম খান, পটুয়াখালী সদরে তারিকুজ্জামান মনি, মির্জাগঞ্জে আবু বক্কর সিদ্দিক (বিদ্রোহী), গলাপিচায় সামসুজ্জামান লিকন, বাউফলে মজিবর রহমান মুন্সি, টাঙ্গাইলের মধুপুরে সরোয়ার আলম খান আবু, ভুয়াপুরে আবদুল হালিম, কালিহাতিতে মজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডু, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিরোজ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আবু মোহাম্মদ লতিফ অমল, পাবনার ফরিদপুরে খলিলুর রহমান, যশোরের সদরে শাহীন চাকলাদার, কেশবপুরে আমির হোসেন, বাগেরহাটে চিতলমারীতে মুজিবুর রহমান শামীম, মোল্লাহাটে শাহীনুর আলম ছানা, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফিরোজ আহমেদ স্বপন, খুলনার তেরখাদায় শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, বটিয়াঘাটে আশরাফুল আলম খান, রুপসায় কামাল উদ্দিন বাদশা, ফুলতলায় শেখ আকরাম হোসেন, দাকোপে শেখ আবুল হোসেন, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ফরহাদ হাসান চৌধুরী, পাবনার ঈশ্বরদীতে মোখলেছুর রহমান, রাজশাহীর বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় জেড এম কামরুল ইসলাম, ফুলগাজীতে ইকরামুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার, কুমিল্লার মেঘনায় আবদুস সালাম, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মো. আতাউল হক, রাঙ্গুনিয়ায় মোহাম্মদ আলী শাহ, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় তৌহিদুল হক চৌধুরী, রাউজানে এ কে এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, ফটিকছড়িতে এম তৌহিদুল আলম বাবু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি : বেসরকারিভাবে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যানরা হলেন- সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার, শেরপুরের নালিতাবাড়িতে মুখলেসুর রহমান রিপন, নেত্রকোনার মদনে এম এ হারেছ, মৌলভীবাজার সদরে মিজানুর রহমান মিজান, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আবদুল মোতালেব খান, সিলেটের কানাইঘাটে আশিক চৌধুরী, টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আবদুস সামাদ দুলাল, সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন, বরগুনার বেতাগীতে শাহজাহান কবির, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডতে এম এ মজিদ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে খুরশিদ আলম মতি, নাটোরের বড়াইগ্রামে একরামুল আলম, রাজশাহীর তানোরে এরমান আলী মোল্লা, ঠাকুরগাঁওর পীরগঞ্জে জিয়াউল ইসলাম জিয়া, রাজশাহীর পুটিয়া (বিদ্রোহী) আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা, চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দেওয়ান হোসেন মিয়াজী, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আবদুর রহিম, কক্সবাজারের রামুতে মাহমুদুল হক চৌধুরী, কুতুবদিয়ায় এটি এম নুরুল বছর, কুমিল্লার বরুড়ায় আবদুল খালেক চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোসলেউদ্দিন, নড়াইল সদরে মনিরুল ইসলাম ও ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে তমিজ উদ্দিন।

এ ছাড়া রাত সাড়ে ১২টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হেলালউদ্দিন এগিয়ে ছিলেন। জামায়াত : পিরোজপুরের জিয়ানগরে মাসুদ বিন সাঈদী, জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোস্তাফিজুর রহমান, বান্দরবানের নাইখংছড়িতে মো. তোফায়েল, চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন। জাতীয় পার্টি : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে কামাল উদ্দিন কাঞ্চন। জাতীয় পার্টি (জেপি) : পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় আতিকুল ইসলাম। অন্যান্য তিন : রাঙামাটির জুড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রার্থী উদজয় চাকমা, হবিগঞ্জ সদরে (স্বতন্ত্র) সৈয়দ আহমেদুল হক ও কিশোরগঞ্জের ভৈরবে (স্বতন্ত্র) গিয়াস উদ্দিন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.