আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবারও মাঠে নেই বিএনপির নেতারা

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ডাকা এবারের হরতালেও রাজধানীর রাজপথে বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। এমনকি মহানগর বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদেরও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা দ্বিতীয় দফার ৬০ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। আগের হরতালগুলোর মতো গতকালও রাজধানীর রাজপথে বিএনপির নেতাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। হরতালের সমর্থনে পাড়া-মহল্লায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঝটিকা মিছিল বের করা হলেও তাতে কর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই নগণ্য।


আগের হরতালের মতো গতকালও রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা ঘিরে ছিলেন পুলিশ ও র‌্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্য। সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব এম এ সালামসহ দপ্তরের দায়িত্বে থাকা কয়েকজন নেতা। এর বাইরে সকালে সংসদ ভবন এলাকায় মিছিল করেছেন বিএনপির ১২ সাংসদ।
অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, কেন্দ্রীয়ভাবে অর্পিত দায়িত্ব কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে পালন করছেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১১ সাল থেকে আন্দোলন করছে বিএনপি।

গত ২৫ অক্টোবর সংসদের মেয়াদ শেষ হবে, এমনটি ধরে নিয়ে আন্দোলন জোরদার করেছিল বিএনপি। ১৪ অক্টোবর মহানগর বিএনপির যৌথ সভায় ২৫ অক্টোবরকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনাল হয়েছে, সেমিফাইনাল হয়েছে। এবার ফাইনাল রাউন্ডের খেলা। এ খেলার সময় সাত দিন। এর মধ্যে সব প্রস্তুতি নিতে হবে।

এ খেলায় জয়ের কোনো বিকল্প নেই। না হলে টিকে থাকা যাবে না। ’

এরপর ২৫ অক্টোবর তিন দিনের হরতালের ঘোষণা আসে। কিন্তু গত ২৭, ২৮, ২৯ অক্টোবরের সেই হরতালেও রাজধানীর রাজপথে নামেননি বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতা। এমনকি মহানগরের নেতাদেরও খুব একটা দেখা যায়নি।

এর কারণ জানতে চাইলে এম এ সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় মিছিল-সমাবেশ দূরের কথা, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের রাস্তায় দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশ সরাসরি গুলি করছে। মিছিল করতে গিয়ে কেউ আটক হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দিচ্ছেন। এ অবস্থায়ও ঢাকায় নেতা-কর্মীরা মিছিল, পিকেটিং করছেন বলে তিনি দাবি করেন।

এ ছাড়া উত্তরা, সূত্রাপুর, ওয়ারী, বংশাল, রূপনগর, সবুজবাগ, খিলক্ষেত, খিলগাঁও, বনানী, কদমতলী, ভাসানটেক, কাফরুল, মিরপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছেন বলে গতকাল বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.