আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুশফিকদের লক্ষ্য ভালো খেলা

মুশফিকুর রহিম যখন-যেখানে কান পাতছেন, কথা বলছেন, সেখানেই যেন শুনতে পাচ্ছেন হংকংয়ের নাম। আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে হারের অনেক রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু হংকংয়ের বিপক্ষে হারের পর যে যন্ত্রণা, বেদনা এবং মানসিক অস্থিরতা সামাল দিতে হচ্ছে টাইগার ক্রিকেটারদের, সেটা বোধকরি ভাবতেই পারেননি টাইগার অধিনায়ক মুশফিক। ঘরের মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপ, তার উপর বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছে, এ নিয়ে একটি মনোবেদনাতো শুরু থেকেই ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। তার উপর হংকংয়ের কাছে হেরে রান রেটের জটিল সমীকরণে কোনোরকমে টপ টেনে জায়গা করে নেওয়াটাও মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটপিয়াসীরা।

তাই সমালোচনার বাণে বিদ্ধ করছেন ক্রিকেটারদের। এটা ভালো করেই জানেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিক। জানেন বলেই সবকিছু ভুলে নতুন স্বপ্ন দেখতে চাইছেন এবং সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দিয়েই। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ দিয়েই শুরু হচ্ছে টাইগারদের চূড়ান্ত পর্ব। চূড়ান্ত পর্বে ভালো করতে মরিয়া টাইগার অধিনায়ক চাইছেন স্পিন দিয়ে ক্রিস গেইলদের বেধে ফেলতে।

বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল হংকং। ওই ম্যাচে টাইগাররা শেষ ৮ উইকেট হারে। টাইগারদের হার জন্ম দেয় বিস্ময়ের। হংকং ম্যাচে হারের ধাক্কা এখনো সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি মুশফিকরা। তার আগেই মুখোমুখি হচ্ছে টি-২০ আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

প্রতিপক্ষ পাওয়ার গেম খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ হলেও ভালো খেলার স্বপ্ন দেখছেন টাইগার অধিনায়ক, 'হংকংয়ের সঙ্গে এর আগে কোনোদিন হারিনি। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বাজে সময়কে পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এশিয়া কাপের কথাই ধরুন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে কিন্তু আমরা দারুণ খেলেছি। ওই ম্যাচ থেকে আত্দবিশ্বাস নিতে পারি। সত্যি বলতে আমাদের টার্গেট ছিল সুপার টেন।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে ভালো লাগত। তবে টার্গেট কিন্তু পূরণ হয়েছে। হংকংয়ের কাছে হারের পরও আমি মনে করি আত্দবিশ্বাসে খুব বেশি কমতি আছে বলে মানি না। সবচেয়ে বড় বিষয় আছে সুপার টেনে আমরা যে চারটি ম্যাচ খেলব, সবগুলোতে ভালো খেলাই লক্ষ্য আমাদের। টি-২০ ক্রিকেটে যে কোনো দলকে হারাতে পারে।

সেদিক থেকে আমাদের ভালো খেলার সুযোগ রয়েছে। আমার মনে হয়, আমরা যে গ্রুপে খেলছি, তাতে আমাদের হারানোর কিছু নেই। '

বাছাই পর্ব ডিঙিয়ে সুপার টেন খেলাই ছিল মুশফিকদের প্রথম টার্গেট। সেটা পূরণ হয়েছে। যদিও রান রেটের জটিল রেসে।

আজ শুরু টাইগারদের চূড়ান্তপর্ব। প্রতিপক্ষ তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও পাকিস্তান। আরেক ফেবারিট অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে গ্রুপে। কঠিন সব প্রতিপক্ষ। এমন গ্রুপে ভালো করা কঠিন।

তারপরও আজ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ভালো করতে চান টাইগার অধিনায়ক, 'চট্টগ্রামের তুলনায় মিরপুরের উইকেট একটু ভিন্ন। প্রথমে ব্যাট করা একটু কঠিন। শুরুতে সুইং থাকে, স্পিনও করে। আবার পরে কুয়াশাও একটা ফ্যাক্টর। আসলে উইকেট দেখেই বোঝা যাবে সত্যিকার বিষয়টি।

আমি মনে করি প্রতিপক্ষকে ১৫০ রানে বেঁধে রাখতে পারলে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে লক্ষ্য তাড়া করা যাবে। তবে বিশ্বকাপে লক্ষ্য সেট করা একটু কঠিনই হবে। ' জয়ের কথা ভাবলেও অফ ফর্মের ক্রিকেটারদের নিয়ে ভাবনা রয়েছে অধিনায়কের, 'অফ ফর্ম ক্রিকেটেরই অংশ। আমরা এক সঙ্গে খেলতে পারছি না। তবে আমি মনে করি এক-দুইটা ম্যাচ ভালো করতে পারলে সমস্যা কেটে যাবে।

ভালো করার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রমও করছি। '

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত আসরে দুই দল ম্যাচ খেলেছে চারটি। দুটি করে জিতেছে উভয়েই। এরমধ্যে ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপে ৬ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে দুই ওভারে সে সময়কার অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল রান দিয়েছিলেন ২০ ও ২৪।

ম্যাচ জিতিয়েছিলেন আশরাফুলই। ২০১১ সালে মুশফিক তার অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে ছক্কা মেরে উপহার দিয়েছিলেন জয়। এসব সুখস্মৃতি নিয়েই আজ খেলতে নামছে টাইগাররা। জয়ের জন্য মরিয়া মুশফিকবাহিনীর একাদশে পরিবর্তনও আসছে আজ। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও পরিবর্তন থাকছে।

ইনজুরির জন্য বসে থাকতে হতে পারে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। তারপরও নতুন উদ্যোমেই আজ মিরপুরের ২২ গজের উইকেটে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে নামছেন মুশফিকরা। টার্গেট একটাই, ভালো ম্যাচ খেলা।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।