আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুশফিকদের হারিয়ে দিল ‘এ’ দল

শেষ ওভারে প্রয়োজন ২৩ রান। প্রথম বলে নাঈম ইসলামের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা বল স্কয়ার লেগে ডাইভ দিয়ে কোনো রকমে বাঁচালেন মুক্তার আলী। কিন্তু চারের সংকেত আম্পায়ারের। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলার-ফিল্ডাররা হতাশ, ম্যাচটি বুঝি হাতছাড়া হয়ে গেল!

ম্যাচটি যে আসলেই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার, সেটির প্রমাণ ছোট্ট এ ঘটনা। ধন্যবাদ পাওনা বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগী মানুষদেরও।

প্রায় ৮ হাজার দর্শকের উপস্থিতি এ ম্যাচটিকেও সত্যিকারের ম্যাচ করে তুলল। আর মাঠের ক্রিকেট তো ছিলই। আগের দিন নাসির হোসেন বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলকে হারিয়েও দিতে পারি আমরা। ’ কথায় ফাঁক না রাখতে মাঠেও প্রমাণ দিয়ে দিলেন নাসিররা। টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জাতীয় দলকে ১২ রানে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।



চোটের কারণে তামিম ছিলেন না, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ব্যস্ততায় খেলেননি সাকিব আল হাসানও। এই সিরিজে ‘এ’ দলের অধিনায়ক নাসির মূলত জাতীয় দলেরই। তার পরও ‘এ’ দলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। দেশের ক্রিকেটের জন্যও এটি ইতিবাচক। অন্তত বোঝা যাচ্ছে, জাতীয় দল ও দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা কাছাকাছি মানেরই।



‘এ’ দলের জয়ের কৃতিত্ব বেড়ে যাচ্ছে পরে বোলিং-ফিল্ডিং করতে হয়েছে বলেও। শিশিরভেজা বল গ্রিপ করাই যে দায় হয়ে পড়ছিল! রান তাড়ার বেশির ভাগ জুড়েই জয়ের পথে ছিল জাতীয় দল। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ‘এ’ দলের রান ১২ ওভার শেষে ছিল ১ উইকেটে ১০১, রান তাড়ায় জাতীয় দলের রানও ১২ ওভার শেষে ছিল ১০১, উইকেট হাতে ছিল ৯টি। কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতে নেয় নাসিরের দল।

এই ঘুরে দাঁড়ানোয় বড় একটা ভূমিকা আছে স্বয়ং অধিনায়কের।

মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে হুমকি হয়ে ওঠা জুটিটি ভেঙেছেন তিনিই! ১৭২ রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে এনামুল (২৮ বলে ৩০) ও শামসুর রহমান তোলেন ৫৫। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেও ঠিক ৫৫! মুশফিককে (২১ বলে ৩৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাসির, পরের ওভারের প্রথম বলে ইলিয়াস সানিকে স্লগ সুইপে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ শামসুর (৩৪ বলে ৪৮)। ম্যাচের মোড়ও ঘুরে যায় এতেই। রান-বলের সমীকরণের সঙ্গে পরে আর তাল মেলাতে পারেননি নাঈম, মাহমুদউল্লাহ, জিয়াউররা। দুই ওপেনারের উইকেট নিয়েছেন ইলিয়াস সানি, কিন্তু নতুন বলে কিপটে বোলিংয়ের পাশাপাশি শেষ দিকে মাহমুদউল্লার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা আরেক সানি, আরাফাত।



ব্যাটিংয়ে ‘এ’ দলের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। ইমরুল-জহুরুল ৪ ওভারে তোলেন ৩৫। মাশরাফিকে প্রথম ওভারেই মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মারার পর ইমরুল মেরেছেন আরও দুটি ছক্কা। ৩৬ বলে ৪৫ করে বোল্ড হয়েছেন মাহমুদউল্লাহকে পুল করতে গিয়ে। মাঝে মুমিনুলের ১৭ বলে ৩১ আর শেষ দিকে ফরহাদ রেজা (১৬ বলে ২৪) ও আলাউদ্দিন বাবুর (৭ বলে ১৬) ব্যাটে ‘এ’ দল পায় ১৭১ রানের পুঁজি, ‘বড়দের’ হারিয়ে দিতে যা ছিল যথেষ্টই!

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ‘এ’: ২০ ওভারে ১৭১/৯ (ইমরুল ৪৫, জহুরুল ১০, মার্শাল ১, মুমিনুল ৩১, নাসির ১৭, সাব্বির ৬, ফরহাদ ২৪, আলাউদ্দিন ১৬, মুক্তার ৪, ইলিয়াস ৫*, আরাফাত ১*; মাশরাফি ২/৩৪, আল আমিন ১/২৭, সোহাগ ১/২২, জিয়াউর ০/৩০, মাহমুদউল্লাহ ১/১৯, রাজ্জাক ৪/৩৬)।

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৯/৫ (এনামুল ৩০, শামসুর ৪৮, মুশফিক ৩৩, নাঈম ২০*, মাহমুদউল্লাহ ১০, সৌম্য ০, জিয়াউর ১৬*; আলাউদ্দিন ০/৩৪, আরাফাত ১/১৬, ইলিয়াস ২/৩০, ফরহাদ ০/২৯, মুক্তার ০/১৪, সাব্বির ০/১২, মুমিনুল ০/৮, নাসির ১/১৬)।
ফল: বাংলাদেশ ‘এ’ ১২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আরাফাত সানি

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।