আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্থানিদের ২৫শে মার্চ দর্শন এবং আমাদের বীরদের কথা।

রাত ১১:৫০ মিনিট, ২৫শে মার্চ ১৯৭১।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪তম পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা কিছুটা উত্তেজনায় ছটফট করছেন। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তাঁর নেতৃত্বাধীন এই ডিভিশনের ৪ টি ব্রিগেড পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট ও ক্যাম্প থেকে বিদ্রোহীদের দমনের জন্য অপারেশন ‘সার্চ লাইট’ শুরু করবে। তিনি তাঁর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
একটা সিগারেট ধরিয়ে তিনি লম্বা টান দিলেন।

একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে ভাবতে লাগলেন আজকের এই অভিযানের প্রেক্ষাপটের কথা। সাথে সাথে তাঁর মনে ভেসে উঠল ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেঃ জেনারেল টিক্কা খানের কঠোর ও একগুঁয়ে চেহারা। তিনি একাধারে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক ও গর্ভনরও বটে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তিনি সাহেবজাদা ইয়াকুব খানের স্থলাভিষিক্ত হন। যদিও তাঁর এই স্থলাভিষিক্ত হবার প্রক্রিয়াটি খুব একটা উষ্ণ ছিল না।

অধিকাংশ মানুষই তাকে চিনে একজন অমার্জিত, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও প্রজ্ঞার অভাব সম্পন্ন একজন অফিসার হিসেবে। ফলে তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে কেউ ছিল না, এমন কি বাঙালিরা তাকে জুতার মালা পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।

এর এক সাপ্তাহ পর ১৯৭১ সালের ১৪ই মার্চ ভুট্টো দুইজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের একটি প্রস্তাব দেন। তিনি শেখ মুজিবকে বলেছিলেন, ‘ইধার হাম, উধার তুম’ অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য আমি আর পূর্ব পাকিস্তানের জন্য তুমি। এই লক্ষ্যে মুজিবের সাথে আলোচনার জন্য ভুট্টো এবং জেনারেল ইয়াহিয়া পূর্ব পাকিস্তানের এসেছিলেন।

তাদের তিনজনের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল কিন্তু কোন ফলাফল আসে নি। কারন শেখ মুজিব তখন প্রচন্ড জনপ্রিয় একজন নেতা ও আওয়ামীলীগ নির্বাচনে ব্যাপকভাবে জয় লাভ করেছে। ফলে ক্ষমতা তাঁদের নায্য প্রাপ্যই ছিল। ২২ শে মার্চ মুজিব বার বার নির্বাচনে বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্থান্তরের দাবি জানান। কিন্তু কোন লাভই হয় নি।



তার পরদিন ২৩ শে মার্চ, বাঙালিরা পাকিস্তানের প্রতিরোধ দিবস পালন করে। শেখ মুজিব তাঁর বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন পাশাপাশি ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশন ও সোভিয়েত কনস্যুলেটেও বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

কিছুক্ষন আগে ইয়াহিয়া ঢাকা ছেড়ে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় তিনি টিক্কা খানকে বলে গিয়েছেন, ‘তাদের খুঁজে বের কর’। টিক্কা খান ইয়াহিয়ার এই কথার উপর ভিত্তি করে তার সৈন্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, “আমি মাটি চাই, মানুষ চাই না”।



রাত ১২:৩০ মিনিট, ২৬ শে মার্চ ১৯৭১।
কিছুক্ষন আগে শুরু হয়ে গেল অপারেশন সার্চ লাইট। অংশ নিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৪তম পদাতিক ডিভিশন। পূর্ব পাকিস্তানের এই ডিভিশনের ছিল ৭টি পদাতিক ও একটি কমান্ডো (মিশ্র)ব্যাটালিয়ন। এছাড়া আরো ছিল একটি হাল্কা ট্যাংক রেজিমেন্ট, ৫টি ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট, এক রেজিমেন্ট হালকা বিমান বিধ্বংসী আর্টিলারী ও দুটি মর্টার ব্যাটারি।

সারা শহর জুড়ে গোলাগুলির বিস্ফোরন, মেশিনগানের ঠা ঠা ঠা, আগুন মিলিয়ে এক নারকীয় পরিবেশ। রাও ফরমান আলী তার টেবিল ডায়রীতে লিখেছিলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের শ্যামল মাটি লাল করে দেয়া হবে’ বাস্তবেও তাই হয়েছিল। ২৫শে মার্চের সেই সামরিক অভিযানের হিংস্রতা ও নৃশংসতা বুখরায় চেঙ্গিস খান, বাগদাদে হালাকু খান এবং জালিয়াওয়ালাবাগে ব্রিটিশ জেনারেল ডায়ারের নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে যায়।

এই খবর যেন বিশ্ববাসী জানতে না পারে তার জন্য জেনারেল টিক্কা খান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে সকল বিদেশি সাংবাদিক, প্রতিনিধি ও টিভি ক্রুদের অত্যন্ত অপমানজনকভাবে বের করে দেন। কোন কোন বিদেশী সাংবাদিকদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়, তাদের লাগেজ পরীক্ষা করা হয় এবং ক্যামেরা থেকে ফ্লিম খুলে রেখে দেয়া হয়।

কিন্তু পাকিস্তানিদের এই চক্রান্তে বাদ সাধেন সায়মন ড্রিং নামের ২৫ বছর বয়সী অসীম সাহসী এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। সামরিক আইনের নিষেধ অমান্য করে তিনি লুকিয়ে ছিলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমান হোটেল রুপসী)। ২৭শে মার্চ কারফিউ উঠে গেলে হোটেল কর্মচারীদের সহায়তায় ছোট্ট একটি মোটরভ্যানে করে তিনি ঘুরে দেখেন ইকবাল হল, রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং পুরান ঢাকার আরো কিছু অংশ। ১৯৭১ সালের ৩০ শে মার্চ লন্ডনের ডেইলী টেলিগ্রাফে প্রকাশিত তাঁর প্রতিবেদনে বিশ্ববাসী জানতে পারে পাকিস্থানি দখলদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রথম ধাপের কথা। সমস্ত পৃথিবীর মানুষ হতবাক হয়ে যায় এই নির্মম নিষ্ঠুর গনহত্যায়।

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সঞ্চারের প্রাথমিক মুহুর্ত ছিল সেটি।

ভুট্টো এই অপারেশন দেখার জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। সকালে তিনি টিক্কা, ফরমান এবং আরবাবকে পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানান। তিনি তাদের উজ্জল ভবিষ্যতের আশ্বাস দেন। ভুট্টো তার কথা রেখেছিলেন।

টিক্কা খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, রাও ফরমান আলী ফৌজি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ব্রিগেডিয়ার আরবাব প্রথমে মেজর জেনারেল ও পরে লেঃ জেনারেল পদে উন্নীত হন। ২৬শে মার্চ করাচী পৌছে ভুট্টো তৃপ্তির সাথে ঘোষনা করেন, ‘আল্লাহর রহমতে পাকিস্তান রক্ষা পেয়েছে’

আমাদের গর্বের কথাঃ
রাত ১১ টা। ২৫শে মার্চ, ১৯৭১। পুলিশ সদর দপ্তর, রাজারবাগ।

কিছুক্ষন আগে হোটেল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এবং রমনা পার্কের সামনে অবস্থানরত পুলিশের প্রেট্রোল পার্টির সদস্যরা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর অন্তত ৭০/৮০ টি সাঁজ়োয়া যান পুর্ন প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষা করছে।

এর আগে চার্লি সেভেন নামের একটি পেট্রোল টিমের সদস্যরা তেজগাঁও থেকে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একটি বিশাল বহর শহরের দিকে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এই খবর শোনার পর পুলিশ সদস্যরা বুঝতে পারেন কি হতে চলেছে। তাঁরা তাদের মত করে প্রতিরোধ যুদ্ধের জন্য অবস্থান নিতে থাকেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা অস্ত্রাগারের ঘন্টা পিটিয়ে সবাইকে সতর্ক ও একত্রিত করে । অস্ত্রাগারে কর্তব্যরত সেন্ট্রির রাইফেল থেকে গুলি করে অস্ত্রাগারের তালা ভেঙ্গে নিজেদের মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিতরন করে ।

প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী পুলিশ সদস্যবৃন্দ পুলিশ লাইন্সের চারিদিকে ,ব্যারাক ও বিভিন্ন দালানের ছাদে অবস্থান নেয় ।

রাত সাড়ে এগারটার দিকে পুলিশ সদস্যরা দেখতে পেলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সাঁজোয়া বহর নিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের আশেপাশে অবস্থান গ্রহন করছে। পাক বাহিনীর এই আক্রমনের সংবাদ তাৎক্ষনিক ভাবে সারা দেশের জেলা ও সাব ডিভিশনের থানাগুলোতে বেতার মারফত পৌছে দেয়া হল। সংবাদটি ছিল অনেকটা এই রকম, “ base for all station of east Pakistan police, keep listening, watch, we are already attacked by the pak army. Try to save yourself, over

রাত ১১:৪৫ মিনিটে পুলিশ লাইন্সের দক্ষিন – পুর্ব দিক (পুলিশ হাসপাতাল কোয়ার্টার সংলগ্ন) থেকে প্রথম গুলি বর্ষন হয় । প্রায় সাথে সাথেই প্যারেড গ্রাউন্ডের উত্তর –পুর্ব দিক (শাহজাহানপুর ক্রসিং) থেকে গুলির শব্দ শোনা যায় ।

ব্যারাকের ছাদে অবস্থানরত বাঙালি পুলিশ সদস্যরা পাক সেনাদের লক্ষ করে গুলিবর্ষন শুরু করে । শুরু হয় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ। ইতিহাসে সূচনা হয় একটি নতুন অধ্যায়ের ।

রাত প্রায় সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এই অসম লড়াই চলে। বাঙ্গালী পুলিশের কিছু সদস্য বুকে অসীম সাহস নিয়ে সমান তালে লড়ে চলে ট্যাংক , কামান, আর মর্টারের বিরুদ্ধে ।

পাকবাহিনীর ভারী অস্ত্রের মুখে বাঙ্গালী পুলিশ সদস্যরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় এবং গেরিলা পদ্ধতিকে আক্রমন করে অনেক পাকিস্তানি সৈন্যদের হতাহত করে। দীর্ঘ যুদ্ধের এক পর্যায়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন দখল করে নেয় পাক হানাদার বাহিনী। তার আগেই রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কিছু বীর পুলিশ সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ রাজারবাগ ত্যাগ করেন এবং এই প্রতিরোধ যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে তৎকালীন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে। দীর্ঘ নয় মাস প্রচন্ড যুদ্ধ এবং লাখো শহীদের রক্ত ও মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি আমাদের স্বাধীনতা।

২৫ শে মার্চের কালো রাত্রিতে যে সকল পুলিশ সদস্যরা বীরদর্পে নিজেদের জীবন বাজি রেখে ট্যাংকের গোলা, মর্টারের বিরুদ্ধে নিজেদের সাধ্য মত
প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, জাতি তাদের আজীবন শ্রদ্ধাভরে মনে রাখবে।

নিচে সেই রাতের বীরদের তালিকা প্রকাশ করা হলোঃ

কনস্টেবলঃ ৫০১ নুরুজ্জামান মিয়া, কনস্টেবলঃ ১৪৩৬ সৈয়দ আশরাফ আলী, কনস্টেবলঃ ৪৮৭৫ ইউনুস মিয়া, কনস্টেবলঃ ৪৯০৭ জহিরুল হক জহির, কনস্টেবলঃ ৪৮৯৭ নারায়ন চন্দ্র রায়, কনস্টেবলঃ ২৩৪ মোঃ শেখ আকরামুজ্জামান, কনস্টেবলঃ ৩০৬৪ জহিরুল হক কাজী চুন্নু, কনস্টেবলঃ ১৭৭৯ জয়নাল আবেদিন মোল্লা, কনস্টেবলঃ ৪৪০৫ সাহেব আলী মোল্লা, কনস্টেবলঃ ৫০২৭ গিয়াস উদ্দিন, কনস্টেবলঃ ১৯৯ শাহজাহান মিয়া, কনস্টেবলঃ ৪৩৫১ মোঃ আব্দুল আলী খান, কনস্টেবলঃ ৫০৩৪ আবু শামা(সামাদ), কনস্টেবলঃ ৫০৯৬ বাবর আলী, কনস্টেবলঃ ৮১৪ আব্দুল মালেক, কনস্টেবলঃ ৪৯০৯ জয়নাল আবেদিন, কনস্টেবলঃ ৪৯৬৩নুরন্নবী চৌধুরী, কনস্টেবলঃ ১০৫৫ আবদুল ওয়াদুদ, কনস্টেবলঃ ৪৮৬৯ মোঃ মকসুদ আলী, কনস্টেবলঃ ১০৯৯ আবুল ফারুক, কনস্টেবলঃ এস আই /মজিবুল হক, কনস্টেবলঃ সার্জেন্ট মর্তুজা হোসেন, কনস্টেবলঃ ২৩৮ বাবর আলী, কনস্টেবলঃ ৫২৩১ কাঞ্চন আলী মিয়া, কনস্টেবলঃ হাঃ৩৯৪৪ মতিয়ার রহমান, কনস্টেবলঃ ৫১৮৬ শাহজাহান মিয়া, কনস্টেবলঃ ৪৫৫৪ আব্দুল মালেক খান, কনস্টেবলঃ ১৫০২ আব্দুল মতিন তরফদার,


বর্তমান তরুন প্রজন্ম কতখানি আমাদের এই সব বীরদের কথা জানেন বা মনে রেখেছেন আমি জানি না। হয়ত একসময় এই সব নাম হারিয়েও যাবে।
তবে আমি বিশ্বাস করি, যারা কেবলমাত্র দেশমাতৃকার টানে সেদিন নিজেদের জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছিলেন তাঁদের কাছে আমাদের এই মনে রাখা বা বছরে দুই একবার সম্মান জানানোর ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব বহন করে না। যতদিন পৃথিবীর বুকে এই স্বাধীন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে ততদিন তাঁরা মিশে থাকবেন এই দেশের মাটিতে, মুক্তিকামী মানুষের চোখের আনন্দে, মুখের হাসিতে, গভীর শ্রদ্ধায় এবং চির উন্নত লাল সবুজের ঐ পতাকায়।



--------------------------------------------------------------------
তথ্যসূত্র ও অনুলিখন
দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্থান- লে.জে. এ এ কে নিয়াজী
২৫ শে মার্চের ডায়েরী, ব্লগার রুদ্র মানব
এবং ফকির লালন দেওয়ান-এর ব্লগ
যুদ্ধসাথি সায়মন ড্রিং
ও গুগল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।